জীবনে হঠাৎ করে ছোট্ট একটি কালো মেঘ
সৃষ্টিকর্তা কখন কার কি অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করাবে কেউ বলতে পারে না তবে সৃষ্টিকর্তা যেন সর্বদা সবাইকে ভালো অবস্থানে রাখে হাসিখুশি ভাবে রাখে সেই কামনাই করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
আমাদের সবার জীবনে হঠাৎ করে ছোট্ট একটি কালো মেঘ এসে যায় আর এমনও সময় সেই কালো একটা আসে তখন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতন পরিস্থিতি আপনার কাছে থাকবে না আমি মনে করি এটা প্রতিটা মানুষের জীবনে ঘটে বা আসে।
বেশ কয়দিন যাবত আমরা অনেক ভালোভাবে দিন অতিক্রম করছিলাম আমাদের পরিবারে চার সদস্য।
আব্বু আম্মু আমরা দুই ভাই সৃষ্টিকর্তা সবারই শরীর অনেক ভালো রেখেছিল এবং ভালোভাবে আমরা দিন অতিক্রম করছিলাম খুবই আনন্দের সাথে। আমরা নতুন করে ঘর তৈরি করছি সেটা নিয়েই বেশ কয়দিন যাবত একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন অতিক্রম করছে কারণ জিনিসপত্র নেয়া লাগবে ইট রড কেনা লাগবে আরও ইত্যাদি সেটা নিয়ে আব্বু-আম্মু ব্যস্ত আছে কারণ আমরা যেহেতু দুই ভাই বাহিরে থাকি।
প্রতিনিয়ত কিন্তু আমরা আমাদের আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলি কারন আমরা দুই ভাই এক জায়গায় থাকি হঠাৎ করে গতকাল আমার ছোট ভাই এসে আমাকে বলে যায় আমার আম্মু খুবই অসুস্থ শোনার পর আমি অনেক ভীতূ হয়ে পড়ি আমার আম্মুর সাথে আমি মালয়েশিয়ার সময় সকাল 11 টার দিকে কথা বলছিলাম আমার আম্মু তখন অনেক ভালো ও সুস্থ।আমার ছোট ভাই এসে বলে যে আমার আম্মু অনেক অসুস্থ এবং হাসপাতালে আছে তখন নিজের মানসিক অবস্থা কি হয়?
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমি হতভম্ব হয়ে যায় এবং কি করব বুঝতে পারছিলাম না সাথে সাথে বাসায় ফোন দেয় আব্বুর সাথে কথা হয় আম্মুর সাথে কথা হয় না আব্বু বলে আম্মুকে হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে বাড়িতে চলে এসেছে কারণ আমাদের পরিবারে আর কোনো সদস্য নেই আমার দুঃসম্পর্কের একটি আন্টি আমার আম্মুর সাথে হাসপাতালে থাকে কারণ বাড়িতে জিনিসপত্র সবকিছু বাহিরে আছে এবং সেগুলোরও দেখাশোনার প্রয়োজন আছে।
যাক তারপর আমি আমার আব্বুর কাছে জিজ্ঞেস করি যে আসলে কি হয়েছিল পরে আব্বু আমার সাথে সব বর্ণনা করল যে আম্মুর হঠাৎ করে প্রেসার হাই হয়ে যায় যার ফলে ঘাড়ের শিরা ও উপশিরা গুলো টান পড়ে খুবই যন্ত্রনা করছিল যার জন্য সাথে সাথে বমি করে ফেলে আর যখনই, এই সমস্যা হয় তখনই কিন্তু মানুষ ভীত হয়ে যায় এজন্য সাথে সাথে আব্বু বাসায় ছিল এবং যানবাহনের ব্যবস্থা ভালো ছিলো বিধায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারে।
পরে ডাক্তারে বলেছিল নাকি যদি সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা না পেতো হয়তোবা থাকে ফেরানো কষ্টকর হয়ে যেত তাহলে তখন নিজের মনের অবস্থা কি হয়? আমরা যেহেতু অনেক দূরে থাকি বাহিরে আছি দুইটা ভাই আর এই পৃথিবীতে আমাদের আব্বু-আম্মু ছাড়া আমি মনে করি আমাদের আপন কেউ নাই।
পরে তাকে চিকিৎসা দেয় ডাক্তার এবং রাত্রে হাসপাতালে থাকে পরবর্তী আবার নাকি এই সমস্যা হয় যার ফলে আমরা আবার আব্বুকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলি সাথে সাথে আমার আব্বু হাসপাতালে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে রাত্রে থাকে ওই রাত্রে দুই থেকে তিনবার ফার্মেসিতে গিয়ে ঔষধ আনা লাগে এবং অনেকগুলো ইনজেকশন দিয়েছে যার ফলে এখন মোটামুটি সুস্থ হয়েছে। যেহেতু বাড়ির দিকেও সমস্যা আম্মু অসুস্থ আব্বু একা মানুষ সব দিকে পেরে উঠবে না যার ফলে আমরা বলি যে যদি একটু সুস্থ হয় ঔষধ নিয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন কারণ হাসপাতালের অবস্থা খুব একটা ভালো না।
এখন বর্তমানে আম্মু বাড়িতে আছে মোটামুটি সুস্থ তবে ততটা না। সবাই আমার আম্মুর জন্য দোয়া রাখবেন তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যায়।
এজন্য বললাম যে কখন কিভাবে কারো জীবনে কি সময় চলে আসবে কেউ বলতে পারে না সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন স্বাস্থ্যর প্রতি সবাই খেয়াল রাখবেন স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।
সর্বপ্রথম আপনার আম্মুর আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করি যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আসলে খুবই খারাপ লাগে যখন বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয় তখন আমাদের করার কিছুই থাকে না শুধুমাত্র ফোনে কথা বলা ছাড়া প্রবাসীদের এই কষ্ট কাউকে বোঝানো যায় না। যাইহোক ভাই বেশি চিন্তা করেন না ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা খুব দ্রুত সুস্থ করে দিবেন।
আপনারা প্রবাসে আছেন। দেশে বাবা-মা আপনার দুই ভাই প্রবাসে থাকেন। আসলে বাবা মাকে রেখে প্রবাসে থাকেন,, এটা খুবই কষ্টের একটা বিষয়। তারপরেও থাকতে হচ্ছে,,, আপনার মা অসুস্থ আপনার পোস্টে জানতে পারলাম।
সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি,,,, সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার মাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। এবং আপনাদের যে টেনশন রয়েছে,,,, সেটা খুব তাড়াতাড়ি দূর করে দিক।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,,,,ভালো থাকবেন।