Better Life With Steem || The Diary game || 08/07/2024
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকের দিনলিপি গুলো শেয়ার করতে চাই। তবে এই পোস্টটা আমি কালকের লিখেছিলাম নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে কোনো ছবি বসাতে পারেনি তাই আজকে শেয়ার করলাম।
বন্ধুরা, আবারো আমি আপনাদের মাঝে প্রায় আট দিন পর ফিরে এসেছি। তবে নিজের কোন ব্যক্তিগত কারণে আটকে পড়িনি, আমার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম জুলাই মাসের 1 তারিখে নতুন ফ্লাইটে উঠবো, তাই নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার কারণে আবার নতুন ভাবে ওয়াইফাই লাগানো হয়েছে এবং লাগাতে দেরি হওয়ার কারনে, এতদিন পোস্ট করতে পারিনি। কাল রাতে ওয়াইফাই লাগিয়ে গেল তাই আজকে পোস্ট লেখা শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন থেকে পোস্ট লেখা মিস করবো না।
নতুন ফ্ল্যাটে আসার পর থেকে ঘরের কাজকর্ম গুলো মনে হয় আগের থেকে দ্বিগুণ বেড়ে গেল, যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে কিচেনে গিয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর থালাবাসন এবং পাতিল গুলো ধোয়া মাজা কারা শুরু করি। থালা-বাসন গুলো ধুয়ে ঠিকঠাক মতন জায়গায় রেখে তারপর সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। সকালে নাস্তা হিসেবে রুটি বানালাম তারপর গতকালকের তরকারি ছিল ওগুলো দিয়ে খেয়ে নিলাম।
সকালের নাস্তা খেয়ে উঠতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গেল, এরপর আমি আর অন্য কাজে হাত লাগাইনি রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আজকে রান্না করেছি আলু দিয়ে পাঙ্গাস মাছ, ডাল, এবং আলু ভাজি, আমার দুপুরের আমার সাড়ে বারোটার দিকেই হয়ে গেল। রান্না শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘর গুছিয়ে রেখে, সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে পানি দিয়ে মুছে নিলাম। রুম মুছতে গিয়ে আমার আধা ঘন্টা সময় লেগেছে এবং জোহরের আজানও দিয়ে দিলো।
হাতের কাজ শেষ হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল করা শেষ হলে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর একসাথে সবাই মিলে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাবার খেয়ে অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিলাম ছেলেকে ঘুম পাড়ালাম এবং সাহেবও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তার কাজে বেরিয়ে পড়ল।
এরপর আসরের আযান দিলো নামাজ পড়লাম ছেলে ও তার কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে উঠে গেল। ছেলে ঘুম থেকে উঠে আরেক কান্ড করল, দুদিন আগে আমার দুটো ডালগুটুনি, চুলের কাকড়া, এবং ওর বল, তিন তলা থেকে নিচে ফালিয়ে দিল। আর যে জায়গায় ওইগুলো ফেলেছে সেই জায়গায় কেউ সহজে যায় না অনেক নোংরা, ওগুলো ফেলেছে কোন আফসোস করিনি তবে আজকে বিকালে আমার ফোনের চার্জারটা ফেলে দিলো। এমনকি আজকে সকালে আমার ফোনটা জানালা দিয়ে ফালাতে চেয়েছিল কিন্তু মেয়ে দেখে হাত থেকে ফোনটা নিয়ে গেল।
চার্জার ফালানোর পর থেকে আমি হতবঙ্গ হয়ে নিচে গিয়ে দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওগুলো তুলে নিলাম। সিঁড়ির থেকে ওঠানামা করতে করতে অনেক হাঁপিয়ে গেছি তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নিতে গিয়ে মাগরিবের আযান দিলো তারপর নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে এসেছি কিছুক্ষণ পর সাহেব এবং তার বন্ধু এসেছে কম্পিউটার আর পিসি নিয়ে, তারা পিসি নিয়ে লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পরল এবং আমি তাদের জন্য সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে রুটি বানালাম তারপর ভাজি দিয়ে খেতে দিলাম।
আর হ্যাঁ আসার সময় আমাদের জন্য কোন আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল কারণ বিকেলে যাওয়ার সময় ছেলে মেয়ে বলে দিয়েছিল আইসক্রিমের কথা তাই সন্ধ্যাবেলা নিয়ে আসলো সেগুলো খেলাম। তাদের কাজ সেরে নাস্তা খেয়ে তারা আবার চলে গেল, তারপর আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি। এরপর পোস্ট লেখা শেষ করে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি। ওকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি এশার নামাজ পড়ে তারপর আমরাও মা- মেয়ে খেয়ে নিলাম। রাতে খাবার খেয়ে আর ঘুমিয়ে পড়িনি সাহেব আসার অপেক্ষায় রইলাম। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল,সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।।
আমার কাছে বাসা পাল্টানো অনেক বেশি ঝামেলার কাজ। যতবার বাসা পাল্টেছি ততবারই অনেক বেশি বিরক্তির সাথে কাজ করেছি। আপনি বাসা পাল্টেছেন এজন্য হয়ত অনেক বেশি কাজের চাপ গিয়েছে আপনার উপর। আশা করি এখন থেকে প্রতিনিয়ত আপনার লেখা পড়তে পারবো। কম্পিউটার সচল করার কাজে ব্যস্ত, আইসক্রিম খেতে খুব ভালো লাগে আমারও।
আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই আজকে সারা দিনের কাজের পর আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য, এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমাদের অনলাইনে কাজ করার জন্য সবচাইতে বেশি ইম্পরট্যান্ট নেটওয়ার্ক যদি নেটওয়ার্কে না থাকে তাহলে আমরা কাজ করতে পারি না।। অনেকদিন পর আবারো আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে।।
সকাল থেকে বেশি কাজ করেছেন রান্নাবান্না করেছে, আর হ্যাঁ ছোট বাচ্চারা একটু বাঁচায় রাখুন দুষ্টুমি করবে অনেক কিছু ফলায় দিবে এটা স্বাভাবিক বিষয়।।
বাচ্চাদের দুষ্টুমির আর অন্ত নেই। নতুন ফ্ল্যাটে উঠে এমনিই কাজের চাপ আপনার বেশি, তারপর আপনার ছেলে জানালা দিয়ে সবকিছু নিজে ফেলে আপনার কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতদিন ওয়াই-ফাই এর কারণে পোস্ট করতে পারেন নি। তারপর যদি ছেলে ফোনটা ফেলে দিতো, তাহলে তো আরও সমস্যা হয়ে যেতো। ভাগ্যিস আপনার মেয়ে দেখেছিলো। যাইহোক নতুন ফ্ল্যাটে অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটালেও, আপনি যে সময় করে আবার পোস্ট লেখা শুরু করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।