বিশ্বাস থাকা ভালো তবে অতিরিক্ত বিশ্বাস থাকা ভালো না
যার প্রতি বিশ্বাস থাকে বেশি সেই বিশ্বাসঘাতকতা করে এটাই পৃথিবীর রীতিনীতি হয়ে চলে আসছে মানুষের প্রতি বা যে কোন মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আনা যাবে না তাহলে সে কখন কিভাবে আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমি অনেক ভালো এবং সুস্থ আছি আর আমি সর্বদা সৃষ্টিকর্তার নিকট আমার সকল বন্ধুদের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল কামনা করে থাকে।
বন্ধুরা বরাবরের মতো আজ আবার আমি আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লক নিয়ে হাজির হলাম আমার আজকের ব্লগের মূল বিষয়বস্তু হলো বিশ্বাসঘাতকতা তো বন্ধুরা বেশি কথা না বলে চলুন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যায়।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মানুষের প্রতি অধিক বিশ্বাস করে আর সেই বিশ্বাসের মর্যাদা সবাই রাখতে পারে না বিশেষ করে বন্ধুত্বের ভিতরে এই জিনিসটা খুব বেশি দেখা যায় আসলে সব বন্ধুদের বিশ্বাসঘাতকের কথা বলা ভুল হবে কিছু প্রকৃত বন্ধু আছে সে বিষয়ে আমি অন্য একদিন আলোচনা করার চেষ্টা করব আর যেহেতু বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কথা বলছে এজন্য সেই বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে কিছু কথা বলে যায়।
সব থেকে কাছের মানুষগুলো যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে তখন সব থেকে বেশি খারাপ লাগে যখন মনে হয় যে আমার মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে এটা অনেকের সাথে হয়তো ঘটে গেছে বা ঘটে যেতে পারে এজন্য যাদের ঘটে গেছে তারাই জানে যে এটা কতটা ভয়ংকর একটি জিনিস বা ভয়ানক আর যাদের সাথে এখনো এই জিনিসটা ঘটে নাই তারা সতর্ক হয়ে যান কখন কিভাবে কোথা থেকে ঘটে যাবে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না এজন্য সতর্ক থাকা ভালো।
আমরা নিজের কাছের মানুষগুলোর কাছ থেকে বেশিরভাগই এই জিনিসটা উপহারস্বরূপ পায় যখন কোন মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস করে আপনি তার সাথে আপনার দুর্বলতার কথাগুলো যখন শেয়ার করবেন একজন দেখবেন সেই দুর্বলতার সুযোগটা সে কাজে লাগে আপনার সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করতেছে এজন্য যেকোন মানুষের উপর বিশ্বাস থাকা ভালো তবে অতিরিক্ত বিশ্বাস থাকা ভালো না।
সেটা যে কোন সম্পর্কের ভিতরে হতে পারে আপনার নিকটস্থ আত্মীয় আপনার আপনজন এমনকি আপনার বন্ধুদের ভিতরেও থাকতে পারে বিশ্বাসঘাতক কিন্তু আপনি তাকে চিনতে পারবেন না মানুষ শত্রুকে চিনতে পারে কিন্তু বিশ্বাসঘাতককে কখনো চেনা যায় না কারণ সে সর্বদা আপনার সাথে থাকে আপনার বিশ্বাস অর্জন করেছে আপনার সাথে চলাফেরা করে তাহলে কিভাবে আপনি বিশ্বাসঘাতককে চিনতে পারবেন।
এটা যে কোন নতুন ঘটনা তা না এটা যুগ যুগ আগে থেকে বয়ে চলে আসছে যে নিজের কাছের মানুষগুলোই বেশিরভাগই ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকে আমরা অনেক বইতে বা সাহিত্যিক বা ইতিহাস গল্পের রচনায় পড়েছি কিন্তু বাস্তব জীবনে মানুষের সাথে এটা ঘটে থাকে কিন্তু সেগুলো যখন নিজের সাথে ঘটে যায় তখন উপলব্ধি করা যায়।
অনেকে হয়তো আমার কথা শুনে মনে করতে পারে যে তাহলে কি মানুষের প্রতি বিশ্বাস করা যাবে না আর কোন মানুষগুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখব আসলে ছোটবেলা থেকে আমরা প্রবাদে একটা কথা শুনে এসেছি যে নিজের গালে দাঁতও কখনো নিজের হয় না সে যদি সময় বা সুযোগ পায় তাহলে সে নিজের জিব্বাকে কামড় মারে এক্ষেত্রে আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন কাকে বিশ্বাস করবেন না এটা সম্পূর্ণ, আপনার নিজের ব্যক্তিগত অভিমত তবে আমি সর্বদা বলব যে এই পৃথিবীতে স্বার্থ ছাড়া কেউ কারোর পিছে ঘুরে না সে ক্ষেত্রে সে যে কোনভাবেই হোক আপনার কাছ থেকে উদ্ধার করার জন্য আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে আপনি যে কোন একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন আপনার মন কি বলে সেটাকে সাড়া দেবেন।
উদাহরণস্বরূপ আমি একটা কথা বলছি আপনি যে কোন একটা যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছেন আপনার শূন্য নিয়ে এবং আপনার দলের ভিতরে যদি কোন বিশ্বাসঘাতক থেকে থাকে তাহলে আপনি ওই যুদ্ধে কখনো বিজয় লাভ করতে পারবেন না কারণ শত্রু আপনার সামনে নাত্রত্র আপনার সাথে সে পিছন দিক থেকে যেকোনো সময় আপনাকে আক্রমণ করতে পারে প্রস্তুতি নিয়ে গেছেন এবং আপনি যত সাধ্য মুকাবেলা করার চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু যদি। আপনার দলের ভিতরে বিশ্বাসঘাতক আপনার সাথে প্রতারণা করে বা আপনার দলের সুন্দর ভেতর থেকে আপনার সাথে প্রতারণা করে তাহলে আপনি কিভাবে সেই যুদ্ধে বিজয় লাভ করবেন এজন্য আমরা সর্বদা দেখেশুনে মানুষের সাথে সম্পর্ক করব এবং কারো উপর বিশ্বাস করা যাবে আর কার উপর যাবে না সেটা আপনার নিজের থেকে বুঝা লাগবে।
আমি আমার বাস্তব জীবনে এমন মানুষ অনেক পেয়েছি বা দেখেছি হয়তোবা তাদের নামগুলো আমি উল্লেখ করতে পারছি না কারণ মানুষের সমালোচনা করা গীবত আমি সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি যে সর্বদা আমরা সচেতন থাকবো সেই মানুষগুলোর কাছ থেকে।
আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য দোয়া রাখবেন সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ আমার গল্পটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মতামত প্রকাশ করে যাবেন ।
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন অতিরিক্ত আসলে কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক না। আর বর্তমান যুগে তো কাউকেই বিশ্বাস করা ঠিক না, পৃথিবীটাই ফেইক মনে হয় আমার কাছে। বিশ্বাস নামক জিনিসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটাকে কেউ গনিমত মনে করে না।
একজন বউ তার স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারে না একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বিশ্বাস করতে পারেনা। অথচ কিন্তু সারা জীবন একসাথে থাকতে হবে । জি ভাই আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব এমন হয়ে গেছে। বিশ্বাস এর বিষয়বস্তু ছোট হোক বা বড় হোক সবই একই রকম। একজনকে একশত টাকা দিলাম সে বলল আমি বিকালে দিয়ে দিব, কিন্তু সে দিলো না, তাহলে তো সে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখলো না।
একজন মেয়ে বিবাহ করে একটা অচেনা পুরুষ কে, এটা বিশ্বাস করে বিয়ে করে যে সে এক নারীতে আসক্ত। স্বামী যদি বিশ্বাসের মর্যাদা না রেখে অন্য এক নারীতে আসক্তি হয়, তাহলে তো বিশ্বাসঘাতকতা হয়ে গেল। সেরকম একজন মেয়েরও এমন হতে পারে।
যাইহোক ভাই আপনি বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত এখানে প্রকাশ করেছেন এটা থেকেও আমি অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবো
আসলেই আপনি খুবই মূল্যবান একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।আমি আসলে আগেই এমনটাই ছিলাম। একজন মানুষকে যখন বিশ্বাস করতাম তখন এতটাই বিশ্বাস করতাম,নিজের থেকেও অনেক বেশি।
আমি আমার জীবনে কিছু মানুষকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতাম। কিন্তু দিনশেষে সেই মানুষগুলো আমাকে অনেক ঠকিয়েছে। সে মানুষগুলো আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে অতিরিক্ত বিশ্বাস করলে কি হয়।
আপনি ঠিকই বলেছেন, মানুষের প্রতি বিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত বিশ্বাস একটা মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডই আমার কাছে খুবই মূল্যবান। কারণ আমি এই সময়টা পার করে এসেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। তার সাথে অনেক অনেক শুভকামনা।