The Diary Game | | A Very Bad Day For Me| | 30 May, 2024
আজকে আমার দিনটি শুরু হয় খারাপ কোনো সংবাদ কর্ণপাতের মাধ্যমে।তখন বাজে ভোর ৬টা।আমার বন্ধু ফরহাদের প্রচন্ড পরিমানে এলার্জিতে পুরো শরীর ঢেকে গেছে।মুখ ফুলে চোখ বন্ধ হয়ে গেছে।পেটে প্রচন্ড ব্যাথা আর অস্বাভাবিক জ্বরে কাতরাচ্ছিলো।আমি তার গোঙানির শব্দে ঘুম থেকে উঠি এবং তার কাছে গেলে সে আমার সাহায্য প্রার্থনা করে।আমি তার বাসায় ফোন দিলাম।তারাও দিনাজপুরের উদ্যেশে রউনা দেয়।এরপর আমি খুব তড়িঘড়ি করে প্রস্তুতি নিলাম মেডিকেলে যাওয়ার জন্য।
আমার আরেক বন্ধু আফজালকে ডেকে নিলাম।এরপর আমরা সবাই মিলে হাসপাতালে রউনা দিলাম।সেখানে গিয়ে আমি রীতিমতো হতোবাক।একটা সরকারি মেডিকেলে কোনো প্রকার আলোর ব্যবস্থা নেই।সব কার্যক্রম চালাচ্ছে ফোনের ফ্লাশের মাধ্যমে। এই বিষয়টি খুবি দু:খজনক যে একটা দেশের পরিস্থিতি কি পরিমাণে হতাশাজনক হলে এমন পরিস্থিতি হতে পারে।এরপর আমি আমার বন্ধুকে ইমার্জেন্সিতে নিলাম।
সেখানে থেকে ফরহাদকে ওয়ার্ডে ভর্তি করালো।এরপর কিছু ইনট্রাভেনাস ইঞ্জেকশন কিনে নিয়ে আসতে বলা হলো।সেগুলো আনার পরে তার শরীরে পুশ করা হলো।এরপর তার বাবা মা আসলে ফরহাদকে তাদের হাতে হস্তান্তর করার পর আমরা মেসের উদ্দেশ্যে রউনা দিলাম। যদিও বা আরো কিছুক্ষণ থাকতাম কিন্তু আমাদের আজকে জয়পুরহাটে চলে যেতে হবে বলে তাকে বেশিক্ষণ সময় দিতে পারিনি।
যাওয়ার পথে দুশ্চিন্তায় থাকায় ঝড়ের তান্ডবে চোখ মেলাতে না পারলেও আসার সময় কিন্তু মিস করিনি।মেসের আশেপাশের অবস্থা অনেক খারাপ।আমি রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছিলাম যে অনেক মানুষের বাড়ি ঝড়ের তান্ডবে উড়িয়ে গেছে।আবার গাছের কথা বললে তো কোনোটাও টিকে নেই আর।আর একটা বাড়ির প্রাচীর পর্যন্ত ভেঙে গেছে।এরপর আমি সেগুলোর কিছুটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে রাখার চেষ্টা করলাম।
এরপর আমরা বাসায় পৌঁছে গেলাম।এরপর আমাদের জিনিসপত্র একের পর এক গুছাতে থাকি।তারপর আমরা গোসল সেরে খাওয়া করে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাই।বাইরে থেকে একটা অটোরিকশা নিয়ে এসে সব জিনিসপত্র নিয়ে রেলওয়ে স্টেশনে চলে যাই।সেখানে যাওয়ার পর শুনলাম যে ট্রেন আসতে সঠিকসময় থেকে ৩০ মিনিট দেরি করবে।মানে সঠিক সময় ২:৩০ টায়। আর ট্রেন আসবে ৩:০০ টায়।যদিও আমরা স্টেশনে গেছিলাম ১:০০ টায়, যেটা অনেক অগ্রীম হয়ে গেছে।এরপর ট্রেনে উঠলাম।ট্রেনে ভীড় দেখে মাথা কাজ করে না।এরপর আমাদের প্রায় ৭-৮ টা বস্তা ভরা জিনিসপত্র আর ৪-৫ টা কাপড়ের ব্যাগ একে একে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠাতে থাকলাম।এরপর ট্রেন ছাড়লো।
কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি একটা বস্তা স্টেশনেই রেখে আসছি।সেটাও আবার বইয়ের বস্তাটাই।কার মাথা এই সময় ঠিক থাকবে।এরপর গেলাম টিটির কাছে।উনি স্টেশনে কর্মরত পুলিশদের ইনফর্ম করলো এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে জানতে পারলাম যে বস্তাটা তারা উদ্ধার করেছে।যাক সস্তি ফিরে পেলাম।কোনো না কোনদিন বই হাতে পাবো।এরপর আমরা পৌঁছে গেলাম জয়পুরহাটে।সেখানে সব জিনিসপত্র নামানোর পর দেখি আমার বন্ধু চমকের একটা কাপড়ের ব্যাগ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।আবার ট্রেনটিও ছেড়ে দিছে।দৌড়ে গিয়ে তারা ট্রেনে আবার উঠে পড়ে এবং পরে তারা ব্যাগটা খুজে পায়।এরপর তারা পরের স্টেশনে ব্যাক করে।আর আমরা ২ জন ততক্ষণে স্টেশনে বসেই অপেক্ষা করেছিলাম।
খুব কষ্ট করে অবশেষে বাসায় পৌঁছে গেলাম।অনেক সুন্দর একটা বাসা ঠিক করেছে আমার বন্ধুরা। এরপর আমরা রুম মোছামুছির কাজ শেষ করে জিনিসপত্র সাজিয়ে ফেললাম।এরপর যেটা ঘটে গেলো সেটা আসলে কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।আমাদের দিনটা আজকে এতোটাই খারাপ যাবে বুঝিনি।বাসার মালিক ফোন করে বলতেছে তোমাদের বাসা দেওয়া হবে না।যেটা এডভান্স করছো নিয়ে চলে যায়।কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।পরে কিছুটা আনদাজ করতে পারলাম, আমাদের বাসা ভাড়া দেওয়ায় কিছু ভাড়াটিয়া নাকি অভিযোগ করেছে।
আমরা ব্যাসেলররা নাকি কখন কি ক্ষতি করে বসবো ঠিকঠিকানা নেই।কি আর করার,এমন পরিস্থিতিতে নিজের অনেক লজ্জা অনুভূত হচ্ছে।আসলে একটা দিন যে পুরোপুরি এতোটাই অভিশপ্ত হতে পারে আমি কখনোই জানতাম না।আজকের রাতটা এখানেই থাকার অনুমতি নিলাম।বাকিটা কালকে দেখা যাবে,কোথায় মিলে আমাদের ঠাই।যাই হোক আজ আর কথা না বাড়াই।অনেক ক্লান্তি লাগতেছে। সবাই ভালো থাকবেন।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Thank you so much
একদম বলতে হবে দিনটা বড্ড খারাপ গিয়েছে তবে হাল ছাড়বেন না হতে পারে আগামী দিন আরো ভালো কিছু পাবেন।
বর্তমানে যে খারাপ অবস্থা কোন বাসাতে ব্যাচেলারদের ভাড়া দিতে চায় না তবে আমার উচিত ভারা দেওয়া জেনে শুনে। তা না হলে এই মানুষগুলো ভবিষ্যৎ কি হবে। আজ আপনি আপনার বন্ধু অনেক উপকার করেছেন যে দেখে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে মন থেকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।আসলে আমার বর্তমানে খুবি খারাপ সময় অতিবাহিত হচ্ছে।তবে আশা করা যায় কালকে একটা নতুন বাসা পেয়ে যাবো।আজকে কথা হয়েছে কিছুটা। ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ
সত্যি আজকের দিনটা আপনাদের অত্যন্ত খারাপ গেছে। বন্ধুর অসুস্থতা এ পাশে নতুন ভাড়া নেওয়ার সব মিলিয়ে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলেন এছাড়াও রেলস্টেশনে বস্তা হারানো।। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে কিছু কিছু পরিবার আছে তারা ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দেয় না এটা সত্যিই লজ্জার বিষয়।। আর আমার মনে হয় অনেক ব্যাচেলর আছে তারা অনেক সমস্যা করার জন্যই বাসার মালিকরা এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।। বলতে গেলে একজনের জন্য ১০ জনের সমস্যা।।
ভাই দুঃখের কথা ক বলবো।আমার কয়েকদিন থেকে ঘুম হচ্ছে না।বাসা খুজতে খুজতে জীবনটা শেষ। অবশেষে আজকে একটা বাসার সন্ধান পেলাম।আশা করা যাচ্ছে এখানে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।ব্যচেলর হয়ে কি তারা ছিলো না? নাকি জন্মের পরের দিন তারা বিয়ে করেছিলো ভাই?হয়ারে দুনিয়ার মানুষ
বাসা খুজাও অনেক প্যারা আমার একটা ভাই আছে সেও বাসা খুজতে খুঁজতে অনেক হয়রানি হয়েছে।। শুনে ভালো লাগলো একটা বাসার সন্ধান পেয়েছেন আশা করি এখানে কোন সমস্যা হবে না।। আর হ্যাঁ এটা একদম সঠিক বলেছেন ব্যাচেলার তো তারাও ছিল কিন্তু আগের চাইতে বর্তমানে ব্যাচেলার অনেক ছেলেপেলে অনেক দুর্ঘটনা করে থাকে তাই তারা বাসা ভাড়া দেয় সতর্ক থাকে।।
সকালবেলা খুব বাজে একটা সময়ের মধ্যে আপনার ঘুম ভেঙেছে। ঘুম ভেঙে দেখতে পেলেন আপনার বন্ধুর পুরো শরীর এলার্জিতে ভরে গেছে। সেই সাথে গায়ে অতিরিক্ত জ্বর ছিল। আপনি খুব তাড়াতাড়ি বন্ধুর বাসায় ফোন দিয়ে তাদের সবাইকে আসতে বলেছেন। আর আপনারা সবাই মিলে আপনার বন্ধুকে নিয়ে আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। এদিকে সেই দিনে আপনাদের আবার জয়পুরহাটে যাওয়ার কথা ছিল। সারাদিন বেশ ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন।
ব্যস্তময় একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে জানিনা পোস্টের মাধ্যমে কতোটুকু মনের ভাব প্রকাশ করতে পেরেছিলাম,কিন্তু সেই দিনটি আমার জীবনের সব থেকে একটা অন্ধকার দিন ছিলো।বেচে আছি যতদিন হয়তোবা ততদিনে দিনটি স্মরণ করেই যাবো।