Better Life With Steem | | The Diary Game | | 16 June, 2024
সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজকেও আমার ঘুম ভাঙে এলার্মের শব্দে। এরপর ঘুম থেকে উঠেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিই।এরপর আমি প্রথমেই পড়াশোনা করতে বসি।পড়াশোনা করার ফাকেই নাস্তা করে নিই।তখন প্রায় ৮ টা বাজে।মা নাস্তা প্রস্তুত করে আমাকে ডাকে।আমি গিয়ে নাস্তা করে নিই।এরপর আমি আবারো পড়তে বসি।পড়াশোনা একটা ১২ টা পর্যন্ত করি।এরপর আমি চলে গেলাম আমার মায়ের কাছে।দেখতেছি তিনি নানান কাজে ব্যস্ত হয়ে আছেন। আমি তাকে বেশ কিছু কাজে সাহায্য করি।এরপর আমরা সবাই মিলে খাওয়া করে নিই।
এরপর আমি যাই আমাদের গ্রামের বাইরে সেখানে গিয়েই আমি আমার ছোট ছোট ভাতিজাদের সাথে আড্ডা দিই।তাদের কাজকর্ম আর খেলাধুলা দেখে আনন্দ নিতে থাকলাম।এরপর আমি তাদের সাথে কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।আসলে ছোট ছেলেদের খুনশুটি দেখলে শুধু শৈশবে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করে।আমি বার বার এমন বিষয়গুলো মিস করি।এরপর আমি বাসায় চলে আসি।।
বাসায় এসে দেখি আমার প্রিয় লালু খাওয়ার জন্য ছটফট করতেছে।তাকে দুধ খাওয়ালাম। এরপর আমি খাওয়া করে নিলাম।বিকেল হতেই বের হয়ে গেলাম বাড়ির বাইরে ইটভাটায়। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।আর কিছু ছোট ছোট ফুলের ছবিও ক্যামেরাবন্দি করে রাখি।বিশেষ করে আমার কাছে যে ছবিটি অনেক ভালো লেগেছিলো সেটি হচ্ছে পানির উপর দিয়ে রাজহাঁসের সারিবদ্ধ চলন।আসলে প্রকৃতির এসব দৃশ্য আমার মন কাড়ে বার বার।এরপর আমি সেখানে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করি।
সন্ধ্যা হতেই আমি চলে যাই বাজারে।সেখানে এক ছোট ভাই রোস্তম টেইলার্সে তার প্যান্ট সেলাই করতে দিবে।রোস্তম দাদার বয়স অনেক হয়েছে।তবুও কাজের জোর একটুও কমেনি।আমার জন্মের পর থেকেই উনাকে দেখি এভাবেই কাজ করে যেতে।আজকে উনার বয়স ৮০+ বছর।তবুও উনি মনের শক্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।আমাদের বলতেছিলো যে মরনের আগের দিনেও যেনো কাজ করতে পারি।আমি ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করি না।এরপর আমরা চলে গেলাম পান সুপারির দোকানে।মানে আজকে আমার ছোট বোনকে পাত্রী পক্ষ দেখতে আসবে।এরপর বাসায় এসে যা শুনি সেটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।শুনলাম যে আজকেই আমার বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে যাবে।আসলে বিয়েটা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার রহমতসরুপ।
আসলে কখন কার কিভাবে কার সাথে বিয়ে হয়ে যাবে তা বলা মুসকিল। হঠাৎ করে এতো আয়োজন হওয়ার ফলে আমার কাধে কাজের চাপ বেড়ে গেলো।এদিকে আজকেই আবার আমাদের হ্যাংআউট হবে।তাই আমি খুবি চিন্তিত ছিলাম।এরপর ৯ টার দিক ক্লাস শুরু হলে আমি সেখানে যুক্ত হয়েই সম্পা বিশ্বাস দিদির কাছে সেই বিষয়টি শেয়ার করি।এরপর তিনি আমাকে যেতে দেন।এরপর থেকে শুরু করে রাত ২ টা পর্যন্ত নানান কাজের মধ্যে ব্যাস্ত থাকি।এরপর সব কাজ শেষে সকল আত্মীয়ের বিদায়ের পর আমি খাওয়া করে নিই এবং আমার দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।এরপর যথারীতি পোস্ট করি।
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, আপনার বোনের বিয়ের জন্যও শুভেচ্ছা জানাই। বিষয়টি সম্পর্কে গতকাল হ্যাংআউটে জেনেছিলাম এবং বেশ কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। তবে আপনার পরিবার আপনার বোনের জন্য নিশ্চয়ই ভালো সিদ্ধান্ত নেবেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপনার বোনের বিবাহিত জীবনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
অনেকদিন বাদে আপনার লালুকে দেখার সুযোগ হলো। ওর সাথে আপনার বন্ডিং সত্যিই অতুলনীয়। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এক অসাধারণ ব্যক্তির সাথে আজ পরিচিত হলাম। যিনি ৮০ বছর বয়সেও নিজের কাজটি সমান আগ্রহের সহিত করে চলেছেন এবং যতদিন তিনি বাঁচবেন, এই কাজটি করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটাই আসলে প্রত্যেকের করা উচিত, কিন্তু আমরা অনেকেই সেটা করতে পারিনা।বয়সের কাছে হার না মানার এই ইচ্ছা শক্তিকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।
আপনার সারাদিনের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। বোনের বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ খাটুনি হয়েছে, তা সত্ত্বেও আপনি নিজের পোস্ট শেয়ার করতে ভুলেন নি, এই বিষয়টির জন্য আপনাকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
আমার সম্পুর্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর সুন্দর একটা ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।আসলে আপনার মন্তব্য সর্বদাই আমার অনেক ভালো লাগে।হ্যাংআউটে থাকতে না পেরে আমারো অনেক আফসোস হয়েছে।আসলে হ্যাংআউট বলেন টিউটোরিয়াল ক্লাস বলেন এগুলা আমি অনেক ইঞ্জয় করি।এরপর থেকে নিয়মিত উপস্থিত থাকবো ইনশা আল্লাহ।
সারাদিন খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন। সকালবেলা মাকে সাহায্য করেছেন কাজে। এরপর বাইরে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর কিছু ছবি তুলেন। আপনার লালুটা কিন্তু ভারী সুন্দর। তার সাথে যে আপনার একটা বন্ধন আছে ভালোই বোঝা যায়। রোস্তম দাদার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। এসকল মানুষই আমাদের কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা জোগায়। আপনার বোনের বিয়ে হয়ে গেল হুট করেই। আশা করছি আপনার পরিবার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
আসলে মায়ের কাজে সাহায্য করার ভিতর অন্যরকমের একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।তাই আমি সুযোগ পেলেই তাকে ছোট খাটো কাজে সাহায্য করে থাকি।লালুকে আপনারা সবাই অনেক পছন্দ করেন তা আমি বুঝতে পারি।রোস্তম দাদা আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ ভাই আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনার লালু তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে আর তার স্বাস্থ্যও তো ঠিক আছে। সাধারণত মায়ের দুধ না পেলে এদের স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে যায় তবে হয়ত আপনি ওকে খুব যত্ন করেন এজন্য ওর স্বাস্থ্য ঠিক আছে।
এখন আর বাইরে খাওয়ার লাগছে না বাড়িতে যাওয়ার কারনে মায়ের হাতের খাবারই পাচ্ছেন।বাইরে থাকলে এটা অনেক বেশি মিস করি আমরা। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো থাকবেন।
আসলে ভাই লালুকে প্রতিদিন রুটিনমাফিক খাবার খাওয়ানো হয়।আমরা সবসময় চেষ্টা করি সে যেনো তার মায়ের অভাব উপলব্ধি করতে না পারে।মায়ের হাতের খাবার খেলেই আমি সুস্থ থাকি।নাহলে আমি খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ি।ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
লালুকে হয়ত আপনারা সবাই খুব আদর ও যত্ন করেন। মাকে ভোলা যায় না তবে ও হয়ত আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে মাকে ছাড়া থাকতে শিখে যাবে। আসলেই মায়ের হাতের খাবারে এক অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যায় যেটা আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। আর তাছাড়া বাইরের খাবার খেলে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়ি। ভালো থাকবেন, ভাই।
ঈদে বা কোরবানি এই সময়টাতে আনন্দ পাই আমরা তবে এর পাশাপাশি ও কয়েকটা বিয়েতে ও যোগদান করা হয় আমাদের আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যায়।
তবে আপনার বোনের বিয়ের খবরটা হঠাৎ করে শোনার জন্য হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না তবে সৃষ্টিকর্তা যা করে আমাদের মঙ্গলের জন্যই করে। তার জীবনটা সুখের হোক সে প্রার্থনা করছি।
আপনি ঠিকি বলেছেন।ঈদ আসলেই দেখা যায় যে চারপাশে বিয়ের আমেজ শুরু হয়।আসলে এই ভালোলাগা প্রকাশ করার মতো না।হঠাৎ করে বোনের বিয়ে হয়ে গেলো।আল্লাহর হুকুম হলে এভাবেই না চাইতেও অনেক শুভকাজ হয়েই যায়।তবে আপনারা সবাই এভাবেই দোয়া করে যাবেন।এটাই আপনাদের কাছে আমার বড় চাওয়া।