Better Life With Steem || The Diary game || 10/7/2024

in Incredible India16 hours ago
1000119104.jpg

আজকের সকালের আবহাওয়াটা খুব ঠান্ডা ছিল এবং প্রচুর ঠান্ডা বাতাস, ফ্যানের বাতাসের চেয়েও বাহিরে বাতাসটা খুব ভালো লাগছে। জানালার পাশে দাঁড়ালে মনে হয় বাহিরের বাতাসটা কলিজা পর্যন্ত ঠান্ডা করে দিচ্ছে


1000118502.jpg

যাইহোক ঘুম থেকে উঠে জানালার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তারপর চলে যাই রান্না ঘরে। রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে বেসিনে জমে থাকা থালা-বাসন গুলো ধুয়ে তারপর সকালে নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে রুটি বানানোর খুবই একটা ঝামেলার কাজ যেটা আমার ইদানিং ধরে করতে হয়েছে। আগে রুটি বানিয়ে তারপর ভাজিটা করে নিলাম। সকালের নাস্তা বানিয়ে সবাই মিলে একসাথে খেলাম।

1000118573.jpg

সকালের নাস্তা খেতে খেতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গেল, এরপর নাস্তা খাওয়ার বাটি গুলো ধুয়ে রান্নার কাজে হাত লাগাই। রান্না করার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর রান্না করা শুরু করি। আজকে রান্না করছি চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ, আর পাঙ্গাস মাছ। রান্নাবান্না মোটামুটি ১২:৩০ টার দিকে শেষ হল তারপর সবকিছু গুছিয়ে রেখে। রুম গুলো ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই।

1000118717.jpg

গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর সকলে মিলে দুপুরে একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি ছেলে ঘুমিয়ে যায় আমি ঘুমাই নি, কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। আধা ঘন্টার মতন ফোন ব্যবহার করলাম তারপর আসরের আযান দিল নামাজ পড়ে নিলাম।

আসরের নামাজ পড়ে উঠে বাসার ভিতরে হাঁটাচলা করে সময় কাটাই। কিছুক্ষণ বাসায় হাঁটাহাঁটি করে ছেলের পাশে যেয়ে বসে থাকি। কিছুক্ষণ পর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল এবং ওকে নিয়ে পাশে বাসায় গেলাম, কারণ পাশের বাসার ভাবি আমাকে ডাকছিল তার সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য ওখানে বসে কিছুক্ষণ কথা বলার পর হলো আরেক কান্ড, আমি কথা বলতে ছিলাম আর ছেলে খাট থেকে একা নামতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে গেল ব্যথা হাতে আবারে ব্যথা পেল। হাতটা কোনরকম ভাবেই ধরতে দিচ্ছে না কালকের চেয়ে আরো ব্যথা পেয়েছে হাতটা সঙ্গে সঙ্গে ফুলে উঠেছে।

1000118503.jpg

প্রায় অনেকক্ষণ পর ওর কান্না থামল এবং হাতের ব্যথা রয়েই গেল। এরপর মাগরিবের আজান দিল ওযু করে এসে ছেলেকে পাশে বসিয়ে হাতে চকলেট এবং জুস দিয়ে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠেছি সঙ্গে সঙ্গে কারেন্টটা চলে গেল। কি আর উপায় হাতে টস লাইট জ্বালিয়ে বাসায় হাটাহাটি করতে লাগলাম এবং জানালার পাশে ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।

1000119137.jpg

নয়টার সময় কারেন্ট আসলো তারপর ছেলেকে পাশে বসিয়ে রেখে পোস্ট লিখতে শুরু করলাম। পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ কাবার করতে পারেনি, ছেলের কারণে কান্না করতে লাগলো তারপর ফোনটা রেখে ওকে সান্ত্বনা দিয়ে কয়েক লোকমা ভাত খাইয়ে দিলাম। ওকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে, আমি এশার নামাজ পড়ি।

নামাজ শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে বাকি পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করি এতে প্রায় রাত বারোটা বেজে যায়। পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করে তারপর রাতের খাওয়া দাওয়া করি এবং খেয়ে শুয়ে পড়ি তখনো সাহেব বাসায় আসেনি।। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেলো, সবার সুস্থতা কামনা করে এখানে বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...
 5 hours ago 

সারাদিনের কার্যক্রম আসলে অসাধারণ ছিল , এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।

বহিরের বাতাস থাকলে পরিবেশ সুন্দর থাকে, ঠান্ডা হাওয়া শরীর এবং মন দুইটাই শান্ত করে দেয়, বাহিরে বাতাস না থাকলে অনেক সময় ফ্যানের বাতাসও গরম লাগে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 59 seconds ago 

আরো একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের এদিকে দুপুরের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সকালে বৃষ্টি হয়নি দেখে আবহাওয়ার সেরকম ঠান্ডা ছিল না। রুটি বানানো একটু কষ্টের কাজই বটে। দুপুরে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করেছেন এটি আমার খুব প্রিয় খাবার। আপনার ছেলে আবার আজকে ব্যথার জায়গায় আঘাত পেয়েছে শুনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেনো দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 58431.12
ETH 3142.83
USDT 1.00
SBD 2.43