Better Life With Steem || The Diary game || 08/8/2024
![]() |
---|
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। এই তিন চার দিন ধরে বাসায় নেটওয়ার্ক ছিল না, ওয়াইফাইর খাম্বা থেকে সবকিছু ছিঁড়ে ফেলেছে গোলাগুলির সময়। তাই সব কিছু ঠিকঠাক করার পর আজকে বিকালে নেটওয়ার্ক পেলাম।
![]() |
---|
সকালবেলা ৬:১৬ তে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে সরাসরি রান্নাঘরে চলে যায়। প্রথমে মেয়ের জন্য সকালে নাস্তা বানিয়ে দি ও খেয়ে এবং টিফিন বক্সে করে নিয়ে যায় তারপর সাতটা বাজে মাদ্রাসায় চলে গেল। মেয়েকে সবকিছু ঠিকঠাক মতন গুছিয়ে দিলে তারপর আমাদের জন্য সকালে নাস্তা বানায় রুটি আর ডিম ভাজি।
সকাল থেকে মনটা একটু ভালোই ছিল, সাহেব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমার মনের ভিতর এক বালতি গরম পানি ঢেলে দিল। তার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। সকালটা শুরু হলেই গাধার মতন ঘরের সব কাজগুলো করি তার ভিতরে যদি একটু কোন ত্রুটি হয় সেগুলো যদি ধরে বসে থাকে তাহলে ভীষণ খারাপ লাগে।। মাঝের মতো মনে হয় সব কিছু ছেড়ে কোথাও যেতে পারতাম যেখানে শুধু আমি একা।।
![]() |
---|
কোনরকম করে সকালে নাস্তা করে তারপর দুপুরে রান্না কাজে লেগে পড়ি, আজকে দুপুরে কি কি রান্না করব সাহেবকে জিজ্ঞেসও করিনি, এবং কোন বাজারের কথাও বলিনি যা ছিল তাই নিজের মতন করে রান্না করে নিলাম তার ভিতরে মনটা ভীষণ খারাপ। রান্না হয়ে গেলে কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।
গোসল করে আসা মাত্রই সাহেব মার্কেট থেকে চলে আসে এবং মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে গেল। তারপর তারা গোসল করে আসার পর তাদেরকে দুপুরে খাবার খেতে দিয়ে আমি ছেলেকে খাওয়াতে বসি।ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে তারপর আমি নিজেও খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম এবং ঘুমিয়ে পরি । এরপর বিকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে ঘুম থেকে উঠে, মেয়ের জন্য নুডুলস রান্না করে দি খেয়ে ছয়টার ভিতরে আবার মাদ্রাসায় চলে গেল।
![]() |
---|
মাগরিবের আজান দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ছেলেও ঘুম থেকে উঠে গেল ওর জন্য কিছু নুডুলস রেখেছিলাম ওগুলো ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নিলো। ছেলে সন্ধ্যার নাস্তা করে ও খেলতে বসল আর আমি পোস্ট লিখতে বসি। কি লিখব কিছুই মনে করতে পারছি না তাই ধাপে ধাপে মনে করে পোস্ট লিখছি।
যখন পোস্ট লিখেছিলাম তখন ছেলের চিপস খাবে বাহানা করছিল তাই নিচে গিয়ে ছেলেকে চিপস কিনে দিয়ে আবার বাকি পোস্ট লেখাটা শুরু করি। পোস্টটা সম্পূর্ণ লিখে কমপ্লিট করে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিই, ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে আমিও খেতে বসি এর মধ্যে মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে যায়। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল, সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মতন এখানেই শেষ করছি।। (আল্লাহ হাফেজ)