Better Life With Steem | | The Diary Game | | 29 June, 2024
সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর আমার বন্ধু আফজালের রুমে যাই।দুজনে মিলে সকালের খাবার নিয়ে আসলাম।এরপর খাওয়া করে নিই।খাওয়া শেষ করে আমি পড়তে বসি।টানা ২ ঘন্টা পড়ার পর আমি এবং আমার বন্ধু মিলে কালুর মোড়ের উদ্দেশ্যে যাই।আসলে সেখানে তার বেশ কিছু জিনিসপত্র কেনার ছিলো।আর আমাকেও আজকে বাসায় চলে যেতে হবে।তাই আমার ছোট বোন আমাকে ফোন দিয়ে ক্রিম আর ফেসওয়াস কিনে নিয়ে যেতে বলে।আমিও সেই সুযোগে তার জন্য এসব জিনিসপত্র কিনে নিই।
এরপর আমরা সেখানে ঝালমুড়ি খাই।ঝালমুড়ি খাওয়ার পর আমার বন্ধু তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন চাল,সাবান,শ্যাম্পু, খাতা, কলম ইত্যাদি জিনিসপত্র কিনে নেয়।এরপর আমরা মেসে চলে আসি।এরপর আমি কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ক্রল করতে থাকি। এরপর আমার বন্ধু আফজালের জোরাজুরিতে আমি ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের একটা ছবি আকি।আসলে আমি আঁকানো বিষয়ে একটু করে পারি আরকি।
দুপুর হতেই আমি গোসল সেরে নিই।এরপর আমি দুপুরের খাবার খেয়ে নিই।দুপুরে আমি এবং আমার এক বন্ধু মিলে ঘুরতে যাই দিনাজপুর সরকারি কলেজে। সেখানে গিয়ে অনেক্ষন ঘুরাঘুরি করার পর একটা বকুলফুলের গাছের নিছে বসি।এরপর আমি গাছের নিচে পড়ে থাকা ফুলগুলোর ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করি।
আমার বন্ধু আমার করা ফটোগ্রাফিগুলোর অনেক প্রসংশা করেছেন।আজকে বাড়িতে চলে আসবো বলে বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি মেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে কি জানেন,ফটোগ্রাফি করার মধ্যে অন্যরকমের একটা অনুভুতি কাজ করে।এরপর আমি মেসে পৌছেই প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বিকেল হতেই আমি বাসায় আসার জন্যে জিনিসপত্র গুছানো শুরু করি।এরপর আমাকে অত্যাধিক গরম লাগার কারণে আরো একবার গোসল সেরে নিই।এরপর আমি চলে গেলাম টার্মিনালে। সেখানে গিয়ে আমার বন্ধু হামিমকে ফোন দিই।সে চলে আসে এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করি।এরপর আমি সেখানে থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
এরপর বাসে আসার পথে চিরিরবন্দর উপজেলায় আসার পর আমাদের বাসটি জ্যামে আটকাই যায়।সেখানে দীর্ঘসময় অতিক্রান্ত হয়ে যায়। এরপর আবার রাস্তা সাভাবিক হলে আমাদের যাত্রা পুনরায় সচল হয়।এভাবেই ৯ টার দিক বাসায় পৌঁছে গেলাম।এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।
আজ আমার বোনের বাসার লোকেরা আমাদের বাসায় এসেছে।তাদের নাস্তা দিছে।আমাকেও তারা জোর করে খাওয়ার অনুরোধ করলো।এরপর আমি তাদের সাথে নাস্তা করলাম।এরপর আমি ইন্ডিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার টি টোয়েন্টি ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করি।আসলে সাউথ আফ্রিকা দলটা অনেক ভালো কিরেছে।বিশেষ করে হেনরি ক্লাসের।সে তো জীনের মতো ব্যাটিং করেছিলো আজকে
যাই হোক দিন শেষে ইন্ডিয়া ম্যাচটি জয়লাভ করছে।
তাই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের গর্বের বিষয়। এরপর আমি রাতের খাওয়া করে নিই।এরপর আমি আমার দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।এরপর আমি প্রতিদিনের ন্যায় আমার যতোসব আনুসাঙিক কাজকর্ম আছে তার সবগুলো করে ফেলে ঘুমিয়ে পড়ি।আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
আপনি আপনার সারাদিনের কাজকর্ম নিয়ে আর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল। সেই সাথে সাথে আপনি যে ছবিতে এসেছেন সেটাও দেখতে অনেকটাই সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি ছবি একে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছবি আকা আমার শখের একটা কাজ।ছোটবেলা থেকেই ছবি আকতে পারতাম।তবে এখন নানান ব্যাস্ততায় আর ছবি আকানোর সময় হয়ে উঠে না।তবে গতকাল আমার বন্ধুর রিকুয়েষ্টে আমি উক্ত ছবিটি আকার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।ছবিটা মাত্র ৫ মিনিটে আকিয়ে ফেলেছিলাম।আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসলেন এবং খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাজার থেকে অনেক জানা কাটা করলেন। বকুল ফুল কিছু বছর আগে দেখেছিলাম এখন আর দেখা হয়নি এখন আপনার পোষ্টের ছবিতে বকুল গাছের ফুল দেখে খুবই ভালো লাগলো
আমরা রাস্তায় চলতে গেলে দূরে কোথাও যদি যেতে হয় তাহলে গাড়িতে যাওয়া লাগে জ্যাম এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে
ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আমার কাছে যেকোনো ফুল অনেক প্রিয়।তবে গতকালের সেই ববুক ফুলগুলো আমার কাছেও অসম্ভব সুন্দর লেগেছিলো।বকুল ফুলের ঘ্রানটাও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।গতকাল বাসায় আসার সময় জ্যামে আটকে গেছিলাম।আসলে চিরিরবন্দর রাস্তার সংস্কার কাজ চলার জন্য প্রতিনিয়ত এই জ্যাম হয়ে থাকে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আমি প্রথমে আপনার বকুল ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে ভেবেছিলাম সেগুলো পানিতে ভাসছে। আপনার আঁকার হাত ও অনেক সুন্দর। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের ছবিটা খুবই ভালো হয়েছে। আঁকা আঁকির ব্যাপারে আমি বরাবরই কাঁচা। শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাস করার জন্য একটু শেখা হয়েছিল। কালকের টি-টোয়েন্টি ফাইনাল ম্যাচটা খুবই অসাধারণ হয়েছে। আমার মতে ইন্ডিয়া কাপটির প্রাপ্য টিম। একদম গ্রুপ স্টেজ থেকে একটি ম্যাচে না হেরে ফাইনাল জিতে গেছে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও তারা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও ভালো খেলেছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও এতো সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।আর্ট আমার সব থেকে ভালোলাগার একটা বিষয়। যদিও ছোট বেলায় অনেক বেশি আকা আকি করতাম কিন্তু এখন নানান ব্যাস্ততার কারণে আর হয়ে উঠে না।তবে আপনাদের প্রসংশা আমাকে আবারো উজ্জীবিত করেছে।টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবার ইন্ডিয়ারেই প্রাপ্য ছিলো।
বাড়িতে ভাই বোন থাকলে আবদার তো করবেই এটাই তো ভাই বোনের মধুর সম্পর্ক। আমার কোনো ভাই বোন নাই তাই কেউ আবদার করে না, যদি থাকতো তাহলে খুব ভালোবাসতাম। আপনার ফটোগ্রাফির হাত বেশ ভালো। বকুল ফুলের ফটোগ্রাফিটা সুন্দর হয়েছে। বকুল ফুলের গন্ধ আমার অনেক প্রিয়। জ্যামে বসে থাকতে সত্যি বিরক্ত লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার বোন আমাকে যে পরিমাণ ভালোবাসে তার এই ভালোবাসার তুলনা আমি কোনদিনো খুজে পাবো না।আমি ছোট ছোট ফুলের ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে।আর জ্যামের কথা বলতে গেলে এটা আমাদের নিত্যসঙ্গী। কিছুই করার নেই আমাদের। সহ্য করে নেওয়াই আমাদের কাজ।কারণ দেশের সড়কগুলো সবই অপরিকল্পিতভাবে তৈরি। ভালো ছিলো আপনার মন্তব্যটি।ধন্যবাদ।
বড় ভাই বাসায় আসবে ছোট বোন কিছু আবদার করবে না সেটা কি করে হয়। তাই হয়তোবা আপনার বোন আপনার কাছে তার বিভিন্ন জিনিসের কথা বলে দিয়েছে। আপনি সেগুলো কিনে নিয়েছেন। এটা একেবারেই ঠিক গরমের কারণে শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু বর্তমান সময়ে আবহাওয়া আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার বন্ধু ঠিকই বলেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আসলে সুন্দর হয়।। সকাল থেকে বন্ধুকে নিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম এছাড়াও ঘোরাঘুরি করেছেন ঝালমুড়িও খেয়েছেন।। বাসায় আসবেন এজন্য তাড়াতাড়ি সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছেন সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছে।