Better Life With Steem || The Diary game || 10/08/2024
![]() |
---|
এই দুইদিন ধরে নিজেকে এত মন মরা লাগছে কিছুই ভালো লাগছে না, আর দিনগুলো খুব বাজে ভাবে কাটছে। কিছু ভালো না লাগলোও নিত্যদিনের কাজকর্ম গুলো থেমে থাকে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চলে যাই, ছেলে মেয়ের জন্য নাস্তা বানাতে। আজকে সকালে নাস্তা বানিয়েছি পোলাও আর ডিম ভুনা কারন রাতে মেয়ে বলেছিল সকালে খাবো পোলাও ডিম, তাই এগুলো বানিয়ে দেওয়ার পর খেয়েও গেল আর সঙ্গে করে নিয়েও গেল। মেয়েকে সবকিছু গুছিয়ে দেওয়ার পর আবার কিছুক্ষণ শুয়ে পড়ি, ভাবছিলাম কিছুক্ষণ ঘুমাবো যেহেতু তাড়াতাড়ি উঠেছি তারপর কিছুতেই ঘুম আসছিল না। ঘুম না আসাতে শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করি।
![]() |
---|
সকাল হতে না হতেই কিছুক্ষণ পর সাহেব মার্কেট থেকে চলে আসলো কারণ সারারাত তারা দোকান পাহারা দেয়, এসে সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে যায় । এরপর ছেলে ঘুম থেকে উঠে যায়, হাতমুখ ধুয়ে এনে সকালে খাবার খাইয়ে দি। ছেলে সকালে খাবার খেয়ে তার খেলনা নিয়ে খেলতে লাগলো, আর আমি এদিকে রান্না ঘরে গেলাম রান্না করতে।
![]() |
---|
ভাবি বসে না থেকেই রান্না করি,খেতে হলে তো রান্না করতে হবে তাই তাড়াতাড়ি করে রান্নাটা করি। সাড়ে দশটার ভিতরে আমার রান্না বান্না সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেল। আর হ্যাঁ রান্নার শেষে মিষ্টি কুমড়ার বীচি ভেজে খেলাম খেতে বেশ ভালই লাগলো। কালকে মিষ্টি কুমড়া রান্না করার পর বীচিগুলা রয়ে গেল ভাবছি ভাজবো,ভাজাই হয়নি তাই আজকে ভেজে খেলাম। সব কাজকর্ম কমপ্লিট করে সবকিছু গুছিয়ে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। অনেকক্ষণ শুয়ে থাকার পর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।
আমাদের গোসল করা হয়ে গেলে তারপর ছেলেকে বলি যাও তোমার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলো। ছেলে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করলো উঠলো না আর আমি উঠাইনি, ভাবছি হয়তো সারা রাতের ঘুম এখনো পূর্ণ হয়নি ঘুমাক।
![]() |
---|
মা ছেলের গোসল করা হয়ে গেলে দুপুরে খাবার খেতে বসি। আমরা খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ি আর সাহেবের জন্য ভাত তরকারি বেড়ে রাখি। তারপর সে নিজের ইচ্ছামতন ওঠে গোসল করে খাবার খাওয়া দাওয়া করে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে মার্কেটে চলে যায়। আমি তখন ঘুমাই, ঘুম থেকে জেগে উঠিয়ে বলে আমি চলে যাচ্ছি দরজা লাগিয়ে দাও। এরপর আমি দরজা জানালা লাগিয়ে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে যাই।
![]() |
---|
এরপর ঘুম থেকে পাঁচটার সময় উঠে যাই তাও নিজে থেকে উঠিনি, ছেলে আগে উঠে আমাকে উঠেছে। ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বসে থেকে ভাইয়ার রুমে যাই, গিয়ে দেখি ভাইয়ার জামা কাপড় গুলো এলোমেলো হয়ে আছে কতগুলো রশিতে আছে আবার কতগুলো টেবিলে রাখা তাই সবকিছুগুলো ভাজ করে তার জায়গায় রেখে দেই। যেহেতু ভাইয়া বাসায় নেই কালকে সকালে তাদের বাড়িতে গেছে তো জানিনা বাড়িতে কয়দিন থাকে তাই তার রুমটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখছি।
![]() |
---|
এরপর সন্ধ্যা হল আজান দিল নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে এক পিস কেক খেতে দিয়ে, অল্প কিছু কাজে লেগে পড়ি আর কাজটা হলো, বিকেলে ভাইয়া কাপড়চোপড় গুছানোর সময় কয়েকটা গেঞ্জি চোখে পড়ে যেগুলো ঘামে খুব গন্ধ হয়েছিল। তাই ওগুলো ধুয়ে রশিতে মেলে দিয়ে ফ্যানটা ছেড়ে দিই শুকানোর জন্য।
এরপর কতক্ষণ ফ্যানের নিচে স্থির হয়ে বসে পোস্ট লিখতে শুরু করি। পোস্ট লিখে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দি, এরপর মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে যায় মেয়েকে নিয়ে আমি রাতের খাবার খেয়ে নেই।আমরা খেয়ে-দেয়ে শুয়ে পরি জানিনা সাহেব রাত কয়টার সময় আসে।এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতন এখানেই শেষ করছি।। (আল্লাহ হাফেজ)
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!