Better Life With Steem | | The Diary Game | | 13 June, 2024
সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমার ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙে। যদিও আমি বাসায় আছি, চাইলেই ফোনের এলার্মটা বন্ধ করে রাখতে পারি, তবুও বন্ধ করিনা।কারণ এতে করে আমি প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারি।এটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।ঘুম থেকে উঠেই আমি প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিই।এরপর আমি আজকেও পড়াশোনা করার জন্য টেবিলে যাই।
কিছুক্ষন পড়াশোনা করার পর মা নাস্তা রেডি করে আমাকে ডাক দেন।আমি নাস্তা করে নিই।নাস্তা করার পর হঠাত করেই আমার এক চাচাতো ছোট ভাই আমার কাছে আসে।বলে যে দিনাজপুরে যাবে ফোন কিনতে।পুরোনো ফোনের মার্কেট।সেখানে অনেক ভালো ভালো ফোন পাওয়া যায়। আমিও কোনো উপায় না পেয়ে তার কথায় রাজি হয়ে গেলাম।তার সাথে তার একজন বন্ধু ছিলো।এই নিয়ে আমরা সর্বমোট তিনজন মিলে দিনাজপুরের উদ্যেশে রওনা দিই। সেখানে যাওয়ার জন্য আমরা আজকে বাসে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
প্রতিদিন আমি আমার লিখায় বাসের বদনাম করলেও আজকে আমি বাসের প্রসংশা করতে চাই।আজকে বাস টার্মিলানে যাওয়ার পর চোখে পড়ে এক অসম্ভব সুন্দর বাসের।যেটিই হবে নাকি আমাদের আজকের চলার সঙ্গী। এরপর বেশি দেরি না করেই ১৮০ টাকায় ৩ টা টিকেট কেটে ফেললাম।এরপর বাসে উঠেই দেখি এখনো পর্যাপ্ত যাত্রী উঠেনাই।তাই আমি কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।এরপর আমরা ১.৩০ ঘন্টার পথ অতিক্রম করার পর গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম।
এরপর সেখানে গিয়ে বাস টার্মিনালেই নামলাম।সেখান থেকে আমার কলেজ অনেক কাছে।আমার কলেজেও খুব ছোট্ট একটা প্রয়োজন শেষ করে নিলাম।এরপর ছোট ভাইদের সাথে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী কিরে রাখলাম।তারপর আমরা চলে গেছি আমাদের কলেজ থেকে ২ কিলোমিটার দুরের একটা বাজারে।মূলত সেখানেই ব্যাবহৃত ফোনের মার্কেট পাওয়া যায়।মানুষের মাধ্যমে কোজ নিতে নিতে পেয়ে গেলাম সেই বাজারটি যেখানে পুরো বাযারেই এমন ফোনের সমারোহ।এরপর আমরা অনেক খোজাখুজি করে নিলাম।কিন্তু বিভিন দিক বিবেচনায় আমরা ফোন কিনতে পারলাম না।আমি তাকে বুঝাই বলি অন্য কোনো একদিন নাহলে আবার দিনাজপুরে আসিও।
এই বলে আমরা সবাই মিলে চলে যাই খাবারের হোটেলে।সেখানে গিয়া আমরা ডিম আর ডাল দিয়ে সাশ্রয়ী একটা হোটেলে ভাত খেয়ে নিই।এরপর আমরা সেখান থেকে চলে যাই বড়মাঠে।সেখানে পাশেই কাপড়ের দোকান।ছোট ভাইয়েরা আমাকে নিয়ে সেই কাপড়ের দোকানে গেলো।তারা কিছু কাপড় কিনে নিলো।যেমন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি। আমিও একটা টি-শার্ট ক্রয় করে নিই।আর এইদিকে ট্রেনের অপেক্ষা করতে থাকি।৬ টায় আমাদের ট্রেনের সঠিক সময়।এরপর ঠিক সময়ে স্টেশনে গেলাম এবং আজকেও ঝামেলার মধ্যে পড়ে আই।
ট্রেনের লেট হওয়া শুরু হইছে।টানা ১ ঘন্টা লেট করার পর অবশেষে ৭ টায় ট্রেন আসলো।এরপর আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।কিন্তু আসার পথেও ট্রেনটির অন্য ট্রেনের সাথে ক্রসিং করতে এক ঘন্টা সময় লাগে।এভাবেই আমার ছোট রাস্তাটি বড় একটা সময়ের ব্যবধাবে বাসায় আসতে হয়।এরপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে নিই।এরপর বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যাকার বিশ্বকাপ ম্যাসটি কিছুদূর দেখে আমি আজকের দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি। এরপর আমি পোস্ট সম্পন্ন করে পরিতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ি।আর এভাবেই আমার সুন্দর একটা দিনের সমাপ্তি ঘটে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। প্রতিদিনের মতো মোবাইল ফোনের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছেন। এবং কিছু সময় পড়াশোনা করেছিলেন তার পাশাপাশি আপনার আম্মা সকালের নাস্তার জন্য আপনাকে ডাক দিল আপনি নাস্তা শেষ করে দেখতে পেলেন আপনার একটি ছোট্ট চাচাতো ভাই আপনার কাছে এসেছে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য মোবাইল কিনবে বলেন।
সেখানে গিয়ে আপনারা অনেক ঘোরাঘুরি করেছিলেন এবং অনেক টা আনন্দ করেছিলেন কিন্তু মোবাইল আপনারা নিতে পারেননি। যাই হোক আপনার চাচাতো ভাইকে আপনি বললেন অন্য একদিন আবার দিনাজপুর এসে মোবাইল নেওয়ার কথা।
ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার সম্পুর্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আসলে গতকাল দিনটি পুরো দিনটি খুব ব্যাস্ততার সাথে কেটেছে।দিনাজপুরে যাওয়ার পর থেকে সারাটাদিন শুধু হেটেছি আর হেটেছি।আবার বাসায় পৌঁছাতে অনেক রাগ হয়ে গেছিলো ট্রেনের সমস্যা জনিত কারণে। ভালো থাকবেন সুস্থ থকবেন। শুভকামনা রইলো।
আজকের দিনটা মোটামুটি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথেই কাটিয়েছেন। আসলে এই ধরনের মার্কেটে পুরনো মোবাইল বিক্রি করা হয়ে থাকে সেটা আমি জানতাম। তবে ভালো মোবাইল পাওয়া যায় এটা আমার জানা ছিল না।
কেনার পাশাপাশি আপনারা অনেকটা সময় জামাকাপড় কেনার জন্য ব্যয় করেছেন। সেই সাথে কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে ঘুরা ঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে আমরা যেখানে গেছিলাম সেখানে একমাস দুইমাস ব্যবহৃত ফোনগুলো অনেক পাওয়া যায়।তাই সেখানেই গেছিলাম।কিন্তু ফোন পছন্দ হলেও তারা মার্কেট প্রাইজের থেকে দুই এক হাজার টাকা কম রাখতেছে শুধু। তাই গতকাল চলে আসছি।তবে আবার একদিন যেতে হবে তার ফোন কেনার জন্য।
এক দুই মাস ব্যবহার করা ফোন যদি ভাল হয় তাহলে তো, ভালই। কম দামে অন্তত পক্ষে ভালো করার ফোন ব্যবহার করা সম্ভব। মার্কেট প্রাইস থেকে যদি মাত্র দুই তিন হাজার টাকা কম রাখে তাহলে তো অনেক। তাহলে তো নতুন কেনাটাই বেটার। একদমই ঠিক বলেছেন চলে এসেছেন, ভালো করেছেন অন্ততপক্ষে ওই দুই তিন হাজার টাকা ম্যানেজ করে, নতুন একটা ফোন কিনে নিয়েন তাহলেই ভাল হবে।
আপনার চাচাতো ভাই দিনাজপুরে যাবে পুরানো ফোন কিনতে। পুরানো ফোন কেনার আগে অবশ্যই অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত নাহলে অনেক ধরনের বিপদ হতে পারে। পুরানো ফোন না নিয়ে ভালোই করেছেন। তবে নিজের জন্য একটা টি শার্ট ক্রয় করেছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে আমি এই ধরনের ফোন কখনো ক্রয় করিনি।তাই আমার তেমন ধারনাও ছিলো না এগুলোর সম্পর্কে। তবে যে হারে দাম চাচ্ছিলো তারা সে অনুযায়ী ইনটেক ফোন কেনাই বেশি শ্রেয় বলে আমি মনে করি।হ্যাঁ আমি একটা টিশার্ট কিনেছিলাম।এটি আমার কাছে অনেক পছন্দের একটি টিশার্ট ছিলো।
এই ধরনের পুরানো ফোনগুলো সাধারণত চুরি করা হয় থাকে এজন্য ভালো ভাবে না জেনে এই ফোন গুলো ক্রয় করলে আইনি ঝামেলায় পড়ার সম্ভবনা থাকে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন পুরানো ফোন কেনার থেকে দুরে রাখি নিজেকে সব সময়।আপনি না কিনে ভালো করেছেন বলে আমি মনে করি।ভালো থাকবেন।
প্রতিদিনের মতো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে বই পড়েছেন। পরে আপনার এক ভাই ফোন কিনবে।সেজন্য দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আসলে আমাদের রংপুর বিভাগের বাস গুলো বেশি একটা ভালো নয়। আমিও এর আগে অনেকবার শুনেছি দিনাজপুরে পুরাতন মোবাইলের অনেক দোকান রয়েছে। সেখানে অনেক ভালো ভালো ফোন পাওয়া যায়।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই আমাদের দিনাজপুর থেকে পার্বতীপুরের বাসগুলো খুবই জঘন্য। মানে নূন্যতম ফিটনেসটুকু নেই।যদিও বা নিজের এলাকা তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি।আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।আসলে অনেক ভালো ভালো ফোন ওই মার্কেটটাতে পাওয়া যায়।কিন্তু আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী ফোন মেলাতে পারিনি।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
চাচাতো ভাইয়ের সাথে ফোন কিনতে দিনাজপুর গিয়েছিলেন কিন্তু ফোন আর কেনা হলো না। পুরনো ফোনের অনেক অসুবিধা থাকতে পারে তাই সব সময় এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। তারপর কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কেনাকাটা করা হয়েছে। অবশেষে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরেছেন। আমার বাস জার্নি থেকে ট্রেন জার্নিই বেশী ভালো লাগে। তবে ট্রেনের সমস্যা হলো এই যে অনেক সময়সাপেক্ষ। অল্প রাস্তা যেতেই মাঝে মাঝে অনেক সময় লাগে। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পুরো দিনলিপিটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আসলেই ট্রেন জার্নি বেশিরভাগ মানুষের কাছেই প্রিয়।এটি একটি নিরাপদ ভ্রমণ ব্যবস্থা। কিন্তু সমস্যা তখনই বেড়ে যায় যখন ট্রেন ক্রসিং হয় কিংবা লেট করে ট্রেন ছাড়ে।সত্যি কথা বলতে অবেক ধৈর্যের পরিক্ষা দিতে হয় আরকি।হ্যাঁ আমি একটা আমার পছন্দের টিশার্ট নিয়েছিলাম যদিও বা ফোন কেনা হয়নি সেদিন।
অনেক আশা করে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে পুরাতন মোবাইল ফোন কিনতে গিয়েও কিনতে পারেন নাই নিজের বাজেটের সাথে মিল না হওয়ার কারণে।
ট্রেন নির্দিষ্ট সময় যাতায়াত করে তাই নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে না উঠতে পারলে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যকর খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করব জন্য।
সেইদিন ফোন কিনতে না পারলেও পরের দিন আমার ছোট ভাইকে ফোন নিয়ে দেওয়া হয়েছিলো শোরুম থেকে নতুন একটি ফোন।আসলেই অপেক্ষা জিনিসটা অনেক কষ্টকর।আমি ট্রেনের জন্য যখনেই যাই তখনেই অনেক অপেক্ষা করতে হয় যেটি আমি সহ্য করতে পারিনা।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লে করার জন্য। আসলে ঠিক বলছেন ভাই অপেক্ষার জিনিসটা অনেক কঠিন। পরের দিন নতুন ফোন কেনার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। নতুন ফোনের ফটোগ্রাফি আরো সুন্দর হবে এবং নতুন নতুন ফটোগ্রাফি আমরা দেখতে পারবো আপনার লেখার মধ্য দিয়ে।