Better Life With Steem || The Diary game || 1/5/2024
![]() |
---|
প্রতিদিনের মতন আল্লাহর নাম স্মরণ করে সকাল পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে বাসায় সমস্ত কাজগুলো করি।৷সকালে সম্পূর্ণ কাজ করা শেষ করলাম এরপর ছেলে মেয়ে ওরা উঠে গেল। ওদেরকে সকালে নাস্তা খেতে দিয়ে আমি বাসায় কিছু কাপড়চোপড় গুছিয়ে রাখি। বাসায় কোন কিছু গুছিয়ে রাখতে পারি না এক পাশ দিয়ে গুছিয়ে রাখি, আর এক পাশ দিয়ে ছেলে আরো আমার চেয়ে বেশি করে গুছিয়ে রাখে তার মানে সবকিছু আল জাল করে রাখে।
![]() |
---|
যাইহোক কাপড়চোপড় গুলো যার যার জায়গার মতন করে গুছিয়ে রেখে এরপর আমি গেলাম দুপুরের রান্না করতে। ভাতটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে এরপর আমি কচুর লতি কাটতে বসি। আর কচুর লতি কাটতে যে কতো সময় লাগে যারা এই কাজটা করে তারাই যানে।আর হাতের অবস্থা তো একদম খারাপ হয়ে যায়। কালো কুচকুস হয়ে যায় হাতের আঙ্গুলগুলো।
তারপরেও এই কচুর লতি আমাদের বাসার সবাই খুব পছন্দ করে। পছন্দ করে বলেই এত কষ্ট হলেও রান্না করি। কালকে তরকারি আলার মামার কাছ থেকে বাড়তি তরকারি কিনে রেখেছিলাম আজকের জন্য, কাঁচকলা, আর কচুর লতি,সেগুলোই আজকে রান্না করবো।
![]() |
---|
এরপর সব কোটা বাচা শেষ কারলাম ভাতও হয়ে গেল তারপর তরকারি বসিয়ে দিলাম। ১১:৩০ টার ভিতরে আমার রান্নাবান্না সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেল। রান্না শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। আর গোসল করতে যাব যে পানি প্রচুর গরম, গরমের ভিতর রান্না করে আবার সেই গরম পানি দিয়ে গোসল করব এটা শরীরের পক্ষে একদম অসম্ভব।
![]() |
---|
আধা ঘন্টার মতো বিশ্রাম নিলাম এরপর মটার ছাড়ল ঠান্ডা পানি বের হল তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল শেষ করে ছেলেকে জামা কাপড় পরিয়ে বসিয়ে রেখে তারপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। সাহেব ও বাসায় ছিল সে একে ভারে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাসা থেকে বের হয়ে গেল।
আজকে আর ঘুমাইনি ছেলেকে ঘুম পাড়ালাম তারপর মা মেয়ে ইউটিউব থেকে একটা নাটক দেখলাম। একটা নাটক দেখে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পরে আবার ছেলের পাশে শুয়ে থেকে কয়েকটি কমেন্ট করি।
এরপর মাগরিবের আজান দিল ফোন রেখে ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ পর ছেলে মেয়েকে নিয়ে পড়তে বসি। মেয়ে নিজে নিজে পড়তে পারে তাকে পড়াতে হয় না কিন্তু ছেলে ছোট ওকে মুখে মুখে ওয়ান টু টুয়েন্টি পর্যন্ত পড়াতে পারলাম তারপর আর পড়াতে পারিনি সে গাড়ি বল নিয়ে খেলতে গেল।
![]() |
---|
এরপর দেখি বাসার সামনে বাদাম ওয়ালা এসেছে তারপর তার কাছ থেকে বাদাম রাখি ছেলে বাদাম অনেক পছন্দ করে ওর পছন্দ অনুযায়ী রাখলাম। আরো অনেক ভাজাপোড়া ছিল ওগুলো রাখিনি তাছাড়া আজকে হাতে টাকাও রাখিনি যা ছিল সাহেবকে দিয়েছি।
যাইহোক বাদাম ভাজা ওদের সঙ্গে আমি খেলাম আর পোস্ট লেখলাম। পোস্ট লিখতে গিয়ে ওদিকে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। তারপর আজান দেওয়ার অনেকক্ষণ পর নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমরাও খেলাম । রাতের খাবার খেয়ে বেশিক্ষণ জেগে থাকিনি বাসার ভিতরে হাটাহাটি করে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর শুয়ে পরি। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ। |
---|
কচুর লতি আমার মায়ের খুব প্রিয় তবে আমি খেতে পারি না। আমার ভীষণ এলার্জি এজন্য কচুর লতি খেলে গলা চুলকায়। যদিও এগুলো আমাদের কিনতে হয় না বাড়ির পাশেই পাওয়া যায়। এখন বাসার ট্যাবের জল ভীষণ গরম হয়ে যায় যেটা দিয়ে স্নান করা সত্যিই কষ্টকর।
ছেলের পছন্দমতো বাদাম কিনেছিলেন। বাদাম খেতে তো ছোট বড় সবাই খুব ভালোবাসে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কচুর লতি কাটতে যে পরিমাণ সময় লাগে। সেটার কি বলবো। আজকে আপনার এই কথাটা পোস্টে পড়ার পর একটা গল্প মনে পড়ে গেল। আমাদের পাশের বাড়ির একটা লোক ছিল । তার মাথা বউকে দেখতে পেয়ে পারত না। মৃত্যুর আগে তিনি তার ছেলেকে ওয়াদা করিয়েছিলেন। যেন প্রত্যেকটা দিন কচুর লতি দিয়ে ভাত খায় এবং তার সাথে ছোট মাছ।
লোকে মায়ের কথা রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কচুর লতি নিয়ে আসতো এবং তার সাথে ছোট মাছ। সকালবেলা দিয়ে কাজে চলে যেত দুপুরবেলা যখন লোকটা খাবার খেতে আসতো। তখন দেখতো তার স্ত্রীর এখনো পর্যন্ত রান্না করা হয়নি।
একদিন লোকটা কাছ থেকে এসে তার স্ত্রীকে অনেক মার মেরেছিল। স্ত্রী তাকে কিছু না বলে চুপচাপ কান্না করতে করতে ঘরের ভেতরে চলে গেল। হঠাৎ করে একজন বৃদ্ধ মহিলা কোথা থেকে এসে উপস্থিত হল। তার ঘরে এরপর ওনাকে বলল যেন, তাকে দুপুরের খাবার দেয়া হয়। লোকটার স্ত্রী দেরি না করে ওই মহিলাকে দুপুরের খাবার দিলেন, এবং ওই মহিলা লোকটার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন। আপনি কেন কান্না করছেন।
তখন লোকটার স্ত্রী ওই মহিলাকে তার সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলল, এবং এটাও জানায় যে তার শাশুড়ি এটা তার স্বামীকে কথা দিয়ে গেছে। এরপর ওই মহিলা লোকটার স্ত্রীকে একটা বুদ্ধি দিল। আপনি অন্য কোন তরকারি দিয়ে ভাত রান্না করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন আপনার ভাত তরকারি খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যাবে।
এ পরবর্তীতে দেখা গেল পরের দিন লোকটার স্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি রান্না করলো। এবং লোকটা অনেক বেশি খুশি হলো। আজকে আপনার কচুর লতি কাটতে দেরি হয়। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কথাগুলো আপনার সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ কার্যক্রমটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমি কচু লতি বেশ পছন্দ করি তবে এটা পরিষ্কার করা অনেক সময় সাপেক্ষ।।
তার থেকে বেশি সমস্যা আমার জন্য হলো ,এটাতে অনেক এলার্জি আছে আর এই এলার্জি সমস্যার কারণে মন চাইলেও খেতে পারি না।
জেনে ভালো লাগলো আপনার ছেলে বাদাম খেতে পছন্দ করে বাদামে রয়েছে অনেক বেশি ভিটামিন উপকারিতা।। বাচ্চাদের ব্রেনের জন্য অনেক বেশি ভালো। আমার মেয়েও বেশ বাদাম পছন্দ করে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট দেখার জন্য।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজকর্ম সেরেছেন। এদিকে আপনার ছেলে মেয়ে ঘুম থেকে উঠার পর তাদেরকে নাস্তা খাইতে দিয়েছেন। আসলে কচুর লতি কাটতে গিয়ে হাত কালো হয়ে যায়। কচুর লতি অনেকেই খেতে পছন্দ করে তবে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। সন্ধ্যার পর ছেলের জন্য বাদামও কিনেছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।