Better Life With Steem || The Diary game || 1/1/2024
সকল স্টিমেটের বন্ধুদের সবাইকে জানাই হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৪। যে যেখানে যেরকম আছে না কেন ২০২৪ সালটা যেন সবার ভালো কাটুক এই দোয়াই করি। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই গতকালকের মানে নতুন বছরের দিনটা আমার কিভাবে কেটেছে। চলুন শুরু করা যাক।
🌺সকালবেলা🌺
সকালবেলা আজানের ডাক শুনে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল তখন ঘড়ি কাটায় পাঁচটা বেজেছিল। তারপর আব্বু আম্মুকে ডাক দিলাম নামাজ পড়ার জন্য। তারপর ট্যাবটা ছারলাম হাতে পানি নিলাম ও মা পানি আমাকে একটা ধাক্কা দিল। এরপর পানির সাথে যুদ্ধ করে ওযু সেরে নিলাম। ওযু করার পরে দেখলাম আমার হাত পা থেকে গরম বের হচ্ছে তখন খুব ভালোই লাগছে। তারপর ওয়াক্ত নামাজ পড়লাম এবং দুই রাকাত নফল নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ নামাজের পাটিতে বসে থাকলাম নতুন বছর যেন সবার ভালো কাটে এজন্য সবার জন্য 🤲 দোয়া 🤲করলাম। তারপর জায়নামাজের পাটি থেকে উঠে গেলাম এবং ছেলে পাশে শুয়ে থাকলাম এবং কিছু দোয়া পড়ে ছেলে শরীরে ফু দিয়ে দিলাম। আর ফোন থেকে সুরা মুলক দোয়াটি শুনতে লাগলাম এবং আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়লাম।
তারপর সকালবেলা চা-বিস্কুট মুড়ি দিয়ে নাস্তা করি এবং আমার সাথে ছেলেকেও খাইয়ে দি। ছেলের শরীরটা তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না সর্দি কাশি আর শরীরটা কেমন মেজমেজ করছে। আর খাওয়ার কোন রুচি নেই কিছুই খেতে চায় না। আর সকাল থেকে নোটিফিকেশনের আশায় থাকলাম কখন আমাদের টিমের রেজাল্ট বের হবে। আশায় থাকতে থাকতে বিকাল ৩ঃ০০ টা বাজে রেজাল্ট দেয় আলহামদুলিল্লাহ আমরা ফার্স্ট হয়েছি আর দেখে খুব খুশি হলাম। কিন্তু আমাদের মত বাকি সব বন্ধুরা অনেক চেষ্টা করেছে তাদের সততা ও ধৈর্য দিয়ে।আশা করি তারা সামনের দিকে এরকম ফাস্টে মুখ দেখতে পাবে এবং তাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
💗দুপুর +বিকেল💗
দুপুর ১১ টার সময় রান্না করার জন্য মা সবকিছু গুছিয়ে রইল এবং আমি মাকে কাজে সাহায্য করি। মাকে আমি কাজে সব গুছিয়ে দিয়ে তারপর আমি ছেলেকে নিয়ে আচল মা স্কুলে যায়। গিয়ে দেখলাম আচল মায়েরা বাচ্চাদেরকে অঙ্গভঙ্গি করে কবিতা শেখায় আর বাচ্চারাও সেরকম ভাবে করছে। আচল মায়েরা কিন্তু বাচ্চাদের অনেক খেয়াল রাখে পার্টিতে ঠান্ডা লাগে তার জন্য কম্বল বিছিয়ে দিয়েছে যাতে ওদের কোনো অসুবিধা না হয়।
স্কুল থেকে এসে দেখি মার রান্না-বান্না হয়ে গেছে এবং মা গোসল করতেও গেছে। তারপর আমি ছেলেকে হাতমুখ ধুয়ে দি শরীরটা অনেক খারাপ গোসল করাইনি। ছেলেকে আমি মায়ের কাছে রেখে দিয়ে আমি গোসল করতে গেলাম। গোসল করে এসে জোহরে নামাজটা পড়লাম তারপর ছেলেকে খাওয়াতে বসলাম। ছেলেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে এবং আমরাও খেতে বসলাম।
ছেলের শরীরটা খারাপ তার জন্য খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে চাই নি একটু কান্না করছিল তারপর বাহির থেকে একটু ঘুরে আসি। এরপরে ৩:৩০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে ওকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর আমি আছরের নামাজ পড়ে আসি। নামাজ পড়ে এসে ছেলের পাশে শুয়ে থাকি আর দেখতে পেলাম ওর ঘুমোতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে কারণ সর্দি কারণে শ্বাস নিতে পারছে না।
🌷সন্ধ্যা+ রাত🌷
সন্ধ্যা হয়ে গেল অজু করে আসলাম আর ছেলেও ঘুম থেকে উঠল না। তারপর আর উঠাইনি কারণ দেরিতে ঘুম পরেছে আরো শরীরটা অনেক খারাপ। ওকে ঘুম দেখে আমি মাগরিবের নামাজ পড়লাম এবং কিছুক্ষণ বসে থাকলাম তারপর মা একটা পেঁপে নিয়ে এসেছি আর পেঁপেটা হলো আমাদের গাছের। এরপর সন্ধ্যায় পেপে কেটে সবাই খেলাম।
আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ) |
---|
যাক বছরের শুরুর দিনটা আপনি ভালো কাজ দিয়ে শুরু করেছেন এবং সবার জন্যে দোয়া করেছেন।
অভিনন্দন আপনি ও আপনার টিম্ব্র অন্যন্য মেম্বারদেরকে, কন্টেস্ট বিজয় এর জন্যে।
আপনার বেবি টা খুব মিষ্টি দেখতে মাশাল্লাহ।
ধন্যবাদ আপু, সুন্দর দিনটি শেয়ার করার জন্য
বছরের প্রথম দিনটা আমি আল্লাহর গুনো গান গেয়ে শুরু করেছি। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য দোয়া করেছি যাতে সবাই এই দুনিয়াতে সচরিত্রভাবে কাজ করে আল্লাহর কাছে যেতে পারে। পরকালে যেয়ে যেন দুনিয়ার হিসাবগুলো খুব সুন্দর করে দিতে পারে।
থ্যাংক ইউ দাদা খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।
দোয়া করি যেন আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো। সাথে বিজয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন রইলো।
ভোর পাঁচটার সময় উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযু করে নামাজ পড়ে নিয়েছেন।সাথে সূরা মূলকও পড়েছেন। এটা পরা খুব ভালো। পরে আবার কম্বলের নিচ ঢুকে পরেন।
সকালে ওঠে শুধু চা-বিস্কুট আর মুড়ি খান।অন্য কিছু খান নাই।
এরপর মাকে দুপুর রান্নার কাজ্র হেল্প করে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে যান। এসে ভাত খান। কিছুক্ষন পরে টুর্নামেন্টের রেজাল্ট জানতে পারেন।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
*নববর্ষের শুভেচ্ছা। আপনার পোস্টটি পড়ে "আঁচল মা "স্কুল সম্পর্কে জানতে পারলাম। তারা খুব যত্ন সহকারে বাচ্চাদের পড়ান জেনে ভালো লাগলো।
সকালের নাস্তা বিস্কুট ও চা মড়ি দিয়েই সেরে
নিলে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেছিলে কি ঘুম পাড়িয়ে দিলে। দেরিতে ঘুমাতে সে ঘুম থেকে
উঠে যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পর আপনি একটু জোর করে উঠাতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে কান্না করছে।
সন্ধ্যা থেকে খেলেন যা আপনার মা টেনে সামনে
দিয়েছে। এভাবে আপনার দিনটি অতিবাহিত হল ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলেছেন শীতের দিনে সকালবেলা পানি ধরা মানে ,পানির সাথে এক কঠিন যুদ্ধ করা। এই যুদ্ধে আপনি বিজয়ী হয়ে ওযু করে নামাজ পড়েছেন ।
জয়ের জন্য আপনাদের অভিনন্দন রইল ।যেহেতু ঠান্ডার পরিমান টা একটু বেড়ে গেছে তাই বাচ্চাদের এই সময় জ্বর, ঠান্ডা লেগে থাকে। বাচ্চাদের দিকে একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে ।
আপনার ছেলেকে আচল মা স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন এবং আপনি লিখেছেন সেখানকার শিক্ষকগণ অনেক যত্নশীল বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগবে বিধায় তারা বাচ্চাদের স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে কম্বল বিছিয়ে দিয়েছেন। বাবা-মার পরে শিক্ষকের স্থান ।তাই শিক্ষকগণ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের তাদের সন্তানের মত ভালবাসেন । তার মাঝে আপনার মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করেছেন ।বাবুটাকে জোর করে ঘুম থেকে উঠিয়েছেন বলে বাবু কান্না করছে তবে বাবুটার ছবি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে ।ওর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল ।
সত্যি, শীতকালে ঘুম থেকে উঠে জলে হাত দিলে মনে হয় যেন কারেন্ট মারছে। কখনও শীত বেশী কখনও শীত কম এই কারণে মনে হয় আপনার ছেলের শরীর খারাপ হয়েছে। পারলে একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিন। গাছের পাকা পেঁপের স্বাদই আলাদা হয়। আপনারা নিশ্চয়ই ভালো উপভোগ করেছেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকাল বেলা আপনি চা খেতে পছন্দ করেন আর এটা আপনার পোস্ট গুলো পড়লে বোঝা যায়। আপনার সাথে আপনার ছেলে ও খেয়ে ছিলো শুনে ভালো লাগলো। সন্ধ্যা বেলা পেঁপে খেয়ে ছিলেন। পেঁপে অনেক পুষ্টিকর ফল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শীতের সময় আমি চা খেতে বেশ পছন্দ করি। কিন্তু এরকম আমার মতন অনেক মানুষের চা খেতে বেশ পছন্দ করে। আর আমার ছেলে সকালে ঘুম ভাঙলে চা চা করে বিছানা থেকে উঠে । এবং তাকে গরম চা খেতে দিতে পারি না তাই চায়ের ভিতর পানি পুড়িয়ে তারপর চা খেতে দেই। ঠিক বলেছেন পেঁপে অনেক পুষ্টিকর একটি ফল।
আমার সারাদিনে ডেইরি গেম পরে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।