Better Life With Steem | | The Diary Game | | 22 June, 2024
আজকেও প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর একটু নাস্তা করে পড়তে বসি।আসলে আমার সামনে পরিক্ষা আছে।তাই একটু পড়াশোনাটা ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা করি।কিন্তু বাসায় আসলে আর যতই চেষ্টা করিনা কেনো মনের মতো পড়াশোনা হয় না।তবে আমি আগামীকালই দিনাজপুরে চলে যাবো।পড়াশোনা করার পর আমি আমার ভাগিনিকে নিয়ে বাসার বাইরে চলে যাই।দেখানে গাছের নিচে ছায়ায় কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করি। তার সাথে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।এরপর আমার মা আমাকে ডাকলে আমি বাসায় চলে আসি।বাসায় আসার পর আমার মা আমাকে চা বানিয়ে দেয়।আমি চা পান করি।এরপর আমি কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ক্রল করতে থাকি।
এরপর আমি আমাদের গরুগুলোকে খাবারের ব্যাবস্থা করে দিই।সবাই শেষে আমি লালুকে খাবার খাওয়াই।সবকিছু শেষ করে আমি গোসলে যাই।গোসল শেষ করে আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই খাওয়া করে নিই।আজকার একটু ক্ষুধা বেড়ে গেছে।আসলে বাসায় আসলে সব সময় খাওয়ার উপরে থাকতে হয়।তাই হজমশক্তিও বেড়ে যায়।আমি গতকালকে ওজন মেপেছিলাম।আমার ওজন ৫৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি হয়ে গেছে।যাক আমি অনেকদিন পর আমার ওজন নিজের চাওয়া মতো করতে পারলাম।আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিলো ৬০ কেজি ওজন বানাবো।কিন্তু কোনো ভাবেই ৫৮ অতিক্রম করতে ব্যার্থ হয়েছি।এবার ঈদের প্রচুর খাওয়ার পর আমি আমার কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছি।এরপর আমি কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করি।
ঘুম থেকে উঠেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিই।এরপর ভাবলাম বিকেলবেলা একটু বাইরে না গেলে কেমন হয়।তাই আমি একা একা বাড়ির বাইরে ঘুরতে গেলাম।সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ছোট ছোট ফুলের ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করলাম।এরপর খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করার পর আবার বাসায় চলে আসলাম।এরপর আমি গরু ছাগলদের গোয়ালঘরে ঢুকাইলাম। এরপর তাদের রাতের খাবারের ব্যাবস্থা করে দিলাম।এরপর নিজে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।মা একটু হালকা নাস্তা দিলো,সেগুলো খেয়ে নিলাম।এরপর আমি আমার বোনকে পড়াশোনা করানোর জন্য সাথে নিয়ে বসি।আসলে আমি না বললে ওর পড়াশোনার শক্তি থাকে না।তাই যে কয়দিন বাড়িতে থাকি,একটু জোর করে পড়াতে বসাই।
রাতে তো আজ কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে থাকা যাবেনা।কারণ আজকে ইন্ডিয়া বনাম বাংলাদেশের মধ্যাকার টি টোয়েন্টি ম্যাসটি অনুষ্ঠিত হবে।তাই আমি আগে থেকে টিভির রিমোট হাতে করে রেখেছি।টসে বাংলাদেশ জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে।এরপর খেলা দেখার ফাকে মা আমাকে পিঠা দিয়ে যায়।গরম গরম পিঠা বানিয়ে এনেছে।আমি অনেক মজা করে খেলাম।এরপর আমি প্রথম ইনিংসটি পুরোপুরি দেখলাম।ইন্ডিয়া খুব সুন্দর একটি ইনিংস খেলেছে।তারা ভালো একটা পুজি করেছে।মনে হয়না বাংলাদেশ এতোগুলো রান বিট করতে পারবে।যাই হোক ইনিংস ব্রেক হওয়ার সাথে সাথে আমি আজকের দিনলিপিটি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।এরপর তড়িঘড়ি করে পোস্ট সম্পন্ন করি।কারন ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধ দেখার বাকি আছে।তো আজকের জন্য এতোটুকুই।ভালো থাকবেন সবাই
আপনি আপনার সারাদিনের সকল কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করুন সেটা শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এবং ইন্ডিয়া ভার্সেস বাংলাদেশের খেলা আপনি দেখার জন্য আকুল হয়ে আছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এবং এর খেলাতে আমিও দেখেছি মনটা অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে যে আমরা এত ব্যবধানে হেরে গেছি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
গতকাল অবশেষে বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে গেছে।আসলে এই রকম ম্যাচ জিততে গেলে অবশ্যই পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প নেই।আপনি জানেন যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনেকদিন যাবত পাওয়ার হিটিংয়ের সমস্যায় ভুগছে।বিশেষ করে টপ অর্ডার।তবে ইদানিং নতুন কয়েকজনের খেলার ধরন কিছুটা হলেও ভালো।আশা করছি বাংলাদেশ একদিন ভালো দলে রূপ নিবে।
বাড়িতে আসলে পরিবারের কাজের পাশাপাশি নিজেকেও কিছুটা সময় দিতে হয়। তাই হয়তো বা পড়াশোনা করতে তেমন একটা মন বসে না। তবে আপনি আপনার পরিবারকে যেভাবে সাপোর্ট করছেন সেটা সত্যিই অসাধারণ। গরু-ছাগল সব গুলোকে নিজের জায়গায় দিয়ে, রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সাথে ইন্ডিয়া কখনো টিকে থাকতে পারবে কিনা আমি জানিনা। তবে ভালো ব্যাটসম্যান থাকলে টিকে থাকা সম্ভব। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, বাড়িতে আসলে কেন জানি পড়াট গতি থাকে না। সব সময় সবার সাথে মেলামেশা আর গল্প করতেই ইচ্ছা করে। যাক আপনার নিজের ওজন মনের মতো করতে পেরেছেন। শরীর ঠিক রাখার জন্য পুষ্টিকর খাআার খওয়া উচিত। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লেগেছে আর হ্যা, ভারত বনার বাংলাদেশ এর ম্যাচটা আমিও দেখেছি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ভালো থাকবেন।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ফুলের ফটোগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। ডালিম গাছে দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই ডালিম হয়েছে। প্রত্যেকটা ছেলের বোধায় খেলা দেখার খুব নেশা ।আমাদের বাড়িতেও আমার মামা যেখানেই থাকুক না কেন ।সন্ধ্যাবেলায় ঠিক বাড়ি চলে আসবে খেলা দেখার জন্য।
ফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে।এটা আমার শখের একটা কাজ।আর হ্যাঁ, বেশিরভাগ ছেলেরাই ক্রিকেট খেলা পছন্দ করে থাকে।আমি আমার বুঝার বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে যাই।এরপর থেকে চলতেছে।আমার মনের বড় খোরাক হচ্ছে এই ক্রিকেট। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ
সামনে পরীক্ষা থাকলে সবারই পড়াশোনায় একটা চাপ থাকে। ঠিকই বলেছেন, বাড়িতে আসলে ভালোভবে পড়াশোনা করতে চাইলেও কেন জানি হয় না।
আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
বাহ! আপনার তো দেখি ২ কেজি ওজন তাহলে বেড়ে গেছে। ঈদের সময় একটু ভালো-মন্দ খেলে একটু ওজন তো বাড়বেই।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।পরিক্ষার চাপ অন্য রকমের চাপ।আপনি পড়তে বাধ্য হবেন শুধু পরিক্ষার ভয়ে।আসলে ফটোগ্রাফি করা আমার শখের একটি কাজ।যদিও বা আমার ফোনের অবস্থা আপনি ভালোভাবেই জানেন।আমি চেষ্টায় আছি ভালো একটা ফোন ক্রয় করার জন্য।ওজন বাড়ানো আমার কিছুটা দরকার ছিলো।যাক এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ ফিট আছি।এর বেশি চাই না।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
আপনার মতো আমার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপের সাথে সম্পৃক্ত বর্তমান ক্রিকেট ম্যাচ। তবে আজ খেলা দেখতে গিয়েই মনটা ভার করেই ডাটা বন্ধ করলাম। কারণ বাংলাদেশের জাতীয় দলের এই পরাজয় যেটা মেনে নেওয়া মানসিকভাবে খুবই কষ্টের।
যাইহোক, আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম এভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আমাদের জীবনের এক আতঙ্কের নাম।আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বাঙালীরা হচ্ছে ক্রিকেটের পাগলা ভক্ত এবং অনেক আবেগী তারা।কিন্তু দিন শেষে যে এমন কিছু উপহার দিবে আমাদের সেটা কখনোই ভাবিনাই।আপনি আজকের বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচটির দিকেই লক্ষ্য করেন।আহারে বেচারা।কি একটা বাজে ম্যাচ খেললো সবাই।সত্যি ধিক্কার জানানোর মতো অবস্থা।
ধন্যবাদ আরো একটি দিনালিপি আমাদের সাথে শেয়ার করবার জন্য। আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনার গরুর প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি ও করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনার প্রথম ছবিটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ভাই আপনি একজন দক্ষ ক্যামেরাম্যান যেটা আপনার ছবি দেখেই বোঝা যায়।। ভাগ্নের সাথে কিছুটা সময় পার করেছেন শুনে ভালো লাগলো। এছাড়াও সংসারের বেশ কার্য করেছেন আসলে বাসায় থাকলে বাড়ির কাজ না করলে নিজের কাছে খারাপ লাগে।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার এতো সুন্দরভাবে প্রসংশা করার জন্য। আসলে আমি দক্ষ ক্যামেরাম্যান নই।শুধু একটু একটু চেষ্টা করি আরকি।🤭।তবে আপনাদের এতো প্রসংশায় মনে হয় ক্যামেরাম্যান হয়ে যাই।যাই হোক,ভাগনির সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো।তার ছোটবেলা থেকে সে আমাকে অনেক পছন্দ করে।বাসায় গেলে আমি সবসময় চেষ্টা করি বাসার কাজের কিছুটা সাহায্য করতে।কারন বাসায় গেলে সবার ব্যাস্ততা দেখে আর বসে থাকার ইচ্ছা করে না।
আমার বিয়েতে আমি একজন দক্ষ ক্যামেরাম্যান ডাকবো তাই আরো বেশি দক্ষ হন🤣🤣 ভাগ্নের সাথে সম্পর্ক অনেক ভালো শুনে ভালো লাগলো।। আর হ্যাঁ বাসায় যেহেতু অনেকেই ব্যস্ত থাকে তার মধ্যে কিছু কাজ করা আপনার দায়িত্ব।।