আমার আজ সারা বেলার কথা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারা বেলার কথা। আজ আমি ভোর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আমি ওয়াশরুমে যাই তারপর দাঁত ব্রাশ করি। তারপর অজু করে ফজরের নামাজ পড়ি নামাজ পড়ার পরে আমার স্বামীর ব্যাগ গুছিয়ে দি কারণ সে চিটাগাং যাবে আজ ভোর ছয়টা ত্রিশ মিনিটে সময় তার গাড়ি। তাকে বিদায় দিয়ে ঘরে এসে দেখি ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে।
ঘুম থেকে ওঠার পর ওকে আমি কমোডে নিয়ে যাই হিসু করাতে সে ফুটবল ছাড়াই হিসু করবে না। তারপর আমি হাতে বলটা দিয়ে কমোডের কাছে নিয়ে যাই কমোডে বসিয়ে দিয়ে হাতে বলটা নিয়ে একটা হাসি দেয় তারপরে হিসু করে। এই যে বলের এত পাগল তা বলাই যায় না খাবার খাওয়াতে গেলে বল হাতে দিয়ে খাওয়াতে হয় না হলে এক লোকমাও মুখে নিবে না। তারপরে দেখা যায় কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
ও ঘুম যাওয়ার পর আমি ঘরের কিছু কাজ করি কাজ করার পরে দেখি ভাত অল্প কিছু আছে এতে আমাদের সবার খাওয়া হবে না।
তারপরে আমি আতপ চাল ও মুসুরী ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করি রান্না করার পরে দেখি ছেলে উঠে গেছে। আগে ওকে খাওয়ায় তারপর আমরা সবাই খাই খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বসে থাকি হাতে ফোনটা নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাই।
তারপরে দুপুরে রান্নার সময় হয়ে যায়। রান্না করতে যা যা লাগে সেগুলো নিয়ে রান্না ঘরে যাই আমি যে কোন কাজ করি না কেন আমার মনটা ভীষণ খারাপ কারণ আমার দাদী মারা গেছে সেই কষ্ট এখনো বলতে পারিনি কোন কাজ ঠিক মতন মন দিয়ে করতে পারি না। আর আমার বাবার কাছে ফোন দিলে তো কান্নাকাটি করে তাতে মনটা আরো ভীষণ খারাপ হয়ে যায় কোন কিছু করতে ইচ্ছা করে না।
আমাদের দুপুরের খাবার আগেই বাবু ঘুমিয়ে পড়ে না খেয়ে যাইহোক কিছু করার নেই তারপরে ওকে আমি ভালো করে শুয়ে দি। বাবুকে আমি দুপুরে কোন সময় খাওয়া-দাওয়া না খেয়ে ঘুম পাড়ায় না। কারন আমার কিছু করতে ইচ্ছা করে না যে আমি এই কাজটা করি।
আমরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ি তারপরে ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। দেখা গেল বাবু ঘুম থেকে উঠে গেছে তারপর এই ওকে কিছু খায়নি। খাবার পরে বাবু বিকেলে বাহিরে যাবে বল খেলতে একটু বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি আর আমি কিছুক্ষণ সময় বাহিরে কাটাই।
বাহির থেকে এসে বাবুকে ঘরে রেখে আমি ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়া শেষে বাবাকে কিছু সন্ধ্যায় খাওয়ায়ে নি আর মেয়েকে কিছু খাবার দিয়ে খাবার খেয়ে পড়তে বসে। অনেকক্ষণ পড়ালেখার পরে ওকে আমি ভাত দিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যায় তারপরও আমি এশার নামাজ পড়ে বাবুকে খায়নি তারপর আমরা সবাই ঘুমাতে যাই।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই জানিনা আমার পোস্টটি কেমন হবে আমার পোস্টের খারাপ বা মন্দ হলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন আর আমার কোন ভুল হলে ক্ষমা প্রাপ্তি আপনাদের কাছে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফেজ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটিতে ভালো মন্তব্য করার জন্য সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন