বিলেতি ধনিয়াপাতার ভর্তা রেসিপি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আশা করি সকল বন্ধুরা ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় অনেকটাই ভালবাসি।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিলেতি ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি।জানিনা আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগবে তবুও ভালো করার চেষ্টা করব।
সাধারনত এই বিলেতি ধনিয়া পাতা চাটনী ও ভর্তায় এটি খাবারে ব্যবহার করা হয়।এই সুগন্ধ খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।বর্তমানে বিলেতি ধনিয়া বাংলাদেশের ছাড়াও ভিয়েতনাম,কম্বোডিয়া, ভারত,মালেশিয়া,প্রভূতি দেশে চাষ হচ্ছে।
এই বিলেতি ধনিয়া রোপন করতে কোন কষ্ট হয় না এটি সচার আচার বাজারে পাওয়া যায়।বাজার থেকে যদি একটি গাছ এনে একটি ভালো নির্দিষ্ট জায়গা লাগিয়ে দেন তাহলে একটি চারা গাছ থেকে অনেকগুলো গাছ হয়ে যায়।
কারন গাছ টিটে ফুল ধরে ফুলে আবার বিচি হয় সেই ফুলের বিচি থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমনিতেই পড়ে।তাতেই আস্তে আস্তে করে অনেকগুলো গাছ হয়ে যায়।
এবার চলোন শুরু করা যাক বিলেতি পাতায় ভর্তাই কি কি আমার প্রয়োজন হয়েছে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১.ধনিয়া পাতা
২.পেয়াজ
৩.রসুন
৪.কাঁচামরি
৫.লবন
৬.আর বাজার জন্য কিছুটা তেল।
প্রস্তুতি পদ্ধতি
প্রথমে আমি ধনেপাতা গুলো ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিব।তারপরে পাতাগুলো কুচি কুচি করে নিব যাতে তেলের উপরে বাজতে ভালো হয়।
তারপর আমি মাজারি সাইজের একটি পেঁয়াজ ও রসুন নিব ওগুলো আমি কেটে নিব।
তারপরে আমি চুলার ওপারে একটি কড়াই বসিয়ে দিব কড়াইতে কিছুটা তেল দিব।তেলটা কিছুক্ষণ গরম হওয়ার পর আমি পেঁয়াজ রসুন দিয়ে দিব বাজার জন্য।
এগুলো হালকা ভাজা হওয়ার পর আমি ধনিয়া পাতা কড়াইতে ঢেলে দিব বাজার জন্য তার আবার কিছুক্ষণ পর কাঁচামরিচ দিয়ে দিলাম বাজার জন্য ওগুলোর সাথে। ওই সবগুলোই আমি ভালো করে বেছে নিব।
তারপরে কড়াইতে চুলার উপর থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা বাটিতে ঢেলে নিব।
তারপরে ওগুলো আমি সব কিছু পাটায় বেটে নিব আপনারা চাইলে ব্লেন্ডার করতে পারেন। আমি যেটা ভালো মনে করি পাটায় বেটে খাওয়াটাই মজাটা অন্যরকম।এখন আমার বাটা হয়ে গেছে।
তারপরে আমি পাটায় থেকে একটি ভালো বাটিতে উঠিয়ে নিব।এই যে দেখুন বিলেতি ধনিয়া পাতায় ভর্তা আমার বানানো হয়ে গেছে।
বিলেতে ধনিয়া পাতার কিছু উপকারিতা
১.অর্শশরোগ : বিলেতি ধনেপাতা বেটে সেই রস খেলে অর্শরোগীর রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
২.দাঁত মাড়ির সমস্যার: বিলেতি ধনেপাতা চিবিয়ে রস বের করে তা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে খুব দ্রুত, আর মাড়িও শক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. চুলকানি সমস্যার: দেহের চুলকানি পাচড়ায় এই পাতায় রস লাগালে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
৪.ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ:বিলেতি ধনেপাতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।
৫.হজমে সহায়ক: ধনে পাতা মানুষের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এটি খুদা বৃদ্ধি করে এবং বায়ুনাশক এটি খাবারের সহজে পরিপাক করে হজমে সাহায্য করে থাকে।
বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগবে তা জানিনা তবে কোন ভুল ত্রুটি হলে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ
আমি আগে কখনো বিলেতি ধনিয়া পাতা নাম শুনিনি। এটি খেতে কেমন হয় সেটাও জানিনা। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর এটি খেতে যেমনই হোক না কেন এর উপকারিতা গুলো অনেক বেশি যেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে বিলেতি ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি পোস্ট করেছেন। যেখানে আপনি সকল উপকরণ খুব সুন্দর হবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনি আরো বলেছেন বিলেতি ধনিয়ার পাতার উপকারিতা। সেগুলো আমার জানা ছিল না,, খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সম্পন্ন পরে সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনি ধনিয়াপাতার উপকারী দিকগুলো স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন।সেই সাথে এটার লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।ধনিয়াপাতা ভর্তা আগও খেয়েছি তবে বিলাতী টা খাওয়া হয়নি।এটা অবশ্যই মজার হবে।
ধন্যবাদ রেসিপির জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে একটি কমেন্ট করার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে বিলেতি ধনিয়া পাতার ভর্তা রেসিপি পোস্ট করেছেন। আসলে আপনার এই ভর্তা রেসিপি করা দেখে আমার নিজেরই লোভ লাগছে। আমি নিজে অনেক পছন্দ করি ভর্তা খেতে।
বিলেতে ধনিয়া পাতার নাম আগে কখনো শুনি নাই ৷ আজকে প্রথম আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম কেমন হয় বিলেতে ধনিয়া পাতা ৷ তারপর আপনি বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের দেখিয়ে দিছেন কিভাবে বিলেতে ধনিয়া পাতা ভর্তার রেসিপি তৈরী করা হয়ে থাকে ৷ যাই হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার বিলেতে ধনিয়া পাতা ভর্তা রেসিপি ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
বিলেতি ধনিয়া পাতা নাম আপনি কখনো শুনেননি। আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পালন বিলেতি ধনিয়া পাতা কি রকম। যাইহোক আপনি আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন যে বিলেতি ধনিয়া পাতা ভর্তা করে খাওয়া যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।
ভর্তা আমার বিষন প্রিয় খাবার। সেটা যেই ভর্তাই হেক না কেন।গরম ভাত আর ভর্তা আর কি লাগে।। আপনি ঠিক বলেছেন বিলাতী ধনিয়া তরকারির ঘ্রান বাড়িয়ে দেয়। হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন এর গাছ একটা লাগালেই এর বংশবিস্তারে বেশী সময় লাগে না। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত মজাদার ভর্তার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।