Better Life With Steem | | The Diary Game | | 10 June, 2024
আজকে আমার দিনাজপুরে ফেরার দিন ছিলো।আমাদের জয়পুরহাট থেকে ট্রেন আছে ভোর ৫:১০ টায়।সেই জন্য আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হইছিলো অন্ধকার থাকা অবস্থায়।তখন বাজে ভোর ৪ টা।উঠে ফ্রেশ হয়ে জিনিসপত্র নিয়ে আমি আর আমার বন্ধু বুলবুল যেই না বাইরে বের হইছি ঠিক তার সাথে সাথেই আমরা একটা রিকশা পেয়ে গেছি।যদিও বা রাতের ভাড়া বেশি নেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু লোকটা অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তাই আমাদের কাছে যথাযথ ভাড়াটাই নেন।এরপর স্টেশনে পৌছানোর ১০ মিনিট পরপরেই ট্রেন চলে আসে।
এর ভিতরে আমরা হালকা নাস্তা করে নিই এবং এককাপ করে চা পান করি।এরপর আমাদের ট্রেন রওনা করে।টানা ৩ ঘন্টা ভ্রমণ করার পর আমরা চলে যাই আমাদের গন্তব্যে। এরপর সেখানে নেমেই আমরা সর্বপ্রথম সেইদিনের রেখে যাওয়া বইয়ের বস্তাটি উদ্ধারের কাজে নেমে যার।এরপর সেটা আমরা পেয়েও যাই।এরপর আমি আমার দিনাজপুরের মেসে চলে আসি।সেখানে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করি।এরপর আমি উঠেই গোসল সেরে নিই।গোসল করার পর আমাদের মেসের পাশ্বীয় একটা হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই।খাওয়া শেষে মেসে চলে আসি এবং একটু ঘুমিয়ে নিই।
ঘুম থেকে উঠেই আমার বন্ধু ফরহাদের ফোন কল আসে।এরপর সে দরজা খুলতে বলে। আমি অবাক হয়ে দরজায় গিয়ে দেখি সে আসছে।আমারো সময় কাটানোর মতো একজন মানুষ পেলাম।তাই একটু ভালো লাগা কাজ করতেছিলো।এরপর আমরা দুজনেই আমাদের বাসার সকল জিনিসপত্র গোছগাছ করে রাখলাম।এরপর আমরা আমাদের বাসার বাইরে চলে যাই।বাসার সাথেই একটা খোলা যায়গা আছে।সেখানে বিভিন্ন বয়সের বাচ্ছারা নানান খেলায় মেতে থাকে।আমরা আমাদের বিকেলটা বসে বসে তাদের খেলা দেখিয়ে কাটিয়ে দিলাম।এরপর আমরা বাসায় আসি।এখানে আসার পর আমরা কিছুক্ষণ আড্ডা দিই।
সন্ধ্যা হলেই আমরা খাওয়া করতে যাই আমাদের বাসা থেকে ১ কিলোমিটার দুরের একটা হোটেলে।সেখানে গিয়ে খাওয়ার মতো তেমন বেশিকিছু জিনিস দেখিনাই।তাই আমরা মুরগির মাংস দিয়েই রাতের খাবারটা করে নিলাম।রান্নাটা অনেক ভালো ছিলো।হোটেলটি ছিলো দিনাজপুর বাস টার্মিনালের ভিতরের একটি হোটেল।এরপর আমরা আবার বাসায় চলে আসি।আসার পর বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকা মধ্যকার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ম্যাসটি দেখা শুরু করি।খেলা দেখার মাঝে আমরা নানান ধরনের গল্প আড্ডায় মেতে থাকি।
শেষের দিকে খেলাটা এই রকম পরিস্থিতিতে গিয়ে পড়বে তা কল্পনায় ছিলো না আমার।সহজে জেতা ম্যাসটা হেরে গেলো বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের কমন বৈশিষ্ট্য। মানুষের দুঃশ্চিন্তার নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।অনেকেই এদের মায়ের দোয়া ক্রিকেট দলও বলে থাকে।এরপর আমি আমার আজকের করা পোস্টটি টাইপিং শুরু করি।এরপর রাত গভীর হলে আমরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে থাকি।কয়েল জালিয়ে, মশারী টাঙিয়ে রুমের লাইট বন্ধ করে ঘুমানোর আগে পোস্টটি কম্পলিট করে ঘুমিয়ে পড়ি।আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিদিনের থেকে কত কালকে আপনার সকালবেলাটা ভিন্ন রকম ছিল। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই জয়পুরহাট থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা হয়েছে। তবে জেনে ভালো লাগলো আপনি ভালোভাবে দিনাজপুরে পৌঁছাতে পেরেছেন। অনেকটা পথ জার্নি করার পর শরীর অনেকটাই ক্লান্ত হয়।
রাতেরবেলা বাইরে থেকেই ভাত খেয়েছেন।
সারাদিনের কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই এতো ভালো একটা মন্তব্য করার জন্য। আসলেই গতকাল রাত টা ছিলো আমার জন্য একটা অন্য রকম অনুভূতির রাত।গতরাতে ঘুমাইছিলাম মাত্র ১:৩০ ঘন্টা। এরপর তো ট্রেন জার্নি দিয়ে আমার দিনের কার্যকলাপ শুরু হয়ে যায়।আসলেই আমার শরীর অনেক ক্লান্ত। আজকেও বিশ্রাম করার সুযোগ নেই।
অনেক আনন্দের সাথে দিনটি কাটিয়েছেন। কিন্তু শেষে বাংলাদেশের খেলা দেখে সাবারই অবস্থা খারাপ। আপনারা সেই ভোরবেলা বের হয়েও রিক্সা পেয়ে গেছেন এবং রিক্সাওয়ালা মামা খুব ভালো তাই আপনাদের থেকে ন্যায্য ভাড়াটাই নিয়েছেন। আপনাদের ভাগ্য ভালো বলতে হবে। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘোরাঘুরি করেছেন। রাতে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছেন। একটা কথা আমার খুবই ভালো লাগলো যে, মানুষের দুঃশ্চিন্তার নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আসলেই ভাই এভাবে আর কত মেনে নেওয়া যায়? যাই হোক ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার সারাদিনের কার্জলিপিগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন সেজন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।আসলেই আমার গতকাল রাতের অনুভূতি একেবারেই ভিন্ন ছিলো।ক্রিকেট নিয়ে বলতে গেলে বলা শেষ হবে না ভাই।আমাদের কখনোই তারা ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেনা।এসব স্বপ্ন আর এখন দেখিনা।
হ্যা ভাই, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাতের ভাড়া দিগুণ। আমি নিজেও একদিন রাত ৪ টার দিকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানে আমার দিদিকে এগিয়ে আনতে খুলনা রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম তখন আমার কাছ থেকে দিগুন ভাড়া নিয়েছিলো, যদিও সেখানে আমার কিছুই করার ছিলো না কারন রাস্তায় কোনো গাড়িও ছিলো না। বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার ম্যাচটা আমি দেখিনি গতকাল। তবে মাঝে মাঝে স্কোর দেখছিলাম। ভালো থাকবেন।
আসলে ভাই মাঝে মাঝে এমন ভালো মানুষের দেখা মিলেই যায়।লোকটা পারতো আমাদের কাছে বেশি চাইতে।কারণ আশেপাশে কোনো রিকশা ছিলো না।কিন্তু সবার মন তো আর একরকম হয় না।বাংলাদেশের ম্যাচটি না দেখেই ভালো করছেন।যারা দেখছে তারা সবাই অনেক কষ্ট অনুভব করেছেন।