Better Life With Steem | | The Diary Game | |18 June, 2024
আসসালামু আলাইকুম। সবাই নিশ্চয়ই ভালোই আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালোই আছি। আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি -
প্রতিদিনের মতোই আজকেও ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর হালকা একটু নাস্তা করে নিই।নাস্তা করার পর আমি পড়তে বসি।কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর আমি দেখতে পাই আমার চাচাতো বোনের ছোট্ট মেয়ে (আমার ভাগ্নী) আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে খুজছে।আমিও তাকে দেখে তার সাথে কিছুক্ষন খুনসুটিতে মেতে উঠি।
সে কিন্তু অনেক ছোট মানুষ হলেও তার কথাবার্তা আর চিন্তাধারা একজন পরিপূর্ণ বয়স্ক মানুষের মতো।তাই তার কথাগুলো শুনতে আমার ভালোই লাগে।ওর ছোটবেলা থেকেই সে আমাকে অনেক পছন্দ করে।কারো কোলে না গেলেও আমার কোলে আসতো।এরপর রান্নাবান্না শেষ করে মা আমাদের খেতে ডাকে।সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া করে নিই।
দুপুর হলে গোসলে গিয়ে দেখি শ্যাম্পু নেই।আমি সাথে সাথে বাসার পাশের একটা ছোট দোকান থেকে কয়েকটা শ্যাম্পু নিয়ে আসি।এরপর আমি গোসল করে নিই। গোসল করার পর আমি কিছুক্ষণ কমিউনিটির এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য সবাই পোস্টে মন্তব্য করা শুরু করি।কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার চোখে প্রচন্ড ঘুম চলে আসে।এরপর আমি ঘুমাই যাই।ঘুম থেকে উঠেই দেখি ৪টা বেজে গেছে।
তড়িঘড়ি করে চোখে পানি দিয়ে বাসার পাশে একটু হাটতে বের হই।আমি আবার বিকেলবেলা বের হলে সাথে কোনো সঙ্গী পাইনা।এরপর একাই কয়েকটি সেলফি তুললাম। এরপর পাশেই দেখি ছোট ছোট কিছু নাম না জানা ফুল।সেগুলোর ফটোগ্রাফি করি।এরপর সেখান থেকে বাসায় এসে লালুর সাথে কিছুক্ষন সময় কাটালাম। তাকে দুধ খাওয়ালাম।আমার মা আর বোন আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছে।তাই লালুর খেয়াল রাখতে বলে আমাকে।এরপর আমি আমার বন্ধুদের ফোন দিই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
এরপর আমরা আমরা আমাদের স্কুল মাঠে যাই।সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে আড্ডা দিই।আসলে ঈদের সময় সব বন্ধুদের পাশে পাওয়া যায়।এটাই ঈদের বড় আনন্দ। সবাই সবার জীবনের উদ্দেশ্য নিয়েই ব্যস্ত থাকে সারাবছর। তাই কেউ এই দিনগুলো মিস করতে চায় না।আমরা মাঠে যাওয়ার পর আড্ডা দিই আর নানান রকমের খাবার খাই।আমার বন্ধু সাইদুল আমাদেরকে অনেক মজার মজার গল্প শুনিয়েছে।আমরা হাসতে হাসতে শেষ। আমারতো রীতিমতো পেটব্যথা শুরু হয়ে গেছিলো।
আসলে আমার ফ্রেন্ড সারকেলের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এই গ্রুপের কেউ স্মোক করে করে।একসাথে শৈশব থেকে শুরু করে ইনটারমেডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।আমরা সবাই সবাইকে খুব ভালো করেই চিনি।আড্ডা শেষ করে আমরা সবাই সবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।এরপর বাসায় এসে খাওয়া করি।এরপর দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।আমি বেশ কিছুদিন যাবত একটা নাটক দেখতে চাচ্ছি।
ইতিমধ্যে ফোনে ডাউনলোড করে রাখছি।নাটকের নাম হচ্ছে "তখন যখন"। আমার পছন্দের অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান এই নাটকের প্রধান চরিত্র। আজকে আমি এই নাটকটি দেখে ফেললাম।এরপর আমি পোস্ট করার জন্য পোস্ট সাজিয়ে নিলাম। এরপর পোস্ট করে ফেললাম।আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
আপনি হয়তো লিখতে চেয়েছেন যে আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলের কেউ ধূমপান করে না। কিন্তু লেখাটি সম্পূর্ণ হয়নি।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে খুব আনন্দ করেছেন।এতকিছুর মধ্যেও লালুকে আপনি ভোলেননি।
মিনি প্যাকেট শ্যাম্পু কেনা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। বড় বোতলের শ্যাম্পু কিনলে আসলে অর্থ অপচয় হয়।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার দিনলিপি বর্ণনা করেছেন।ভালো লেগেছে পড়ে।
আপনি আমার পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এইজন্য অনেক ভালো লাগলো। আসলে ঠিক বলেছেন।লিখাটায় আমার মিসটেক হয়েছে।আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ স্মোক করে না।আমি মিনিপ্যাকের শ্যাম্পু গুলোই ব্যবহার করে থাকি।ছোট থেকে এগুলো ব্যবহারেই অভ্যস্ত।
এখনকার ছোট বাচ্চারা শুধু বয়স আর দেখতেই ছোট কিন্তু কথা শুনলে সেটা মনে হয়। এখনকার বাচ্চারা খুব বুদ্ধিমান হয়ে থাকে এবং পাকা পাকা কথা বলতে পটু হয়।
সারা বছর সবাই সবার কাজে ব্যস্ত থাকলেও ঈদের সময় সবাইকে একত্রে পাওয়া যায় এটা ঠিক। ফুলের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে । আজও লালুকে দুধ খাওয়াতে ভোলেন নি৷ ভালো থাকবেন।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।আসলে বর্তমান সময়ের বাচ্চাদের বুদ্ধির পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এতোকিছু বলা তো দুরের কথা,ভালোভাবে বুঝতামি না।লালুকে তো যতদিন বাসায় থাকি ততদিনই খাওয়াই।কিন্তু দিনাজপুরে চলে গেলে তো আর খাওয়াতে পারিনা।তখন আমার মা আর বোনের কাধে দায়িত্ব পড়ে যায়।বন্ধুদের সাথে আড্ডা চলবেই এই কয়েকটা দিন।এরপর আবার যার যার গন্তব্যে চলে যাবে।ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন এখনকার বাচ্চাদের সাথে কথা বলে পারা যায় না এত বুদ্ধি নিয়ে চলে এরা। আর আমি ছোটবেলায় বড়দের ভিতর কথা বলতেই বেঁধে বেধে যেত। কারো মুখের উপর কোনো কথা বলতে আজও দ্বিধা বোধ করি আর সেখানে এরা এত পাকা পাকা কথা কোথায় পায় ওরাই ভালো জানে। আপনি বাড়িতে থাকলে লালুর যে কতটা খেয়াল রাখেন সেটা তো দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার ভাগ্নীর সাথে আপনার বন্ডিংটা খুব ভালো বোঝা যাচ্ছে। মামা ভাগ্নীর ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। লালু আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। আপনি ঠিক বলেছেন ঈদের সময় ছাড়া সব বন্ধুরা একসাথে হওয়ার খুব বেশী সুযোগ থাকে না।আর আপনার বন্ধুদের মধ্যে স্মোকিং এর বাজে অভ্যাস নেই জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।