Better Life With Steem || The Diary game || 04/08/2024
আজ সকালে চোখের ঘুম ভাঙ্গাতে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি ৬:৩৩ বেজে গেছে, তাই কোন এদিক-ওদিকে না তাকিয়ে সরাসরি রান্নাঘরে চলে গেলাম। রান্নাঘরে গিয়ে আগে মেয়ের জন্য নুডুলস রান্না করে দিলাম। আজ সকালে খেয়ে যেতেও পারিনি বেশি করে বক্সে দিয়ে দিলাম। আবার দুই জন ওর জন্য দাঁড়িয়ে রইল, তাই তাড়াহুড়া করে বাসা থেকে বের হলো।
মেয়েকে রেডি করে সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে তারপর আমাদের জন্য সকালে নাস্তা বানাই, আমাদের তিনজনের জন্য রুটি বানিয়েছি, আর ছেলেমেয়ে ওদের জন্য বেশি করে নুডুলস রান্না করে দিয়েছি। সকালের নাস্তা করে সরাসরি আবার ৯ টার দিকে রান্না ঘরে চলে যাই দুপুরের জন্য রান্না করতে,রান্না কাজটা তো করে করতেই হবে, তাই বসে না থেকে রান্নার কাজে হাত লাগাই।
আজ দুপুরে যা যা রান্না করব তার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না করেছি, চিংড়ি মাছ দিয়ে বেগুন আলু, কচুর গাডী, আর মাছের ডিম ভুনা। এগুলো রান্না করতে আমার বেশিক্ষণ সময় লাগেনি সাড়ে দশটার ভিতরে সবকিছু রান্নাবান্না হয়ে গেল।
যেহেতু আজকের রান্নাটা আরো তাড়াতাড়ি হয়ে গেল , তাই ঘরের কাজ গুলো খুব সুন্দর করে আস্তে আস্তে করে গুছিয়ে নিলাম। সব কাজ গুছিয়ে রেখে তারপর ১২টার মধ্যে গোসল করে আসি। গোসল করে এসে বসি তার কিছুক্ষণ পর জোহরের আযান দিলো তারপর নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। আমি খেতে খেতে মেয়ে মাদ্রাসা থেকে এসে গেল। মাদ্রাসা থেকে এসে আগে গোসল করে নিল তারপর দুপুরের খাবার খেতে দিলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে আমরা মা, ছেলে, মেয়ে, তিনজনই ঘুমিয়ে যায়। আর এদিকে সাহেব আর ভাইয়া তারা সকালে নাস্তা করে মার্কেটে চলে যায়। তারপর তারা বিকেলে কয়টার সময় আসে তা আমি জানি না ঘুমিয়ে যাই , ঘুমের ভিতরে রান্না ঘরের পাতিলে টাসটুস শব্দ পেয়ে উঠে যাই, গিয়ে দেখি তারা ভাত বেড়ে নিয়ে খাচ্ছে।
তারপর আমি গিয়ে বলি আমাকে ডাকলে না কেন, সে বললো তুমি ঘুমিয়েছো তার জন্য ডাকিনি আর আমরা তো নিয়ে খেতে পারি সমস্যা নাই। ঘুম ভাঙার পর আর ঘুমিয় নি, শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলাম।
আজকে বিকেলে ছাত্র আন্দোলনের এমন একটা ভিডিও দেখলাম যে ভিডিওটা দেখে আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি খুব কষ্ট লাগল। আর হায়া কার করে বলছি এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে।
কিছুক্ষণ মোবাইল দেখে উঠে যাই, মাগরিবের আযান দেওয়ার পর নামাজ পড়ি। মাগরিবের নামাজ পড়ে সাহেব এবং ভাইয়া তাদেরকে মধু দিয়ে রং চা করে দি,তারা বিস্কুট দিয়ে চা খেতে লাগলো আর ছেলেকে এক পিস কেক খাইয়ে দেই। তাদের সন্ধ্যার নাস্তা খাওয়া দাওয়া হলে আমি পোস্ট লিখতে বসে পড়ি।
আমার পোস্ট লেখা হয়ে যায় মেয়েও সাড়ে নয়টা বাজে মাদ্রাসা থেকে এসে যায় ।আসার পর হালকা কিছু খাবার খেতে দেই, তার কিছুক্ষণ পর ভাত খেয়ে নেই মেয়ের সঙ্গে ছেলেকেও খাইয়ে দি। খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল ওরা এগারোটর ভিতরে শুয়ে পড়ে। এরপর সাহেব ও ভাইয়া তাদেরকে খেতে দেই তারপর আমি খেয়ে নিই। রাতের খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে শুয়ে পড়ি। এভাবেই করে আমার আজকের দিন টা পার করি , সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)
আজকে আপনাদের সকালের নাস্তায় ছিল লুডুস। নুডুলস আমার কাছে অনেক প্রিয় সকালের নাস্তা হিসেবে নুডুলস খাওয়া খুবই উপকারী কম সময়ের ভেতরে রান্না শেষ করা যায়।
এছাড়াও আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে অবশ্যই মানা করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক সময় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি করে নুডুলস বানানোর খুবই সহজ। আমিও মাঝে মাঝে সকালবেলায় নুডুলস বানায়। আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সারাদিন বেশ কাজকর্ম এবং সময় তার পিছনে কাজগুলো গুছিয়ে করতে করতে দিন যায় আপনার। সংসারের কাজের মধ্যে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো,সন্তানদের খেয়াল নেওয়া হচ্ছে বড় একটা কাজ। চিংড়ি মাছ দিয়ে বেগুন আলুর ঝোল অনেক বেশি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।