Better Life With Steem || The Diary game || 09/09/2024

in Incredible Indialast month
1000148496.jpg

হ্যালো সকল বন্ধুরা, সবাইকে আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আজকের সারাদিনের মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।


প্রতিদিনের মতোই আল্লাহর নামে শুকরিয়া আদায় করে । সকাল ছয়টা সতেরো মিনিটে ঘুম থেকে উঠি, আজকে ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়ে গেল তাই তাড়াতাড়ি করে হাতমুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চলে যাই। ভাবছি আজকে খিচুড়ি রান্না করবো তাই তাড়াতাড়ি করে খিচুড়ির চাল ধুয়ে সব কিছু গুছিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম।

1000148458.jpg

এদিকে রান্না করতে করতে ভাইয়া যাওয়ার সময় হয়ে গেল , সাতটার সময় ভাইয়া উঠলো কিন্তু দুঃখের বিষয় তখনো আমার খিচুড়ি রান্না হয়নি। তারপর তাড়াতাড়ি করে ভাইয়াকে কিছু খেতে দিলাম সে না খেয়ে চলে গেলো এদিকে তার সময় অনেকটা বেশি হয়ে গেল। অবশেষে কিছুই না খেয়ে ভাইয়া বাসা থেকে বের হয়ে গেল।

1000148461.jpg

তারপর আমি আমার রুমে চলে যাই কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। এর মধ্যে চোখটা একদম ঘুমে লেগে আসছে তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল ৭ টায় ঘুমিয়ে আবার দশটার সময় উঠি , উঠে সকলে মিলে সকালের নাস্তা খেলাম। সাহেব নাস্তা করে ছেলেকে বাজারে নিয়ে গেলো ছেলের চুল কাটতে আর কিছু কাঁচা বাজার আনতে। মোটামুটি যা যা দরকার ছিল সেগুলো আনলো।

1000148472.jpg

এদিকে তারা চুল কাটতে গিয়ে বাপ ছেলে দুজনেই চুলে মেখে গেল। আজকে কেন জানি ছেলে চেয়ারে বসে চুল কাটতে চাইনি খুব ভয় লাগছিল। তাই ওর বাবা কোলে নিয়ে বসলো তারপর চুল কাটল তারপর বাপ ছেলে দুই জনেই চুলে পুরো শরীর মেখে গেল। বাসায় এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারা বাপ ছেলে গোসল করে আসলো। আর এদিকে ছেলে গোসল করে এসে একটা গাজর নিয়ে খুব মনোযোগ সহকারে খেতে লাগলো।

1000148476.jpg
1000148477.jpg

এরপর আমি আর বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে থেকে রান্নাঘরে গেলাম। আস্তে আস্তে করে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করা শুরু করে দিলাম। সবকিছু গুছিয়ে নিতে একটু লেট হয়ে গেল আর বুঝতেও পারছি আজকে রান্না করতে লেট হবে। তাই ভাত আর শাক আগে রান্না করে তারপর পেঁপে চুলায় বসিয়ে দিয়ে আমি গোসল করে আসি। গোসল করে আসতে আসতে এদিকে প্রায় পেঁপে রান্না হয়ে গেল তারপর ঠিকঠাক মতন হয়েছে কিনা দেখে উঠিয়ে নিলাম।

1000148481.jpg

পেঁপে রান্না উঠিয়ে তারপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে আগে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি তারপর আমরা মা মেয়ে খেলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে রইলাম ছেলে মেয়ে ঘুমালো আমি ঘুমাইনি ফোন ব্যবহার করছিলাম। কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করার মধ্যে সাহেব এসে যায় তারপর সে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর তাকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষে বিশ্রাম নিলো আমিও কিছুক্ষণ আবার বিশ্রাম নিলাম। এরপর আসরের আজান দিল নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠে দিলাম উঠে হাতমুখ ধুয়ে এবং কিছু খেয়ে মাদ্রাসায় গেল।

1000148495.jpg

সাহেব ছয়টার সময় বাসা থেকে বের হল এরই মধ্যে মাগরিবের আজান দিল। এরপর হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে নামাজ পড়ি আর ছেলেকে ঘুম থেকে উঠাই। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বাদেই ছেলেকে খেতে দিলাম। নিজে একাই একাই বিস্কুট খেয়ে নিল আমাকে খাইয়ে দিতে হয়নি।

আর হ্যাঁ, আর একটা কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম আমার মা ভীষণ অসুস্থ। আলহামদুলিল্লাহ মার সাথে কথা হল আগের চেয়ে একটু সুস্থ হয়েছে। মার সুস্থের কথা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম। এরপর কিছুক্ষণ পর বড় আপুর সাথে কথা বলি এবং মায়ের কথা আবার জিজ্ঞেস করি। আপুর সাথে ৭-৮ মিনিটের মতন কথা বলে আমি আমার পোস্ট লেখার কাজে লেগে পড়ি।

পোস্ট লিখতে বসে আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কি কি করেছি সেগুলো মনে করি। আজকাল কেন জানি আমি সবকিছুই ভুলে যাই। তাই আস্তে আস্তে করে সবকিছু মনে করে পোস্ট লিখতে শুরু করে দি। পোস্ট লিখতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। এরপর এশার নামাজ পরে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দেই। ছেলেকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে ওর সঙ্গে শুয়ে থাকি। আজ আর লিখব না সবাই সুস্থতা কামনা করে এখানেই, বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 last month 

আপু ছোট বাচ্চারাদের চুল কাটানোর সময় একটু দুষ্টুমি করে ঠান্ডা হয়ে ঘুরতে চায় না শুধু নড়ানড়ি করে। চুল কাটার সময় বাপ ছেলে দুজনের গায়ে চুল মেখে গিয়েছি তারপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে।

আপনার ছেলের চেয়ে অনেক অনেকবড় একটি গাজর ধরিয়ে দিয়েছেন খাওয়ার জন্য। সবচেয়ে আমার এই ছবিটা বেশী ভালো লাগছে।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কার্যক্রম খুব ভালো হবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

 last month 

সারাদিন সংসারিক কাজকর্ম এবং বাচ্চাদের দেখা শোনা করতে করতে আপনার দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায়।
খুব সুন্দর গুছিয়ে কাজ করে আপনি,বাচ্চারা এমনি করে মাথার চুল কাটতে গেলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত চুলে মেখে যায়।

আমার মেয়ে এমনটা করে আমার মেয়েকে তো এখনো পর্যন্ত দোকানে নিয়ে গিয়ে চুল কাটতেই পারিনি,,, কারণ তাহলে বাজারের মানুষ জানবে যে আমার মেয়ের চুল কাটা, এত বেশি কান্নাকাটি করে যেটা একদম বিরক্ত,, গাজর খাওয়া অনেক ভালো বাচ্চাদের শরীরের জন্য আরও বেশি ভালো।।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি দিনের কার্য করুম শেয়ার করার জন্য।

 last month 

সকালে উঠে আবার ঘুমিয়ে ছিলেন এটি অনেকেই করে থাকে আমার মাঝে মাঝে হয়।। দেখতে দেখতে ছেলে কত বড় হয়ে গেল, এইতো কয়েকদিন আগে মনে হল বাবুটা পৃথিবী দেখলাম আর এখন কত বড় হয়ে গেছে।। যাইহোক সংসারের কাজ প্রতিদিনই নিয়মিত করা সেটা দেখে বেশ ভালো লাগে।।

 last month 

আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রমে খাদ্য তালিকায় বেশি দেখা যায়। ছেলের সাথে আশা করি সময় খুব ভালোই কাটছে, এইতো অল্প দিনেই অনেক বড় হয়ে গেছে। সময় খুব দ্রুত চলে যায় এবং মানুষের পরিবর্তনও খুব দ্রুত হয়।।
একটা কথা না বললেই নয়, খাবার গুলো খুব এট্রাক্টিভ মনে হয় এবং লোভনীয়

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65709.71
ETH 2614.52
USDT 1.00
SBD 2.69