Better Life With Steem | | The Diary Game | | 21 June, 2024

in Incredible India2 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

সবাই নিশ্চয়ই ভালোই আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালোই আছি। আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি -


IMG_20240621_150601.jpg


সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিই।এরপর প্রতিদিনের মতো হালকা নাস্তা করে পড়াশোনা করতে বসি।এরপর আমার মা ঘুম থেকে উঠেই আমার জন্য চা তৈরি করে।আমি এককাপ চায়ের সাথে আমার পড়াশোনা করতে থাকি।এরপর আমার পড়াশোনা শেষ করে উঠি এবং আমার মা আমাকে একটা কাজ করতে বলে।আমাদের ওয়াশরুমের দরজাটা টিন দিয়ে বাসায় বানানো ছিলো।সেটার খুটিটা উইপোকা খেয়ে ফেলছে।তাই সেটা ভেঙে পড়ে গেছে।আমাকে সেটা ঠিক করার জন্য বলে।আমি মোটামুটি এসব কাজে একটু পারদর্শী। তাই মায়ের কথামতো আমি দরজাটা ঠিক করে ফেলি।আসলে বাসায় এখন প্রচুর মেহমান আসা যাওয়া করতেছে।তাই এই অবস্থায় দরজা ফেলে রাখাও ঠিক ছিলো না।এরপর আমার মা ভাত রান্না করে।আমি হাত মুখ ধুইয়ে আসি এবং বাবার সাথে বসে খাওয়া করে নিই।


IMG_20240621_150855.jpg


আজকে আমাদের নতুন আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত আছে।সেখানে আমরা যাবো ৩ টার দিকে।তাই জুমার দিনে তড়িঘড়ি করে গোসলে গেলাম।এরপর গোসল শেষে আমি মসজিদে চলে গেলাম।নামাজ শেষ করে আমার এক চেনা মানুষের সাথে দেখা হয়ে গেলো।তার সাথে গল্প করতে করতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বাসায় এসে সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখি ২ টা বেজে গেছে।


IMG_20240621_224858.jpg


এরপর আমি সবাইকে তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হতে বললাম।এরপর আমিও প্রস্তুত হলাম।আসলে মেয়ে মানুষের অনেক সময় লেগে যায় সাজুগুজু করতে।আমার ভাবি আমাদের বিরক্ত শুরু করে দিয়েছিলো।তার উচিত ছিলো সবার আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।যাই হোক, অবশেষে সবাই প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা একটা বাসার পাশের ভ্যান ওয়ালার ভ্যানে করে আত্মীয়ের বাসায় চলে যাই।


IMG_20240621_224755.jpg


এরপর সেখানে গিয়ে সাথে সাথেই আমাদের নাস্তা দিয়ে দেয়।হরেক রকমের নাস্তা দেখে আমি পুরাই অবাক।যাইহোক আমরাও এর দুইদিন আগে উনাদের এভাবেই আপ্যায়ন করেছিলাম।এরপর নাস্তা শেষ করে আমাদের খাবারের ব্যাবস্থা করে।হাসের মাংস, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ডিম,ছাগলের মাংস আর আমার পছন্দের পোলাও ছিলো সেখানকার আইটেমসমুহ।এরপর ভালোভাবেই উদরপূর্তি করে খেলাম।খাওয়া শেষে আমাদের মিষ্টি আর দই দিয়ে মিষ্টিমুক করানো হয়।খাওয়া শেষে উনাদের এলাকায় একটু ঘুরাঘুরি করি।এরপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।


IMG_20240621_150740.jpg


বাসায় আসার পথে আমার মায়ের জন্যও অনেকগুলো খাবার তারা সাজিয়ে পাঠাই দেয়।এরপর বাসায় এসে আমি আমার পোশাক পরিবর্তন করে ফেলি।আসলে আমি পড়ে গেছিলাম একটা ব্লেজার। এটার ভিতর অনেক গরম ছিলো।এরপর আমি একটু ঠান্ডা হয়ে নিলাম।এরপর হঠাৎ করে আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে।আমি তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা বলি।আসলে আমাদের কলেজের বিষয়ে বেশ কিছু আলোচনা ছিলো আমাদের মাঝে।সেগুলো নিয়েই কথা বলেছিলাম।এরপর আমি আমাদের গরুগুলোকে গোয়ালঘরে ঢুকাইলাম। এরপর তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিলাম।হাতগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর আমি আমার ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ক্রল করতে থাকি। আর একটা মজার বিষয় হচ্ছে আজকে আমি আমার জীবনে প্রথম জর্দা দিয়ে পান খেলাম।এরপ আগে সব মিলিয়ে ৬-৭ টা খেয়েছি কিন্তু কখনো জর্দা খাইনি।


IMG_20240621_215001.jpg



ধন্যবাদ

Sort:  
 2 months ago 

এখন জীবিকা নির্বাহ করার জন্য শুধুমাত্র পড়াশোনা করলেই চলবে না তার পাশাপাশি হাতের অনেক কাজও শেখা উচিত। বাড়িতে এমন অনেক কাজ থাকে যেগুলো করতে লোকজনে প্রয়োজন পড়ে তবে সেগুলো যদি নিজেরাই করা সম্ভব হয় তাহলে অনেক অর্থ বেচে যায়। যেমনটা আজ আপনি করেছেন। এটা কিন্তু আপনি ঠিকই বলেছেন, মেয়ে মানুষের সাজগোজ করতে অনেক সময় লাগে। পান আমি পছন্দ করি না, হয়ত জীবনে ২/১ বার জর্দা দিয়ে পান খেয়েছি। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ভাই।কাজকে কখনো তাচ্ছিল্য করে দেখিনা।বাসায় আসলেই মায়ের কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করি।পান খাওয়ার বিষয়টি আপনার আর আমার অনেক মিল রয়েছে।আমিও পান মোটেও পছন্দ করিনা।তবে সবাই মাঝে মাঝে একটু খাওয়ার জন্য জোরাজোরি করি।আর আমি এগুলোতে কখনোই অভ্যস্ত হতে চাইনা।ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আমিও যখন বাড়িতে যাই তখন বাড়ির কাজে সাহায্য করে থাকি আর এটা সকলেরই করা উচিত। আর কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিত হয় কারন সমাজে সকল কাজের গুরুত্ব রয়েছে।।আমাদের পরিবারের কেউ পান খায় না এজনঢ় ছোটবেলা থেকে আমারও পান খাওয়ার অভ্যাস নেই। একদিন বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলাম তখন খেয়েছিলাম জীবনের প্রথম পান। ভালো থাকবেন।

Loading...
 2 months ago 

প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে বই পড়েছে। সকালবেলা আপনার বই পড়ার অভ্যাসটা দেখে ভালোই আছে। আসলে বাসায় আত্মীয় আসলে, বাড়ির জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে থাকলে কেমন দেখায়।
নতুন আত্মীয়র বাসার দাওয়াত ছিল। এজন্য দুপুরের নামাজ শেষে সবাই মিলে একসাথে রেডি হয়ে আত্মীয়র বাসায় গিয়েছেন।
নাস্তার আইটেম দেখেই মনে হচ্ছে আপনাদের বেশ আদর যত্ন করেছে।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

পড়াশোনা যতোদূর পারি করার চেষ্টা করি।তবুও ইদানীং মনের মতো পড়াশোনা হচ্ছে না।একরকমের আলসেমি লেগে গেছে।ওইদিন আত্মীয়ের বাসায় ২ টার দিকে গেছিলাম।ওনারা যতেষ্ট আপ্যায়ন করেছিলো আমাদের। এরপর আমরা সেখানে থেকে সন্ধ্যার দিকে বাসায় চলে আসি।আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Welcome to steemit. Well saw your profile congrats on achievement, I've followed your account, follow me back grow your community

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63619.61
ETH 2698.75
USDT 1.00
SBD 2.59