আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সমস্ত কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।
আজকে সকালবেলা টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে এবং ঘুমটা যেন খুব ভালো হয়েছিল তার জন্য সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক লেট করেছি মানে ছেলের সঙ্গে ঘুম থেকে উঠেছি। সকালের ঘুম থেকে উঠতে এত লেট করেছি যে তখন নাস্তা খাওয়ার কোন সময় ছিল না তার জন্য আমি ভাত খেয়েছি এবং ছেলেকে কেক খাইয়ে দিয়েছে। আর ও হ্যাঁ আমি পরশুদিন আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছি। নিজের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমি এতদিন পোস্ট করতে পারিনি তাই আজ আবার আপনাদের মাঝে আমি ফিরে এসেছি। যাইহোক আজকে সকাল বেলার আবহাওয়াটা অনেক খারাপ থাকার কারণে ঘর থেকে কোথাও বের হইনি এবং শুয়ে বসেই আছিলাম।
মধ্য দুপুর:আমি পরশুদিন আসছি তারপরের দিন আমার বড় বোন এসেছে আমার কথা শুনে।বেশিদিন থাকলো না আজকে বিকেলেই চলে যাবে। তাই আমার বোনের ছেলে মেয়ে বললো আন্টি আজকে ছোট চুলায় ডিম ভুনা এবং খিচুড়ি ভাত খাবো তারপর আমি ওদের জন্য দুপুরবেলা ছোটখাটো একটা আয়োজন করলাম ডিম ভুনাও খিচুড়ি । ওদের সাথে আমি খাবারে ভাগ নিলাম আজকে খিচুড়ি প্লেটে করে খাওয়া হয়নি অন্যরকম করে খাওয়া হয়েছে কলা পাতায় করে খাওয়া হয়েছে। আসলে কলা পাতায় খাওয়ার প্ল্যানটা আমার ছিল খিচুড়ি রান্নাটা বেশ দারুন হয়েছিল খেতে। ওদের চারজনের জন্য রান্না করছি তার সাথে আমরা কয়েকজনের খেতে যুক্ত হলাম। খিচুড়ি রান্না এগারোটার সময় শুরু করেছি বারোটার ভিতরে আমাদের খাওয়া-দাওয়া হয়ে গেল।
হালকা পাতলা খাওয়া-দাওয়া করে ছেলেকে গোসল করাতে গেলাম। ছেলেকে গোসল করিয়ে তারপর আমিও গোসল করে আসলাম এবং জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম । নামাজ পড়ে উঠে দেখি আমার আপু সবার জন্য টেবিলে ভাত বেড়েছে তারপর আমি আগে খেয়ে নিলাম আমার খাওয়া শেষ হওয়ার পর এরপর ছেলেকে খাওয়াতে বসলাম। আজকে দুপুরে খাওয়া হয়েছে মুরগির মাংস এবং তার সাথে আলু আর লাউয়ের ছোলা ভাজি।
আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে আর ঘুম পাড়াতে পারলাম না কারণ আমার বোনের ছেলে মেয়েকে পেয়ে অনেক দুষ্টুমি করে এবং ঘুমের কথা তার মনেই নেই। আমার আপু শশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য জামা কাপড় সবকিছু গুছিয়ে নিল। তারপর ওদের কে আমরা আমাদের মেইম রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসে আমি আসরের নামাজ পড়ি । সকালের দিকে আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল এবং বৃষ্টি ও পড়ছিল। বিকেলে ওয়েদারটা খুব ভালো লাগছিল তাই কিছুক্ষণ বিকেলে উঠোনে সময় কাটালাম।
 |
|---|
সন্ধ্যা হয়ে গেল এবং মাগরিবের আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠে দেখি ছেলে ঘুমানোর জন্য কান্না করে বিকেলে ঘুমায়নি তার জন্য সন্ধ্যা বেলায় ঘুমিয়ে পড়তে চেয়েছিল। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে দুধ দিয়ে কিছু ভাত মেখে এনে ছেলেকে কয়েক লোকমা খাওয়াতে পেরেছি ঘুমানোর জন্য পুরো ভাত খেতেও পারেনি তারপর ঘুমিয়ে পড়ল। ছেলে ঘুমিয়ে পড়লো এই সুযোগে আমি পোস্ট লিখতে বসেছি। এবং পোস্ট লেখার সময় কিছু বাদাম ভাজা খেয়েছি। এরপর বাদাম ভাজা খেতে খেতে আমি পোস্টটা লেখা শেষ করেছি। পোস্ট লেখা শেষ করে আগে এশার নামাজ পড়ে নিয়েছি তারপর রাতের খাওয়া দাওয়া করেছি। রাতের খাওয়া দাওয়া করে আর বেশিক্ষণ সময় জেগে থাকিনি ছেলে যখন আগে ঘুমিয়ে পড়েছে তারপর আমি ঘুমাতে গেলাম।
| সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ) |
|---|
আজকের সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে ঘুম থেকে উঠতে এত লেট করেছেন যে নাস্তাই করতে পারেন নাই। সকালে যখন উঠেছেন তখন আর নাস্তা খাওয়ার সময় ছিল না। যার কারনে একবারে ভাত খেয়ে নেন।
পরশুদিন আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসেছেন। এই খবর পেয়ে আপনার বড় আপুও আপনার বাবার বাড়িতে এসেছেন আপনার সাথে দেখা করার জন্য।
বোনের ছেলেদের জন্য আজকে আপনি খিচুড়ি রান্না করেছিলেন। আর সেটা প্লেটে না খেয়ে সবাই মিলে কলা পাতায় খেয়েছেন।
বিকেলে আপনার বোন চলে যায়। ভালো লাগলো আপনার সারা দিনের দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে যারা টিনের ঘরে থাকে তাদের বৃষ্টির দিনে ঘুমটা অনেক ভালো হয়। কারণ টিনে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ে ওই আওয়াজটা খুব ভালো লাগে তার জন্য ঘুমটা অনেক মধুর হয়ে যায়। আসলে খিচুড়ি রান্নার খাওয়াটা অন্যরকম করে আনন্দ করেছিলাম কলাপাতায় করে।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোষ্টি ধৈর্য সহকারে পড়ে আপনি খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
এরকম মাটির চুলা এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। মাটির চুলার রান্না কিন্তু অসাধারণ খেতে, যারা খেয়েছে শুধুই তারাই জানে।
শীতের সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়া টা একেবারেই আচমকা। ঐদিন আমিও বৃষ্টি থেকে অনেকটা অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই করার নেই এটাও সৃষ্টিকর্তা লীলা খেলা ভেবে, চুপচাপ বৃষ্টি পরা উপভোগ করলাম।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনার বোনের ছেলে মেয়েরা আপনার কাছে আবদার করেছে। আপনি সেই আবদার পূরণ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু শুকনার সিজনে হঠাৎ করে বৃষ্টি পড়া অবাক এর কারণ। বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম একটি ব্যাপার। তাই বোনের ছেলেমেয়ের আবদার ফেরাতে পারলাম না। ওদের আবদার পূরণ করা মেয়ের সাথে আমরাও খেতে পারলাম।
থ্যাঙ্ক ইউ আপু খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।
সকালে বৃষ্টি পড়লে ঘুম একটু বেশি ভালো হয়।। সকালে বৃষ্টি পড়ায় একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলে।। আর হ্যাঁ আজ আপনারা কলাপাতা করে খিচুড়ি খেয়েছেন দেখে আমার শৈশবের কথা মনে গেল। আমি ছোটবেলায় ঠিক এভাবেই কলা পাতায় পিকনিক করে সবাই মিলে খেতাম।।
টিনের ঘরে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ে ওই শব্দটা শুনতে খুব ভালো লাগে আর ঘুমটা যেন অনেক মধুর হয়। তাই সকালে বৃষ্টি পড়ার কারণে ঘুম থেকে লেট করে উঠেছি।
আর হ্যাঁ কলা পাতায় খিচুড়ি সেদিন খুব ভালো লাগছিল ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
শীতের চাইতেও গরমের দিনে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ঘুম অনেক ভালো হয়।।