Better Life With Steem | | The Diary Game | | 07 June, 2024
সবাই নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালোই আছি। আজকের অতিবাহিত দিনটি নিয়ে হাজির হলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার শরীরটা খারাপ করছে।অসুস্থতা অনুভব হচ্ছে।তাই আজকে আমি ঘুম থেকে একটু দেরি করেই উঠি।আজকে ডিউটি আছে ইভিনিংয়ে।ঘুম থেকে উঠেছি ৯টার দিক।এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে ফ্রেন্ডদের নিয়ে হোটেলে যাই।আমরা যেখানে খেতে যাই আমাদের বাসা থেকে সেখানকার দূরত্ব ১৫ মিনিটের।
আসলে আমরা যেখানে থাকি সেই যায়গাটা একটু গ্রামাঞ্চলের মতো। এরপর সেখানে গিয়েই আমরা ডালপুরি খাই।এরপর দুপুরবেলার জন্য প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও তরকারি কিনে নিই।আজকে আমরা সবাই একই রকম তরকারি কিনেছিলাম।ডাল,ডিম আর আলু করলা ভাজি।এরপর আমরা বাসায় চলে আসি।আমার বন্ধু আফজাল রাইসকুকারে ভাত বসাই দেয়।এবং আমি থালাবাসন পরিষ্কার করে নিই।
দুপুর হতেই চারদিকে আজান দেওয়া শুরু করে।আজকে তো আবার পবিত্র জুমার দিন।তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসলে গেলাম।আমি আমার পোশাক-আশাক গুলো অনেকদিন যাবত ভালোভাবে পরিষ্কার করার সময় পাইনি।তাই সেগুলো পরিষ্কার করে দিলাম।এরপর আমরা একে একে গোসল সেরে নিলাম।তারপর খাওয়া করার সময় পাইনি।আমি আব্দুল্লাহ আর আফজাল মিলে আমরা পাশের একটা মসজিদে যাই নামাজ আদায় করতে।
সেখানে যাওয়ার পর ভালোভাবে নামাজটা আদায় করে বাসায় এসেই খেতে বসি।এরপর আমরা সবাই মিলে খাওয়া করে নিলাম।তারপর আমার শরির ভালো না থাকায় আমি একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। এরপর ডিউটির সময় হলেও আমি আর উঠার মতো শক্তি পেলাম না।এরপর আমার বন্ধুরা ডিউটিতে গেলো।আমি এর ফাকে মেমকে ফোন করে ছুটি নিয়ে নিই।এরপর আমি ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিকেল হতেই আমার জ্বরটা একেবারেই থেকে গেলো।এরপর আমি আমার শরীরটা একটু ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিই।এতে করে শরীরে তাপমাত্রা কমে আর প্রশান্তি অনুভূত হয়।এরপর আমি শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষন স্টিমিট একাউন্টে ঢুকি এবং সেখানে পোস্ট পড়তে শুরু করি।
বেশ কিছু পোস্ট পড়ে সেগুলোতে মন্তব্য করার পর হঠাৎ করে শুনতে পাচ্ছি বাইরে প্রচুর বাতাস বইছে।দৌড়ে বাইরে গিয়ে সেই একটা অনুভূতি পেলাম যা প্রকাশ করার মতো না।এরপর আমি একটা ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখলাম।কিছুক্ষন পর হালকা বৃষ্টি পড়া শুরু করলো।এরপর আবার থেমে গেলো।আমার শুকাতে দেওয়া কাপড়গুলো তুলে নিয়ে আসলাম।এরপর রুমে এসে কিছুক্ষণ বন্ধুর সাথে কথা বললাম।
এরপর সন্ধ্যা হতেই আমি যাই বাজারে।সেখানে গিয়ে খিচুড়ি রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে নিলাম।এরপর পাশের দেখি একটা কলার দোকান।সেখানে আমি এক হালি কলা ক্রয় করে নিলাম।এরপর খেতে খেতে বাসায় চলে আসলাম।আজকে আবার আমার ৯ টার পর টিউটোরিয়াল ক্লাস আসে।আমাকে সকালবেলা ডিস্কোর্ডে মেনশন দেওয়া হয়।
তাই আমি আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছি।এদিকে আমার বন্ধুদের বলেছি আমার পক্ষে রান্নার কাজ আজকে হবেনা।আমার বিশেষ মিটিং আছে।এই বলে ছাদে চলে যাই এবং পোস্টটি সম্পন্ন করি।এরপর ক্লাসের সময়ের অপেক্ষা করতে থাকি।আর এই ছিলো আমার আজকের অতিবাহিত দিনটি।
আপনার বন্ধু ভাত রান্না করছিলো, সত্যি বলতে নিজেরা রান্না করে খেতে গেলে একটু কষ্ট হয়ে যায় তবে এতে মজাও হয় অনেকসময়। অপরকে সেবা করতে করতে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঠিক মতো নিজের খেয়াল রাখুন, আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই ভাই রান্না করে খেতে গেলে অনেক ঝামেলা।তাই শুধু দুপুরে রান্না করি।আর সকাল,রাত বাইরে খাই।এভাবেই চলছে।আর নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে বলতে গেলে কালকের চেয়ে আজকে একটু বেশি হয়েছে।আজকে কিছু ঔষধ নিয়ে আসলাম।আশা করি এগুলাতে জ্বর সরে যাবে।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেকেরই রান্না করার ঝামেলা থাকলে বাইরে থেকে খাবার কিনে খাই। এখন হঠাৎ হঠাৎ করে মেঘ করছে ।ঝড় উঠছে ,কিন্তু আমাদের এখানে ও বৃষ্টি হচ্ছে না। আপনার জ্বর এসেছে কোন একটু খারাপ লাগলো ।আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ভালো থাকবেন।
আপনাকে আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই আপু।আসলেই রান্নার ঝামেলা যে এতো হয় সেটা বাইরে না আসলে বুঝতাম ন।সারাজীবন মায়েরা রান্না করে খাওয়ায়।কিন্তু কখনোই তাদের বিরক্ত হতে দেখা যায়না।এখন বুঝি তারা আমার জন্য কি পরিমাণ ত্যাগ টাই না করে।জ্বর হলে আর কিছু করতে ভাল্লাগে না।তবুও সবকিছুই মেইন্টেইন করতে হচ্ছে।
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরেই আপনার শরীরটা বেশ খারাপ ছিল। আসলে শরীর খারাপ থাকলে কোন কিছুই করতে ভালো লাগেনা। যাই হোক আপনার যেহেতু বিকেল শিফটে ডিউটি ছিল এজন্য দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন। দুপুরবেলা গোসল করে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। বিকেলের দিকে ডিউটি করার আগে আপনার শরীর আরো বেশ খারাপ লাগছিল। এজন্য ম্যামের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ভালোই করেছেন।
দোয়া করি, আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যেহেতু ক্লিনিক্যাল প্রাক্টিসে আছি সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আমার প্রতিদিনেই ডিউটি সম্পর্কিত বিষয়ে বেশি কথা হয়।আপনাদের সাথে এর বাইরে বেশি কিছু শেয়ার করতে পারিনা কারণ আমি কোথাও যাওয়ার তেমন সুযোগ পাচ্ছি না।আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
প্রথমেই বলি আপনার শেয়ার করা ডালপুরির ছবিটি দেখে ভীষন লোভ লাগছে। দেখেই মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। শরীর খারাপ থাকায় ডিউটি যেতে না পারলেও, আপনি কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, তারজন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বৃষ্টি হলে খিচুড়ি খেতে বোধহয় সকলেই পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের গল্প শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।