Better Life With Steem | | The Diary Game | | 11 June, 2024
আজকে ঘুম থেকে উঠেই আমি ব্রাশ করে নিই।এরপর আমি আমার অগোছালো রুমটা গুছিয়ে নিই।গতকাল জয়পুরহাট থেকে বাসায় এসেছি।তাই রুমগুলো একেবারেই এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে।এরপর আমি আমার বন্ধুদের সাথে চলে গেলাম আমাদের বাসার পাশ্ববর্তী একটা হোটেলে।সেখানে গিয়ে আমরা ডাল পরোটা খেয়ে নিই।এরপর আমরা আমাদের ফর্ম ফিলাপের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাই।আমাদের বাসা থেকে ব্যাংকের দূরত্ব হচ্ছে ৪ কিলোমিটার। আমরা সেখানে যাই এবং সবাই বিকাশের দোকানে গিয়ে ক্যাশ আউট করে নিলাম।এরপর আমরা ব্যাংকে চলে গেলাম।
ব্যাংকে যাওয়ার পর প্রথমেই আমরা একে একে সবাই আমাদের রশিদ বইগুলোতে সকল নির্দেশনা পূর্ণ করি।এরপর আমরা টাকা জমা দিই।টাকা জমা দিয়ে আসার পথে আমরা রাস্তার পাশে লিচুর বাজারে লিচুর দাম শুনি।আসলে আম, কাঠাল, লিচুর মৌসুমে সবখানে এগুলার দেখা মিলে।আমাদের দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। সারাদেশে এই জেলার লিচুর অনেক চাহিদা।আমের ক্ষেত্রে রাজশাহী সেরা হলেও হাড়িভাঙা আমের জন্য আমাদের দিনাজপুরের অনেক কদর রয়েছে।
এরপর আমি বাসায় চলে আসি।এখানে আসার পর আমি গোসল করে নিই।এরপর আমরা আমাদের জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে রাখি।আজকে অনেক কয়েকদিন দিন পরে বাড়িতে যাবো।তাই আমি আজকে অনেক আনন্দিত। এরপর আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য একসাথে হোটেলে চলে গেলাম।আমি বেশিরভাগ সময় মুরগীর মাংস দিয়েই খাওয়া করে থাকি।কারণ এটির স্বাদ আমার কাছে অনেক প্রিয়।সেখানে থেকে বাসায় চলে আসি।এরপর আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসি।
বাস টার্মিনালে যাওয়ার পর দেখি বাস নেই।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাস পেলাম।কিন্তু বাস তো ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও ছাড়ে না।আর সেই বাসে ফ্যানও ছিলো না।সিট গুলো ছোট ছোট। হাটু লেগে যাচ্ছে সামনের সিটে।এরপর সাইডে একটু যায়গা ভাঙা অবস্থায় ছিলো যেটি আমার হাতে বার বার লাগতেছিলো।কোলে একটা কাপড়ের ব্যাগ। পাশে একটা বইয়ের ব্যাগ। সব মিলিয়ে অস্বস্থিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
বাড়িতে এসে আমি সাথে সাথে ফ্রেশ হয়ে নিই।আর আমার মা'কে বলি আমাকে ভাত দিতে।কারণ ১২ টার দিক ভাত খাইছি।আর কিছুই খাওয়া হয়নি।খাওয়া শেষ করেই আমি আমার বোনের সাথে বাড়ির বাইরে উঠানে বের হই।তারপর আমি তার সাথে কিছু বিষয়ে আলোচনা করি।আসলে ছোট বোনের সাথে আমার খুব ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং। তাই আমার সব বিষয়ে তার সাথে শেয়ার করি।এরপর আমার মা আমাদের মাঝে যোগ দেন।আমি আমার মায়ের সাথে কিছুক্ষন গল্প করি।
এরপর আমি আজকের দিনলিপি লেখা শুরু করে দিই।কিছুদূর লেখার পর আমি রাতের খাওয়া করে নিই।যদিও আমার ক্ষুধা পায়নি।তবুও পরিবারের সবার খাওয়া দেখে আর মন চাচ্ছিলো না যে না খেয়ে বসে থাকি।অল্প একটু ভাত সবার সাথে বসে খেয়ে নিলাম।এরপর আমি আমার দিনলিপির বাকি অংশ সম্পন্ন করে ফেলি।আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
আপনার বিগত পোস্ট পড়ে আমরা অবগত হয়েছি আপনি জয়পুরহাট থেকে আবারও বাসায় এসেছেন। কিন্তু হ্যাঁ বাইরে থেকে আবারও রুমে এলে রুমটা পুরো অগোছালো থাকে। যাইহোক, সকালবেলা বাইরে নাস্তা করে ফরম ফিলাপের কাজ সম্পন্ন করেছেন। আমরা সবাই জানি আমাদের দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে দিনাজপুর জেলার যে কোন বাজারে লিচুর দেখা মেলে।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই আমার পুরো দিনলিপিটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এইজন্য। আসলে আমাদের দিনাজপুর জেলার গর্ব হচ্ছে লিচু।এই জেলার লিচু এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এবং তাদের কাছে এটির বেশ চাহিদা রয়েছে।লিচুর বাজার গুলোতে গেলে দেখতে পাবেন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা শ পর্যন্ত লিচু বিক্রি হচ্ছে
সব জায়গাতেই আম, লিচু ও কাঁঠালের দেখা পাওয়া যায় তবে একেক জায়গায় একেকরকম দামের বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়৷ আর একেক এলাকার ফলের স্বাদও ভিন্ন হয়ে থাকে। আজ হোটেলে গিয়ে সবাই মিলে মুরগির মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। অন্যান্য মাংসের তুলনায় মুরগির মাংস আমার সব থেকে বেশি প্রিয়। ভালো থাকবেন।
আসলে এটা অনেক ফলের সমারোহ ঘটার মতো একটা মৌসুম চলতেছে।সবখানেই এখন এসব ফল বিক্রি হচ্ছে।আর মুরগির মাংস আসলেই অনেক সুস্বাদু। এটি বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের খাবার।আপনার সুস্থতা কামনা করি।ধন্যবাদ
আপনি জয়পুরহাট থেকে বাড়ি এসে দেখছেন। ঘর গুলি অগোছালো। কারণ কোথাও থেকে কোথাও আসলে সত্যি ঘরগুলো এলোমেলো থাকে। সকালবেলায় বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছেন। তেলেভাজা জিনিস খেতে সকলেরই খুব পছন্দ। এই সময় সব ফলেরই একটু দাম বেশি। আপনি দুপুরবেলায় মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছেন। মুরগির মাংস আমার খুব একটা খেতে ভালো লাগেনা। আপনার সারাদিনের কাজ কর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আমার সম্পুর্ণ পোস্টটি অনেক মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আর সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।আসলে কোথাও গেলে বাসার অবস্থা সাভাবিক থাকে না।তাই সেখানে থেকে আসার পর আমি আমার রুম খুব সুন্দরভাবে ক্লিন করে নিয়েছিলাম।আসলে এটা নানান ফলের মৌসুম।তাই আমরা আমাদের ইচ্ছামতো ফল খেতে পারি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।