Better Life With Steem || The Diary game || 06 September 2023
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ডেইলি গেম সারা দিনে কর্মসূচি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব চলুন শুরু করা যাক।
প্রতিদিনের মতো সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে হাতে ব্রাশ নিয়ে দাঁত ব্রাশ করে ওযু সেরে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে যতো বাসী কাজ ছিল ওগুলো আমি করি। তারপর সকালে নাস্তা খায় ওছেলে মেয়েদেরকে খাওয়া দাওয়া করাই তারপর মেয়ে স্কুলে যায়। সকালে আমি সব কাজকর্ম করে হাতের মোবাইল নিয়ে কিছুটা সময় দি।মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষণ কাজ করতে করতে দুপুরে রান্নার সময় হয়ে যায়।
তারপর আমি দুপুরের রান্না করার জন্য তৈরি হয়ে যাই দুপুরে কি কি রান্না করবো ওগুলো আমি কেটেকুটে গুছিয়ে নিয়ে রান্না ঘরে যাই
তারপর রান্নাটা আমি চাপিয়ে দি।আমার আজকে দুপুরে রান্নার আইটেম ছিল চিংড়ি মাছ ও নারিকেল দিয়ে আমড়া ঝোল করে রান্না, ইলিশ মাছ ভুনা, চাল কুমড়া শাক।এগুলো আমার দুপুরে রান্না করার আইটেম ছিল। তারপর এগুলো আমি রান্না করি রান্না করার শেষ হওয়ার পর আমি ঘরটা ঝাড়ু দেই তারপর ছেলেকে গোসল করায়। ও আমিও গোসল করি তারপর ওযু সেরে যোহরের নামাজটা পড়ে নি। তারপর সবাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি একটু বিকেলে বিশ্রাম নি ছেলেকেও ঘুম পাড়ায়।
ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম বিকেলে আমি খুব বেশি একটা ঘুমাই না তো আর শরীরটা ভালো ছিল না তার জন্য ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর আমি ৫টার সময় ঘুম থেকে উঠে যাই আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার পর আমি একটু বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম অল্প কিছু কেনাকাটা করবো তার জন্য। মেয়ের জন্য একটা ফ্রকের কাপর নিলাম। ছেলে মেয়ের জন্য কিছু খাবার কেনে নিলাম আমার জন্য কিছু কিনলাম। এইসব কেনার জন্য আমি একটু বাজারে গেলাম।
কালকে আমার বাবার বাড়িতে যেতে হবে আমার দাদি মারা গেছে শুক্রবার দিন ৪১ দিন হবে তার জন্য মিলাদ পড়াবে। আর আমারও কিছু জরুরী কাজ আছে আমার জন্মনিবন্ধন কার্ড একটু সমস্যা আছে সেটা সারানোর জন্য যাচ্ছি। যাই হোক এইসব কারণে জন্য আমি বাবা বাড়িতে যাব আমার বেড়ানো হবে আর কাজগুলো সারানো হবে। আর বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলে কোন মেয়েদের না ভালো লাগে তাই বলেন। আমার বাজার থেকে আসতে একটু লেট হয়েছে।আশার কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজান দিয়ে দিছে।ছেলেকে আমি মেয়ের কাছে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দিয়ে ছিলাম এসে দেখি ছেলে উঠে গেছে।তারপর আমি ওযু করে মাগরিবের নামাজটা পড়ে নিলাম।
সন্ধ্যা বেলা কিছুক্ষণ পর হালকা একটু নাস্তা করে নিলাম সন্ধ্যায় নাস্তা খেলাম ডালের পেজো। এগুলো খেয়ে মেয়ে পড়তে বসলো। আর আমি মেয়ের জন্য জামাটা বানিয়ে নিলাম আমি মোটামুটি সেলাই মেশিন এর কাজ পারি কিন্তু আমার ননদ ছিল আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে তারপর আমি জামাটা বানিয়ে নিলাম।জামাটা বানানো শেষ করলাম তারপর এশার আজান দিয়ে দিলো নামাজ পড়ে নিলাম তারপর ছেলে মেয়েদের ভাত খেওয়ালাম তারপর তাদের খাওয়া শেষ করে আমরা সবাই খেতে বসলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে রেখে আমরা সবাই যার যার স্থানে ঘুমাতে গেলাম।
বন্ধুরা জানিনা আজ আমার পোস্টটি কেমন হয়েছে একটু অন্যরকম ভাবেই আজকের দিনটা কাটালাম আর সেটাই আমি আপনাদের শেয়ার করলাম। আর আমার লেখা যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ
আবারো আপনার আরেকটা দিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ঘুম থেকে উঠেছেন নামাজ পড়েছেন,,, নাস্তা বানিয়েছেন দুপুরের খাবার বানিয়েছেন। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে,,, আপনি আপনার ছেলের সাথে একটু ঘুমিয়ে পড়েছেন।
এরপর আপনি সেলাই করেছেন,,, আসলেই খুব সুন্দর হয়েছে আপনার সেলাই করা জামাটা। তারপর আপনারা পেঁয়াজু খেয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার একটা দিনের কার্যাবলী এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টেটি সম্পন্ন পড়ে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনি আপনার আরোও একটি দিন আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেখানে আপনি বলেছেন ঘুম থেকে উঠে সকালে কাজকর্ম করেই আপনার ছেলেমেয়েদের খাওয়া দিয়েছেন এবং আরো যে সকল কাজ ছিল সবগুলো খুব সুন্দরভাবে করেছেন।
দুপুরে রান্নাবান্নার জন্য ইলিশ মাছ ভুনা চিংড়ি মাছ আরো কিছু আইটেম রান্না করেছেন। আর আপনি বলেছেন গতকালকে বাবার বাসায় যাবেন আপনার দাদি মারা যাওয়ার ৪১ দিন হল তার উপলক্ষে মিলাদ দিবে।
আরো যে সকল কাজকর্ম আছে সবকিছু আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আপনাকে প্রথমে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ কারন আপনি আপনার দিনের কিছু স্মৃতিময় মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনি দিনের সকল সময় খুব ইনজয় এর সাথে পার করেছে।আপনি অনেক সুস্বাদু খাবার ও তৈরি করেছেন বাসায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।