Better Life With Steem | | The Diary Game | | 20 June, 2024
আসসালামু আলাইকুম। সবাই নিশ্চয়ই ভালোই আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালোই আছি। আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি -
আজকে আমি ঘুম থেকে উঠি একটু লেটে।গতরাতে একটু দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ায় আজকে আমার ঘুম থেকে উঠতে ৯টা বেজে যায়।এরপর আমি ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিই। গতরাতে মা সেমাই রান্না করেছিলো। সেগুলোর কিছুটা অবশিষ্ট ছিলো।আমি সেগুলো খেয়ে নিই।এরপর আমি প্রতিদিনের মতো একটু পড়তে বসি। এরপর পড়াশোনা করা শেষে আমি বাইরে বের হয়ে আমার লালুকে দেখতে পাই।কিছুক্ষণ সময় তার সাথে খুনশুটি করি।এরপর তাকে এক বোতল দুধ খাওয়াই।
এরপর আমি আমাদের বাসার বাইরে বের হই।সেখানে গিয়ে একধরনের ছোট ছোট ফুলের দেখা পাই।তৎক্ষনাৎ আমি আমার ফোনটা বের করে কয়েকটি ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।আসলে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক পছন্দের একটা কাজ।কিন্তু আমার তেমন ভালো ক্যামেরা বা ফোন নেই।তবুও আমার ভাঙা ফোন দিয়ে যতোটুকু পারি আর কি।এরপর আমি বাইরে কিছুক্ষণ ঘুরাফেরা করে আবার বাসায় চলে আসি।
এরপর আমি আমাদের গরুগুলোকে খাবারের ব্যাবস্থা করে দিই।তাদের পানি খাওয়াতে যাই।খাবারে মেশানো সকল উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে পানি খাওয়াই।এরপর আমি আমাদের বাসার বাইরে অনেকগুলো হাসের চেচামেচি শুনি।বাইরে বের হতেই দেখি আমার এক চাচাতো ভাই কয়েকশো হাস নিয়ে জমে থাকা পানিতে খাবার খাওয়াচ্ছে।আমি তার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে সেগুলোর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম।
আসলে বর্তমান বাজারে হাস পালন লাভজনক একটা চাষাবাদ। কারন সে সারাদিন এগুলোকে বাইরের খাবার দিয়েই লালনপালন করে।শুধু রাতের বেলায় নিজের কেনা খাবার খাওয়ায়।এরপর আমি সেখানে কয়েকটি ছবি তুলে রাখি।এরপর বাসায় চলে আসি।এসে গোসল করে খাওয়া করে নিই।এরপর আমি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই।
বিকেল বেলা আমি আমার চুল কাটাতে যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার এক ভাইয়ের ছেলেকে ডাক দিলাম।দুজন মিলে একসাথে বাজারে যাচ্ছিলাম।তখনেই দেখতে পাই যার কাছে চুল কাটাতে যাচ্ছি, সেই জীবন ভাই তার দোকানে যাচ্ছে।আমিও তাকে দাড় করালাম।এরপর আমরা দুজন তার বাইকে উঠে বসি।এরপর তার সেলুনে যাই।সে প্রথম সিরিয়ালেই আমার চুল কেটে দেয়।
এরপর আমাদের বোর্ডহাট বাজারে একটা বিখ্যাত ভাজাপোড়ার দোকান আছে।এখনো প্রতি পিচ বড়ার দাম মাত্র ১ টাকা করে।আমরা সেখানে ৫০ টাকা দিয়ে ৫০ টা বড়া খাই।এরপর অন্ধকার নেমে আসে।তড়িঘড়ি করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই কারণ আজকে আমার বোনের বাসা থেকে আত্মীয়রা আসবে।তাই তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে অনেক কাজ করতে হবে।
বাসায় আসার পর প্রথমেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর আমি এবং আমার ভাবি মিলে নাস্তা সাজাতে শুরু করি।আসলে আমাদের বাসায় খুব বেশি মানুষ নেই।তাই পরিবারের মানুষদের সাহায্যের খুব প্রয়োজন পড়ে।এজন্য আমি চুপ করে থাকতে পারিনা।যাই হোক আমার ভাবির থেকে আমি মনে হয় বেশি সুন্দর করে ফল কাটতে সক্ষম হয়েছি।এরপর আমার মা রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করে ফেলে।
আমরা সবাই মিলে সব কিছু প্রস্তুত করার কিছুক্ষণ পর পরেই আমাদের আত্মীয়রা চলে আসে।এরপর আমরা তাদের নাস্তা দিই।এরপর আমরা তাদের খাবার দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই।কেউ ভাই কেউ মাংস আবার কেউ বা ডাল দিতে ব্যস্ত। আমিও পানি দেওয়া এবং সালাদ, পটলভাজি ইত্যাদি পরিবেশন করেছি।এরপর সবাইকে খুব সুন্দরভাবে খাওয়ানোর পর মিষ্টি আর দই দিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছি।তারপর তারা চলে যায়।আমরা সবাই মিলে খাওয়া করি।
আপনি যে লালুকে কতটা ভালোবাসেন আর ওর সাথে খুনসুটি করতে পছন্দ করেন সেটা এত দিনে খুব ভালো করে বুঝে গিয়েছি। ওকে এক বোতল দুধও খাইয়েছেন। আমিও আমার পোষা প্রাণীর সাথে এমন দুষ্টামি করি। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফিটা সুন্দর হয়েছে। আপনার মতো আমিও ফুলের ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। অনেক হাস একসঙ্গে দেখেছি তবে এত বেশি পরিমান হাঁসের পাল একসাথে আগে কখনও দেখিনি। ঠিকই বলেছেন হাসের ব্যবসা বর্তমানে অনেক লাভজনক। ভালো থাকবেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পুরো দিনলিপিটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আসলেই আমি লালুকে অনেক ভালোবাসি।এই অবলা প্রানী গুলো মানুষের বিস্যস্ত বন্ধু। আরো অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে। শুধু ভালো একটা ফোন কেনার অপেক্ষায় আছি ভাই।
আমি বাইরে থাকার কারণে পোষা প্রাণী বাড়িতে পালা হয় না। ঠিক বলেছেন হাঁস পালন খুব থেকে লাভজনক ওরা সকল হতেই খালে বিলে চলে যায় সন্ধ্যার দিকে একটু আসে থাকতে। খাবার কম পরিমাণে ই লাগে।
আপনার বোনের বাসা থেকে আত্মীয়-স্বজন আসার ভালোই আপ্যায়ন করেছেন এবং খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল।
ধন্যবাদ আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে আমারো অনেক ইচ্ছা আছে একটা বিড়াল পোষ মানানোর।জীবজন্তু আমার অনেক ভালোলাগে।বোনের বাসায় আমরা আজকে গেছিলাম।তারাও আমাদের এভাবেই আপ্যায়ন করেছিলো।হাসমুরগী পালন আসলেই অনেক লাভজনক।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পোস্টে ফুলের ফটোগ্রাফি টা খুব সুন্দর লাগছে ।তবে ফুলটার নাম আমার মনে পড়ছে না। হাঁস গুলো জলে চড়ছে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে ।আপনি ঠিকই বলেছেন। এখন হাঁস, মুরগি পালন করা খুব কম খরচেই হয়। কারণ হাঁস ,মুরগি সকালবেলায় ছেড়ে দিলে ওরা বাইরে খেয়ে বেড়ায়। এর ফলে হাঁস পালন করে অনেক লাভজনক হচ্ছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।আসলে ফটোগ্রাফি করা আমার সখ।ভালো ফোন থাকলে হয়তো আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারতাম।হাস মুরগী পালন গ্রামের সব থেকে সুন্দর কাজ গুলোর একটি।এটি প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।আসলে এদের পালনে খরচ তুলনামূলক পোল্ট্রি পালনের চেয়ে কম।
রাত্রে অনেক লেট করে ঘুমাতে গেলে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি দেরি হয়, এটা স্বাভাবিক। আপনার বোনের যেহেতু নতুন বিয়ে হয়েছে। তাই বাসায় আত্মীয়-স্বজন আসবে সেজন্য আপনি আপনার ভাবি এবং পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের সাথে, নাস্তা তৈরি করার কাজে সাহায্য করেছেন। আসলে ঘরে মানুষ থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয় কিন্তু মানুষ না থাকলে একজনের উপর সমস্ত কাজ থাকলে। তার অনেক বেশি অসুবিধা হয়। আপনি আপনার পরিবারকে সাহায্য করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই কয়েক রাত থেকে আমার তেমন ঘুম হচ্ছে না।তবে আশা করছি আজকে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবো।আমি পরিবারের মানুষের সাথে কাজে সাহায্য করতে অনেক সাচ্ছন্দ্য বোধ করি।বিশেষ করে আমার মায়ের কাজে সাহায্য করতে পারলে আরো ভালো লাগে।আমি কখনো কাজে বৈষম্য তৈরি করি না।কাজ তো কাজই।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ভাঙ্গা ফোনের ক্যামেরা দিয়ে যদি এমন ছবি তুলতে পারেন, তাহলে ভালো ফোন বা ক্যামেরার খুব প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। কারন ভাঙা ফোন দিয়ে তোলা আপনার ফোটোগ্রাফি গুলি অসাধারণ হয়েছে। খাবারের আয়োজন দেখেই বুঝতে পারছি, ঠিক কতখানি যত্ন আপনারা সকলে মিলে আত্মীয়দের করেছিলেন। আপনি সত্যিই ফলগুলো খুব সুন্দর করে কেটেছেন।
ধন্যবাদ জানাই আমার ফটোগ্রাফির প্রসংশা করার জন্য। আসলে আমার ফোনটা বারে বারে হ্যাং করে। যেটির কারণে আমার জন্য এই প্লাটফর্মে কাজ করাটা ডিফিকাল্ট হয়ে যায়।তাই আমি একটা ফোন কেনার চেষ্টায় আছি।শুধু ফল কাটাই নয়,হাতের যে-কোনো কাজ করতে পছন্দ করি এবং মোটামুটি ভালোই পারি আরকি☺️।তাই তো সব সময় মায়ের কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করি।
রাতে দেরি করে ঘুমালে সকালবেলা একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে । যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই সকালের নাস্তা খেয়ে বই পড়তে বসেছেন।
আসলে শুধু হাস পালন করা নয়, যেকোনো কাজ সৎ ভাবে করলে বা ব্যবসা করলেও লাভ আসে।
আপনাদের বাসায় আত্মীয় আসবে এজন্য অনেক প্রকারের নাস্তা রেডি করেছেন। বাবা এত প্রকারের নাস্তা দেখে তো আমার নিজেরই মাথা ঘুরে গেছে।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই আমার সেই সময়ের কয়েকটা দিন তেমন ঘুম হয়নি বললেই চলে।নানান ঝামেলার মধ্যদিয়ে দিন অতিবাহিত করেছি।তবে মাশাল্লাহ এখন একটু রিলাক্স করছি।আসলেই ঠিক বলেছেন,মনোযোগ দিয়ে করলে সব কিছুই পজিটিভ ফল দেয়।সেটা হোক পড়াশোনা আর হোক বা ব্যাবসা। বোনের বিয়েতে নাস্তাগুলো সাজাতে আমি বেশি কাজ করেছিলাম।কারণ বাসায় তেমন মানুষ ছিলোনা সেইদিন।ভালো থালবেন,ধন্যবাদ।