Better Life With Steem | | The Diary Game | | 04 June, 2024
সবার সুস্থতা কামনা করে আমি আমার সারাদিনের অতিবাহিত কাজকর্ম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রতিদিনের মতোই আজকের সকালটাও আমার ফোনের শব্দে ভাঙে।কিন্তু গতকাল বৃষ্টি হওয়াতে আজকের ওয়েদার খুবি আরামদায়ক ছিলো।সেইজন্য আমি এলার্ম অফ করে আমার ঘুমিয়ে গেছি।একেবারে ঘুম থেকে উঠে দেখি ডিউটিতে যাওয়ার মাত্র ১০ মিনিট বাকি আছে।বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে।এরপর তড়িঘড়ি করে ফ্রেশ হয়ে ড্রেস পড়ে চলে গেলাম হাসপাতালে। আজকে আমি খেয়ে যাওয়ার সুযোগ পাইনি।এরপর আমি আমার ওয়ার্ডে যোগ দিলাম।সকালের ঔষধ দেওয়া হলো সকল রোগীকে। এরপর সেদিনের হাত পুড়ে যাওয়া বাচ্ছাটির ড্রেসিং করতে গেলাম।তার হাত দেখে মনে হলো না যে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে।স্যারকে অবশ্য পরে বিষয়টি অবগত করেছি।
স্যারের সাথে প্রতিদিনের মতো আজকেও রাউন্ড দিলাম।এরপর সবকিছু করার পর রেস্ট করে নিলাম।এই সময় হঠাৎ করে আমার বন্ধু শাহীন তার পরিক্ষা শেষ করে আমার ওয়ার্ডে হঠাৎ করে চলে আসলো।আমি তাকে দেখেই অবাক।আসলে আমি আজকে ফোন রুমেই রেখে গেছিলাম ডিউটিতে।তারপর এর ফাকে রোগীর সমস্যা অনুযায়ী আমার বন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কাজ করলাম।
৭-৮ জন রোগীর ছুটি হয়েছে আমার ওয়ার্ড থেকে। আমি সকিলের ক্যানুলা খুলে দিলাম।দুপুর হতেই আবার ঔষধ দেওয়ার সময় হয়ে যায়।আমরা আবার সবাইকে ঔষধ দিয়ে দিলাম। এরপর কয়েকজন মিলে কিছুক্ষণ গল্প করতে লাগলাম।সেখানে আমার কিছু নতুন মেয়ে ফ্রেন্ড হয়েছে।তাদের সাথে আড্ডা দিয়ে তাদের এলাকা সম্পর্কে জানা যায়।এটি খুবি মজার একটা বিষয়। বিভিন্ন এলাকা সম্পর্কে জানা যায়।তাদের কালচার, খাদ্যাভ্যাস, কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বেশ কিছুক্ষণ ধরে আলোচনা করি।
এরপর শেষের দিকে আবার প্রতিটি বেডে পেশেন্টকে টিকেট অনুযায়ী আইডেন্টিফিকেশন করি।তারপর ২:০০ টা বাজার সাথে সাথেই আমরা পরের শীফ্টের দায়িত্বরতদের হাতে আমাদের পেশেন্টদের হ্যান্ডওভার দেই।এরপর বাসায় চলে আমি।আসার পথে একটা হোটেল থেকে তরকারি কিনে নিয়ে আসি এবং গোসল করে নিই।তারপর আমার বন্ধু আগেই ভাত রান্না করে রেখেছিলো।আমরা বাকিরা কিনে আনা তরকারি দিয়ে খাওয়া করে নিই।
বিকেলবেলা মিলে ঘুরতে যাই।সেখানে একটা ফাকা মাঠ আছে।সেখানে আমরা বেশ কিছু মূহুর্ত অতিবাহিত করি।বিশেষ করে সেখানে বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা নানান রকমের খেলায় মেতে আছে।বিকেল বেলা সত্যিই মূহুর্তটা অস্বাধারণ ছিলো।সেখানে ঘুরাঘুরি শেষে একটা হোটেলে ঢুকে খাওয়া করে নিলাম।তখন ইতিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এরপর আমরা কিছু বাজার করি খিচুড়ি রান্না করার জন্য। যখন রাত ১২ টা বাজে তখন খুব ক্ষুধা লাগে সেই জন্যই খিচুড়ি রান্নার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এরপর আমরা বাসায় এসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।বাসার বাইরে একটা আম গাছ আছে।সেখান থেকে আমরা ৩টা আম পাড়ি খাওয়ার জন্য। এরপর সেগুলোর ভর্তা বানিয়ে খাই।এরপর সবাই কিছুক্ষণ পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে গেলো।এরপর যখন রান্নার সময় হয়ে গেলো তখন একসাথে হয়ে রান্নার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম।এরপর রান্না বসিয়ে দিয়ে আমি পোস্ট লিখা শুরু করি।এরপর কোনো একসময় রান্না শেষ হয়ে যায়।এই ভিতর আমি পোস্ট করে ফেলি।এরপর খাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি। আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আপনার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে সত্যিই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু যেহেতু আপনার অফিস যেতে হবে তাই আপনাকে উঠতে হয়েছে। দেরি করে উঠেছেন বলে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে যেতে পারেননি। আমাদের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয় দেরি হয়ে গেলে ।না খেয়েই চলে যেতে হয়।
আপনাকে আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আর আসলেই বৃষ্টি হলে আমাদের ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়।আর বেশিরভাগ দিন আমি সকালের খাবারটি বাইরে খেয়ে থাকি।তবে সেইদিন আমি খাওয়ার মতো তেমন সময় ও সুযোগ পাইনি।সেইজন্য এমনটা হয়েছিলো
সকালবেলা বৃষ্টি হলে ঘুম যেন আরো স্থায়ী পেয়ে যায়। সকালবেলা ঘুম ভাঙলেও বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা ছিল। এজন্য আবারও ঘুমিয়ে গিয়েছেন। পরে ডিউটি যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ সময় ছিল। তাড়াহুড়ো করে ডিউটিতে গিয়েছেন। ডিউটিতে গিয়ে সব রোগীকে সময়মতো ঔষধ দেওয়া। স্যারের সাথে রাউন্ড দেওয়া সব মিলিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনাকে আমি আন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে বন্ধু জীবনে ব্যস্ত থাকাটাকে উপভোগ করতেপারলেই জীবন সুন্দর। আমি আমার জীবনকে ঠিক সেভাবেই গড়তে চাই।আপনাকে সবসময় পাশে পাই এবং ভবিষ্যতেও পাশে চাইবো।ভালো থাকবেন।
আজ আপনি ফ্রেশ হয়ে হসপিটালে গিয়েছিলেন এবং নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করেছিলেন। বাচ্চাটার ক্ষতস্থানটা আগের থেকে ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। তারপর বাচ্চাটার হাত ড্রেসিং করলেন, আপনাদের এই কাজগুলো খুব সাবধানতার সাথে করতে হয় এবং এটা খুব দায়িত্বসম্পন্ন কাজ। আজ আপনারা খিচুড়ি রান্না করার পরিকল্পনা করেছিলেন আশা করি সবাই অনেক বেশি করে মজা করেছিলেন আপনারা, একবার দাওয়াত তো করতে পারতেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে মাঝে মাঝে না চাইতেই চোখের কোনে পানি চলে আসে।কিন্তু আমরা তো আর চাইলেই কান্না করতে পারিনা ভাই।আসলে অসুস্থ মানুষ বড় অসহায়।