Better Life With Steem | | The Diary Game | | 12 June, 2024
সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজকে আমার ঘুম ভাঙে সকাল ৭ টায়।ঘুম থেকে উঠেই আমি ব্রাশ করি। এরপর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা হিসেবে মায়ের হাতে বানানো চিতুই পিঠা খাই।এরপর আমি কিছুক্ষণ পড়াশোনা করি।পড়াশোনা করার সময় হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেলে আমি রুমের বাইরে চলে আসি।এরপর আমি কিছুক্ষণ মায়ের সাথে তার কাজের সাহায্য করে থাকি।
আসলে কি জানেন,মায়ের কাছে থাকলে নিজের মানুষিক যে তৃপ্তি পাওয়া যায় তা প্রকাশ করার মতো না।এরপর রান্না হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে খাওয়া করে নিই।পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়ার মধ্যেও রয়েছে এক অনন্য মহব্বত আর ভালোলাগা। এরপর আমি আমার লালুকে দুধ খাওয়াতে গেলে সে আজকে আমাকে হঠাৎ দেখে কাছে আসতে একটু ভয় পাচ্ছিলো।এরপর আবার ধিরে ধিরে তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে।
দুপুরবেলা আমি গোসল করে নিই।আজকে আমাদের এইদিকে সারাদিনে কোনো রোদ ছিলো না।আর একটু করে বাতাস ছিলো।তাই দিনটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগার মতো একটা দিন ছিলো।গোসল শেষ করেই খাওয়া করি।এরপর আমাদের ক্ষেতের দিকে যাই একটু ঠান্ডা আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি জমি গুলো জলে ভরে আছে।আর উপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।এতে পানি গুলোতে ছোট ছোট ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
আসলে এমন একটা দৃশ্য আমি আমার জীবনে অনেক করে চাই।এরপর আমি আবার বাসায় ফিরে আসি।কারণ আজকে আমাদের এলাকার স্কুল মাঠে কুরবানির গরুর হাট বসবে।তাই আমি খুব তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে সেখানে চলে গেলাম।এরপর ধীরে ধীরে বিকেল ঘনিয়ে আসলো।আমার বন্ধুদের জন্য একাই বসে বসে অপেক্ষা করতেছিলাম। আর সেই সময় কিছু গরুর ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।এরপর আমার ২জন বন্ধু চলে আসলো।তাদের সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিলাম।এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা নাস্তা করে নিলাম।এরপর যে যার বাসায় চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হতেই বাধে বিপত্তি। আমার একটা বান্ধুবীর সাথে দেখা করার জন্যে স্টেশনে যেতে হবে।এরপর স্টেশনে গেলাম আমার একটা ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে।এরপর আমরা স্টেশনে যাওয়ার পর অপেক্ষা করতে করতে রীতিমতো হতবাক। ৯টায় ট্রেন আসলো।এরপর তার সাথে দেখা হলো।প্রয়োজন শেষ হলে আমরা সেখান থেকে বাসার পথে রওনা দিই।বাসায় এসে ১০:১৯টা বেজে যায়।বাসায় মা আজকে অনেক বকাঝকা করে।
বাড়িতে আসলে মন বসে না।শুধু বাইরে যেতে ইচ্ছা করে।এসবের পর আমাকে খেতে দিলো।খাওয়া শেষ করে আমি আমার দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।যদিও বা দিনের বেলাতেই আমি এই কাজের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ করে রাখি।এরপর পোস্ট করে ফেলি। আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে
ঈদ আসবে আর সেটা আগে থেকে বোঝা যাবে না সেটা তো হতে পারে না। ঈদ আপনাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ধর্মানুষ্ঠান, সকলে মিলে এই দিনটায় সুন্দর মুহুর্ত পার করেন। আজ আপনাদের স্কুল মাঠে কোরবানির গরুর হাট বসেছে, আপনিও সেখানে গিয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটা মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আসলে ঈদের আনন্দ একেবারেই ভিন্নরকমের একটা আনন্দ। গরুর হাটে যাওয়ার যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।ঈদ উপলক্ষে আপনাদের সকলেরই আমার বাড়িতে দাওয়াত রইলো।
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি তাই প্রত্যেক এলাকার কোরবানির হাট গুলোতে খুব জমজমা ভাবেই গরু ছাগল মহিষ বেচাকেনা হচ্ছে আপনাদের এলাকায়ও তার ব্যতিক্রম নয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলে ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের খুশি ছড়িয়ে পড়ুক প্রত্যেক যায়গায়।আমাদের এলাকার এই গরুর হাটটি প্রতিবছরই আয়োজিত হয়ে থাকে।আর অনেক কেনাবেচা হয়ে থাকে।মানে এক কথায় অনেক জমজমাট গরুর হাট
সেটা হাটের পরিস্থিতি দেখে বুঝতে পারছিলাম কোরবানির ঈদ ততটা আনন্দ না হলেও গরু কেনাকাটার মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মায়ের হাতের বানানো চিতই পিঠা খেয়েছেন। সত্যি বাইরে থেকে বাড়িতে আসলে, মায়ের কাছে থাকার মাঝে যে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় সেটা বলার মত নয়।
এলাকায় গরুর হাট বসেছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমিও উপস্থিত থাকলে সবাই মিলে অনেক মজা করতাম।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আসলেই বন্ধু মায়ের হাতের যেকোনো খাবারেই সুস্বাদু। মায়ের তুলনা হয়না।চিতুই আমার তেমন পছন্দ না হলেও এইদিন আমার অনেও ভালো লেগেছিলো।গরুর হাটে একা একা সময় অতিবাহিত করেছি।আর সবাইকে অনেক মিস করেছি।ইনশা আল্লাহ সামনের গরুর হাটে সবাইকে কাছে পাবো।
মায়ের কাছে থাকলে আসলেই মানসিক শান্তি লাগে। ওটাই যে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।দিনটির আবওহাওয়া অনেক ভালো ছিলো। রোদ কম ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে রোদটাই বেশী পড়ে। বিকালে স্কুল মাঠে কোরবানীর হাট বসেছিল। সেখানে গিয়েছিলেন আপনি। কোরবানীর হাটে পশু বেচা কেনা দেখতে মজাই লাগে। রাতে বান্ধুবীর সাথে দেখা করতে গিয়ে বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে যায় আপনার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।