Better Life With Steem || The Diary game || 03/08/2024

in Incredible India8 days ago
1000134948.jpg

চোখের ঘুম ভাঙ্গার পরেই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যাই।উঠে মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে ফজর নামাজ আদায় করে তারপর রান্নাঘরে চলে যাই । রান্নাঘর গিয়ে প্রথমে মেয়ের জন্য নুডুলস রান্না করি খেয়ে ও যায় এবং সাথে করে নিয়েও যায়। সকাল সাতটার সময় যায় আর দুপুর একটা সময় আসে তার ভিতরে দশটার সময় খাবারের আধা ঘন্টা বিরতি দেয়।

1000134478.jpg

যাইহোক মেয়েকে খাইয়ে দিলাম এবং সাথে করে টিফিন বক্সে দিয়েও দিলাম। তারপর আমাদের জন্য সকালে নাস্তা বানানো শুরু করি। আজকে সকালের নাস্তা করেছি ডিম আর রুটি । আমার সকালে নাস্তা বানানো হয়ে গেলে কিছুক্ষণ সময় শুয়ে রেস্ট নি আর ফোন ব্যবহার করি ।

এরপর আবার যখন দেখি সকাল ৯ টা বেজে গেছে তাই শোয়া থেকে উঠে আবার রান্না করে চলে যাই। আর হ্যাঁ রান্না করতে যাওয়ার আগে কতগুলো কাপড়-চোপড় ভিজিয়ে রাখি ধোয়ার জন্য, যেই কাজটা আমার কাছে এত এত বিরক্ত সেই কাজটা প্রতিনিয়ত প্রতিদিনই আমার করতে হয়। প্রতিদিন পাঁচ জনার জামা কাপড় এক বল ধুতে হয় যেটা আমার বিরক্ত কাজ করে।

গোসল করতে গেলে প্রায় ৩০ -৪০ মিনিটের মতন লেগে যায় কারণ কাপড় গুলো ধুতেই আমার আধা ঘন্টার মতন সময় লাগে।

1000134483.jpg

যাইহোক ওগুলো একটা বলে ভিজিয়ে রেখে তারপর রান্নাঘরে চলে যাই, আজকে দুপুরে কি কি রান্না করবো তাই সব কিছু বুঝে কেটে কুটে গুছিয়ে নিলাম। তবে আজকে রান্না করতে আমার সময় লাগে নি সাড়ে এগারোটার ভিতরে রান্না হয়ে গেল। রান্নাবান্নার কাজগুলো শেষ করে তারপর গোসলের উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। আগে ছেলেকে গোসল করে দিয়ে তারপর জামা কাপড় গুলো ধুরে শুকা দিয়ে আমি গোসল করে নিলাম।

1000134577.jpg

গোসলের কাজ সেরে তারপর জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে মেয়েকে ভাত খেতে দিলাম এবং ছেলেকেও খাইয়ে দিলাম। ছেলের খাওয়া শেষ হলে আমি খেয়ে নিলাম। আমি খেয়ে হাতটা মুছতে লাগলাম এর মাঝে দেখি সাহেব এবং ভাইয়া তারা চলে এসেছে, তারপর তাদেরকেও দুপুরে ভাত খেতে দিলাম।

তাদের খাওয়া শেষ হলে সব কিছু গুছিয়ে রেখে এরপর ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে ওর সঙ্গে সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে যাই, আজকে বেশি গভীর ঘুমের কারণে আসরের নামাজ পড়তে পারেনি মাগরিবের আজানের ১৫ মিনিট আগে উঠেছি, তাও মেয়ে ডেকে তুলেছে কারণ ও মাদ্রাসায় আবার চলে যাবে তাই ।

1000134690.jpg

১৫ মিনিট সময় কাটানোর পর মাগরিবের আজান দিল এরপর অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে সময় কাটিয়ে তারপর ছেলেকে একটা ডিম পোজ করে দিলাম সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য, ছেলে খেতে লাগল আর আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি।

আজকের সন্ধ্যাটা একদম ভালো কাটেনি , ছেলে ঘুম থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিছানায় প্রস্রাব করে দিল এবং ভীষণ রাগ হলো আমার। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে পোস্টটা লেখাটা শেষ করলাম।

লেখালেখি শেষ করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। ছেলের খাওয়া শেষ হলে আমি খেয়ে নিলাম তখন রাত সাড়ে ১১ টা, সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে রাত সাড়ে বারোটা বেজে যায়। এভাবে করে আমার জীবন থেকে আজকের দিনটা পার হয়ে যায়, আজকে মতোন এখানেই বিদায় নিচ্ছি।। (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...
TEAM 1

Congratulations!

THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags


post.PNG

Curated by : @sduttaskitchen

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61110.96
ETH 2649.39
USDT 1.00
SBD 2.58