Better Life With Steem || The Diary game || 10/4/2024
বিসমিল্লাহি রহমানির রহিম
কালকে থেকে সাহেব অনেক অসুস্থ,, সে অসুস্থ থাকার কারণে মনটা একটুও ভালো লাগছে না ভীষণ খারাপ লাগছে। অসুস্থ থাকার পরও হাত পা ঘুটে বাসায় বসে থাকতে পারলো না। তারপরও দোকানে যেতে হয়েছে। সাহেব রাত ৪ঃ০০ টায় বাসায় ফিরেছে,, এরপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয় সেহরি ভাত খাওয়ার পর একটা ঔষধ খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আবার শুয়ে পড়ছে। আবার এতটা পরিমাণ জ্বর আসছে যে শরীলে তিনটা কম্বল দেওয়ার পরও যিকুলি দিচ্ছে।
অসুস্থতার কারণে সে দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি এবং আমিও সারারাত ঘুমাইনি। সকাল সকাল একটু ঘুমিয়েছে আমি আর ঘুমোতে পারেনি সকাল ৯ টার সময় ঘুম থেকে উঠে গেছি। উঠে হাত মুখটা ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বেচিনে জমে থাকা বাশি থালাবাসন গুলো ধুয়ে নিলাম। এরপর ঘরটা সুন্দর করে ঝাড়ু দিয়ে তারপর কিছুক্ষণ বসলাম।
ছেলেরও শরীরটা ভীষণ খারাপ এই দুইদিন ধরে বারবার বাথরুমে যাচ্ছে, ওষুধ খাওয়ার পরও কমছে না। এই দুইজনার অসুস্থতার কারণে একটুকু ভালো লাগছে না তারপরের দিন আবার ঈদ। যাইহোক ছেলেকে কিছু খাইয়ে তারপর ওষুধ খাইয়ে দিলাম।
এদিকে সাহেব ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তার কাজে আবার চলে গেল। এরপর আমি গোসল করলাম এবং ছেলে কেউ গোসল করিয়ে দিলাম। তারপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তারপর যাই রান্নাঘরে রান্না করতে। আজকে তেমন কিছু রান্না করবো না আর ইফতারের জন্য কিছু করবো না, সাহেব দোকানে ইফতারি করবে আর আমার নিজের জন্য কিছুই বানাতে ইচ্ছা করছে না তারপর আবার মনটা ভীষণ খারাপ। তাই ভাবছি চিচিঙ্গা রান্না করবো আর আলু ভর্তা।
রান্নাবান্না শেষ করে উঠেছি এরপরে আসরের আজান দিল, আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুটা সময় রেস্ট নি,এরপর ফোনটা হাতে নিয়ে কয়েকটি কমেন্ট করি। ও হ্যাঁ এর মাঝে কিন্তু ছেলেকে ভাত খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। এদিকে আবার মেয়ে নিজের হাতে মেহেদি লাগাতে আর ছেলে এসে বলে সেও হাতে লাগাবে। তারপর হাতে লাগিয়ে দিলো আর এমন চুপটি করে বসে ছিল যে অনেক বুঝদার একটা ছেলে মতো । মেহেদি লাগিয়ে হাতটা এমনভাবে রাখছে যে কারো কাছে মিশেনা আর কাউরে হাতটা ধরতেও দেয় না।
এরপর ঠিক মাগরিবের ১০ মিনিট আগে রান্নাঘরে গিয়ে আমার জন্য শুধু এক গ্লাস ট্যাংয়ের শরবত গুলি। এরই মাঝে দেখি সাহেব বাসায় চলে এসেছে এবং হাতে করে নান রুটি আর গ্রিল নিয়ে এসেছে। এরপর সেগুলো দিয়ে সবাই ইফতার করি। ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করি।
নামাজ পড়ে উঠেছি আর এদিকে দেখি সাহেবের আরো প্রচন্ড জ্বর বেড়ে গেল। এরপর একটা ওষুধ খাইয়ে কপালে জলপট্টি দিয়ে দিলাম । তারপর আবার বলে আমার পুরো শরীর ব্যথা করছে এরপর আমি হাত পা কিছুক্ষণ টিপে দিলাম আর সে ঘুমিয়ে পরল। কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর জ্বর কিছুটা পরিমাণ কমলো তারপর আবার রাত ৯ টা বাজে দোকানে গেল।
সাহেব রাত ৯টা বাজে দোকানে যাওয়ার পর আমি এশার নামাজ পড়লাম। ছেলেকে রাতের ভাত খাওয়াল এবং আমরাও মা মেয়ে খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে রেখে শুতে শুতে প্রায় রাত বারোটা বেজে গেল। তারপর পোস্ট লিখতে বসেছি, পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করে তারপর আল্লাহর নাম স্মরণ করে ঘুমিয়ে পড়েছি।
আশা করছি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পড়বেন আর পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
প্রথমে আপনাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। সত্যি কথা বলতে বাড়ির কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায়।
তাহলে কোন আনন্দই আর আনন্দ থাকে না। আর এদিকে তো আপনার স্বামী এবং সন্তান দুজনে অসুস্থ। দোয়া করি আপনার স্বামী এবং সন্তান তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।