Better Life With Steem || The Diary game || 10/09/2024
একদিন সকালবেলা উঠতে অলসতা করলেই প্রতিদিনই অলসতা পড়ে যায়। প্রায় এই তিন চার দিন ধরে ঠিক মতন সকালবেলা উঠতেই পারি না। শুক্রবার আসলেই রাতে একটা ভালো লাগে যে, কালকে সকালে তাড়াহুড়ো করে সব ঘুম থেকে উঠতে হবে না নামাজ পড়ে আবার ঘুমাতে পারবো।
শুক্রবার দিন পরে পরে ঘুমাই তাই প্রতিদিন সকালে উঠতে লেট হয়। আজকে সকালে ছয়টা ১৫ মিনিটে উঠেছি। আমি উঠে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে উঠালাম, অনেকটা লেট হয়ে গেল দেখে তারপর ও মাদ্রাসায় যায়নি, বলে দেরি করে গেলে অনেক বকা দেবে তাই সেই ভয়তে আজকে মাদ্রাসায় যায়নি। মাদ্রাসায় ভোর পাঁচটা সময় উপস্থিত থাকতে হয়। আর সেই জায়গায় ছয়টা পনেরো মিনিট বেজে গেছে অনেকটা লেট হয়ে গেল।
এরপর আর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হাতমুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চলে যাই। রান্না ঘরে গিয়ে আজকে সকালের নাস্তার জন্য ভাত মসলা রান্না করি। আসলে মসলা দিয়ে ভাতটা রান্না করা আমাদের বাসায় সকলেই খুব পছন্দ করে আর এটাই বারবার রান্না করতেই হয়। কয়েক ধরনের মসলা দি যেমন, ধনিয়ার গুড়া, জিরার গুড়া, গুড়া গরম মসলা, ম্যাগী মসলা সব চাইতে এই মসলটাই বেশি স্বাদ এনে দেয়। এই কয় রকম মসলা দিয়ে ডিম ভাতটা রান্না করি।
আমার এটা রান্না করা হয়ে গেলে ভাইয়া খেয়ে এবং নিয়ে যায়। সে যাওয়ার পর আমি দরজা লক করে শুয়ে থাকি, আজকে আর ঘুমোয়নি অনেকক্ষণ ফোন ব্যবহার করলাম। এরপর নয়টার সময় উঠে সাহেবকে সকালের নাস্তা দেই সে খেয়ে গোসল করে মার্কেটে চলে গেল। সে যাওয়ার পর তারপর আমি খেলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি, দশটার ভিতরে। কোন ঝামেলা ছাড়াই আজকে রান্না বান্নাটা বারটার ভিতরে শেষ করি। প্রতিদিন সকালে ছেলেকে খাওয়াতে গিয়ে অনেক দেরি হয়। আজকে তাও লেট হয়নি ছেলে মেয়ে ঘুম থেকে উঠেছে সাড়ে বারোটায় তখন আমার রান্নাবান্না সবকিছু হয়ে গেল । আজকে রান্না করলাম লাউ, টমেটো দিয়ে ডাল, আর ভাজি, আমার রান্না শেষ হওয়ার পর ছেলে উঠল এরপর ওকে সকালে কিছু খাইয়ে দিলাম। খেয়ে খেলতে লাগলো এদিকে আমি সম্পূর্ণ ঘরটা আবার মুছে নিলাম।
সব কাজকর্ম করে আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিলাম। এরপর যখন দেখি দুপুর একটা বেজেছে আর আজানও দিয়েছে শোয়া থেকে উঠে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। গোসল করা হয়ে গেলে জোহরে নামাজ পড়ে আগে ছেলে মেয়েকে দুপুরে খাবার খাতে দিয়ে তারপর আমি খেলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে নিয়ে শুতে গেলাম এর মধ্যে সাহেব এসে যায় তারপর আর আমরা কেউ ঘুমাইনি। সাহেব আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর তাকে খেতে দিলাম। খেয়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়ে।
আজকের পুরো বিকালটা ছেলেকে নিয়ে দুষ্টুমিতে কেটে গেল। এরপর আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখায়। চাঁদটা দেখেই ছেলে চাঁদ মামা কবিতাটা বলে আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, কিছুক্ষণ চাঁদটা মেঘে ঢেকে যায় তারপর বল আম্মু আমার চাঁদ কোথায় লুকিয়ে গেছে। যাইহোক আমরা তিনজনে মিলে বিকেলবেলা অনেকটাই সময় কাটায়। আর তিনজন হল চাঁদটাকে আমাদের একজন সঙ্গী হিসাবে নিয়েছি তাই তিনজন ধরলাম।।
কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আযান দিলো এরপর অজু করে হাতমুখ ধুয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে সাহেবকে জিজ্ঞেস করি রং চা খাবে কিনা। এরপর সে হ্যাঁ বলাতে আমি রং চা করে বিস্কুট দিয়ে খেলাম। সন্ধ্যার নাস্তা করে তারপর পোস্ট লিখতে বসি।
আজকে বিকেলে ঘুমায়নি তাই পোস্টটা লিখতে গিয়ে অনেকবার হাই উঠেছে , অনেক ঘুম পাচ্ছিল আর ছেলেও ঘুমিয়ে পড়বে পড়বে ভাব তাই তাড়াতাড়ি পোস্টটা লিখে নামাজটা পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম।ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে বিছানা বাকি রেডি করে তারপর ছেলেকে ঘুম পাড়ায় এবং ওর পাশে আমিও শুয়ে থাকি। আজকের পোস্টটা ঘুম ঘুম চোখে লেগেছি জানিনা কতটুকু লেখা ভুল হয়েছে, একবার পড়ে নিয়েছি তারপর জানি না কতটুকু ভুল হয়েছে। আর ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাইকে থ্যাঙ্ক ইউ।।।
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সারাদিন তো আপনার খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটে। বাড়িতে কোন ছোট বাচ্চা থাকলে তার সাথে সাথে দুষ্টুমি মজা করতে করতে দিন কেটে যায়। আপনার সুন্দর পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
আপনার খাবার গুলো আসলে অনেক সুন্দর। শুধু আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আপনার ডিমের তৈরি খাবার আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আপনারা আগামী দিনগুলো আরো ভালো কাটবে। ধন্যবাদ।
মানুষ অভ্যাসের দাস তাই আমরা যেটা করি সেটা করতেই ভালো লাগে।। যাই হোক সকালে অলসতা লাগলো সঠিক সময় উঠেছে এবং নাস্তা তৈরি করেছেন এছাড়া ওরা রান্নাবান্না করেছেন।। এবং দিনটি বেশ ভালোভাবেই পার করেছেন।।