একটি মোবাইল ফোনের আত্মকথা
আমি মোবাইল ফোন।আমার জন্ম হয়েছিলো ১৭ জুন ১৯৪৬ সালে।আসলে আমি মানুষের জীবনে খুবই প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। আমার ব্যাবহার পৃথিবীর অন্য সকল ডিভাইস থেকে অনেকগুনে বেশি হয়ে থাকে।কারন আমি প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত কাজেই ব্যবহৃত হয়ে থাকি।আমাকে মানুষ বেশিরভাগ সময় তার পকেটেই যায়গা দিয়ে থাকে।আমার বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে।আমাকে কেউ মুঠোফোন আবার কেউবা সেলফোন বলে অবিহিত করে।বাংলাদেশে আমার আগমন ঘটে ১৯৯৩ সালে।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানুষ আমাকে বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করে থাকে।কেউ বা আমাকে অনেক ভালো ভালো কাজে ব্যবহার করে আবার আবার কিছু সংখ্যক মানুষ আমাকে অনেক জঘন্য কাজেও ব্যবহার করে থাকেন।আমি অনেক কিছু করতে পারি।যেমন ধরেন, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা,অনলাইন ক্লাস,ক্যালকুলেশন, ক্যালেন্ডার, সময়,ফটোগ্রাফি, ফটো এডিট ইত্যাদি কাজকর্ম করতে পারি।আমি এগুলোকাজ খুব নিখুঁতভাবে করতে পারি।আপনারা বিভিন্ন রকমের বই পড়তেও আমাকে ব্যবহার করতে পারেন।আসলে আমার বাহ্যিক রুপটা দেখে অনেকেই আমাকে খারাপ বলে থাকে।আরে ভাই সঠিক ব্যবহার করে দেখেন।আপনার ইউজের উপর নির্ভর করবে আপনি কোনটা পাবেন।
ভালো কাজের পাশাপাশি আমাকে দিয়ে কিছুসংখ্যক মানুষ অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে।যেটি তাদের জীবনের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়।যেমন ধরেন অনেকেই নানান রকমের ভিডিও গেমসে আসক্ত অনেকেই পর্ণ আসক্ত,কারো আবার সারাদিন ফেসবুকের মতো প্লাটফর্মে বিচরণ চলতেই থাকে।এই মানুষ গুলো আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দেয় না।আমি একটু বিশ্রাম নিতে পারি না।আমার শরীর অত্যন্ত গরম হয়ে গেলেও তারা বলে না যে ব্যস অনেক হইছে,এখন ফোনটা রাখি।আমার অনেক কষ্ট হয় যে তারা তাদের মুল্যবান সময়গুলো আমাকে খারাপ যায়গায় ব্যবহার করে ব্যায় করছে।
এক শ্রেণির মানুষ আছে জানেন,ওরা তো দিনরাত শুধু গালফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে কাটাই দেয়।আরে ভাই পড়ার সময়টা একটু পড়াশোনা করো।আমিও তো একটা ফোন।আমারো তো ক্লান্তি আছে।একটা ৫-৬ ঘন্টা কিভাবে কথা বলো তোমরা।আজকাল তোমাদের রোমান্টিক কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আমি ফোন নিজেও রিলেশনশিপে জড়াই।আমারো তো চলার জন্য শক্তি প্রয়োজন, সেটা অনেকেই মানতে চায়না।আরে ভাই,আমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কথা বলেই যাবি?আমার কথাটাও ভাবো।
সকলের উদ্দেশ্যে আমি এটাই চাইবো যে,নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ুন।আমাকে ব্যবহার করুন ভালো সব যায়গায়।এতে করে নিজের জীবনেও ভালো কিছু করতে পারবেন।যদি ভুল যায়গা গুলোতে আমাকে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তো আপনি একালেও শান্তি পাবেন না আর পরকালেও না।ভাইরে ভাই,আমারো বাপ দাদা ছিলো।তাদের সময় তোমরা এভাবে আমাদের খারাপ ব্যবহার করতে পারিস নাই।আমি আজকে কতো আপডেট ভার্সন।একটু রেস্পেক্ট করো।কিন্তু দেখা যাচ্ছে আজকাল আরো বেড়ে চলেছে আমার দারায় খারাপ কাজ করার প্রতিযোগিতা। আপনাদের সকলকে আহ্বান যানাচ্ছি আমার ভালো ব্যবহারের জন্য।
অনেক সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে মোবাইল যদি কথা বলতে পারতো তাহলে হয়তোবা এই কথাগুলোই বলতো। আজকে আপনি একটি মোবাইল ফোনের আত্মকথা নিয়ে লিখেছেন একদম সত্য কথা লিখেছেন। এটা ঠিক যে একটি মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবার অনেক মানুষ মোবাইল ফোন অনেক জঘন্য কাজে ব্যবহার করে থাকে। যাই হোক আপনার সম্পূর্ণ লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সব সময়।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।আসলে বর্তমানে ফোনের খারাপ ব্যবহারের পরিমান অনেক গুনে বেড়ে গেছে।আমাদের সকলেরই এখন থেকেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাহলে হয়তোবা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই মোবাইল ফোনের খারাপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে পারবে।
বর্তমানে এই টেকনোলজির যুগে মোবাইল ফোন অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। মোবাইল ছাড়া একটা দিনও যেন কল্পনা করা যায় না। মুদ্রার যেরকম দুই পাশে থাকে তেমনি প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দুটো পাশই আছে। কে কোনটা গ্রহণ করবে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। সারাদিনে আমাদের কত কাজ যে সহজ করে দিয়েছে মোবাইল ফোন তার হিসাব নেই। আবার আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনের ভূমিকা আছে। খুব সুন্দর করে মোবাইল ফোনের দুই পাশই তুলে ধরেছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে। সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য। আসলেই ঠিক বলেছেন।সবকিছুর দুইটা দিক থাকে।একটা ভালো দিক আর একটা খারাপ দিক।আমাদের সকলেরই উচিত ভালো দিকটা গ্রহণ করে খারাপ দিকটা বর্জন করা।তাহলেই আমরা আমাদের জীবন সুন্দরভাবে সাজাতে পারবো।
এখনকার সময়ে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত হাতে হাতে মোবাইল মোবাইল ছাড়া তারা দিন পার করার চিন্তাও করতে পারে না, সেই দলে আমিও পড়ি,
আমরা মোবাইল দিয়ে যেরকম ভালো কাজ করা যেতে পারে এরকম মোবাইল দিয়ে খারাপ কাজ করে যেতে পারে একটি মোবাইল মানুষকে তো তারা সুবিধা প্রদান করে এবং ওই মেয়েটি মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়।
এই মোবাইলের কারণে আমরা মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছি এই মোবাইলের কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
এই মোবাইলটিকে আমরা যদি সঠিক পথে সঠিক রাস্তায় ব্যবহার করি তাহলে আমাদের সকলের জন্যই খুবই ভালো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক অবাক হয়ে গেছি, এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ঠিক বলেছেন।মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহারেই পারে আমাদের এই রকম খারাপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে।তাই আসুন, আমরা ভালোগুলোকে গ্রহণ করি আর খারাপ গুলোকে পরিহার করি।তাহলেই আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ফোনের অপব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারবো।সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মোবাইল নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখনকার দিনে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে মোবাইল একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেমন মোবাইল পেয়ে অনেক মানুষের সুযোগ সুবিধা সব কিছু পায়। আবার মোবাইলের জন্য কত মানুষের ক্ষতিও হয়। এখনকার দিনে মানুষের এক বেলা না খেলেও চলে। কিন্তু মোবাইল না থাকলে চলবে না। মোবাইল এর সাহায্যে আমরা কত কাজ সহজেই করতে পারি। আসলে যখন ছোট ফোন ছিল তখন এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। এখন তো টিভিতে ঠিক সময় সিরিয়াল টা না দেখতে পেলে আমার শাশুড়ি মা মোবাইল দেখতে শুরু করে দেয়।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন।আগের দিনের ফোনগুলো এতো উন্নত না থাকায় এর এতোটা ক্ষতিকর প্রভাব ছিলো না।কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে মানুষ এর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েই যাচ্ছে।আমাদের সকলেরই এখন থেকে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত যাতে আমরা না পারলেও আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এর প্রভাব থেকে বাচতে পারে।আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
ভিন্ন একটা আপনি আজকের পোস্টটি লেখা শুরু করেছেন যেটা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আজকের লেখার মূল বিষয় হলো মোবাইল ফোন যেটা ছাড়া আমাদের জীবন অচল মনে হয় বর্তমানে।
এখন যেকোনো কাজ করতে গেলেই মোবাইলের ব্যবহার অনিবার্য। এটি ভালো মন্দ দুই ভাবেই ব্যবহার করা যায়। ফোনের ব্যবহারে দুনিয়াটা সম্পূর্ন পাল্টে গিয়েছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।৷ ভালো থাকবেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি সম্পূর্ণরুপে পড়ার জন্য।আসলে বর্তমান সময়ে ফোনের ব্যবহার আমাদের অনেক উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।তাই আমাদের এখন থেকেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নাহলে এটি আরো কঠিক আকার ধারণ করতে পারে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর।
আমরা সবাই একটা কথা জানি, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। মোবাইল ফোন আমাদের জন্য কল্যানসরূপ তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এর কারনে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এখন থেকেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। তার থেকেও বড় কথা এটার অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। ভালো থাকবেন।
মোবাইল যদি কথা বলতে পারতো তাহলে আপনি যে কথাগুলো বলেছেন সেও আমাদের সাথে এই কথাগুলোই হয়তো বলতো। খুব ভালো লাগলো আপনার এই ব্যতিক্রমী লেখাটি। আসলে মোবাইল ফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার এমন ভাবে হচ্ছে যে এটা বর্তমানে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হচ্ছে।
বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও তরুণ প্রজন্মকে এই মোবাইল যেন শেষ করে দিচ্ছে। অবাক হয়ে যাই শুনলে বর্তমানে একটি বাচ্চার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে ইউটিউবার হওয়া।
ভালো লেগেছে আপনার লেখাটি।
আপনি খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন।আসলেই এই বর্তমানে একটা বাচ্চার ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে ইউটিউবার হওয়া।আর এমন হওয়ার পিছনে রয়েছে তার বাবা মায়ের হাত।তারা যদি ছোট থেকেই বাচ্চাকে সচেতনতার সাথে গড়ে তুলতো তাহলে তারা এই ধরনের প্রত্যয় গড়তো না।