🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ০৯-জানুয়ারি-২০২৪
• মঙ্গলবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

আজ আমি সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। তারপর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি। আর তখনি মা আমাকে সকালের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে। আমি খাবার ঘরে যায় আর সকালে খাবার খায়। আজকে সকালে খাবারের মেনু ছিল নদীর ছোট মাছ টমেটো আলু আর বেগুন দিয়ে রান্না।

সকালের খাওয়ার পর আমার খুবই শীত লাগা শুরু হয়ে যায়। আর আমি রোদের ওপর চলে আসি। কিছুক্ষণ রোদের ওপর দাঁড়িয়ে থাকি রোদ উপভোগ করার জন্য। আমার দাঁড়িয়ে থাকা দেখে আমার ছোট বোন একটা চেয়ার এনে দেয় আমার বসার জন্য। আর আমি চেয়ার এর ওপর বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমি বসে বসে আমার ছোট বনের সাথে গল্প করতে থাকি।

কিছুক্ষণ গল্প করার পর আমি চলে যায় মাঠে আমার বেগুন এর জমি দেখার জন্য। আমি গিয়ে দেখি প্রায় সব কয়টা নতুন লাগানো গাছ হয়ে গেছে। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিল। তারপর আমি বাড়ি এসে কিছু খুঁটি বানিয়ে যায় জমিতে। আর প্রতিটি গাছে সেই খুঁটি পুঁতে বেঁধে দিয়। বাঁধা হয়ে গেলে আমি বেগুন গাছের গোড়াই পড়ে থাকা পাতা পরিষ্কার করে দিয়। পরিষ্কার করা হয়ে গেলে আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি মোবাইল টিপতে থাকি।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমি গোসল করতে যায় আর গোসল করে আমি দুপুরে খাবার খায়। দুপুরের খাবার খেয়ে আমি কিছু সুপারি গুনে ব্যাগে ভরি বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার জন্য। সুপারি গুনা হয়ে গেছে আমি রুমে এসে রেডি হয়ে নিয়। রেডি হয়ে আমি সুপারির ব্যাগটা হাতে করে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আমি একটা ভ্যানে করে খোকসা খেয়াঘাটে পৌঁছায়। আর খেয়াঘাটে পাশে থাকা একটা দোকানে আমি সেই সুপারি গুলো বিক্রি করে নদী পার হয়ে খোকসা চলে যায়।

খোকসা গিয়ে আমি আশরাফুলকে ফোন করি আর ও বলে মামা আমার আফিস আধা ঘণ্টার মধ্যেই ছুটি হয়ে যাবে। তুমি তোমার কাজ সেরে নাও বাড়ি যাওয়ার সময় একসাথে যাবো ওকে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। আর আমি চলে গেলাম বেগুনের চারা কেনার জন্য একটা দোকানে। সেখান থেকে আমি বেগুনের চারা টমেটো চারা আর মরিচ এর চারা কিনে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আর এদিকে আশরাফুল অফিস ছুটি হয়ে যায়। তাই আমরা দুইজন একসাথে নদী পার হয়ে বাড়ি চলে আসি।

বাড়ি আসার সময় দেখি যে, মোড়ের ওপর বাচ্চা পুলাপান ব্যাডমিন্টন খেলছে। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ওদের খেলা দেখি। আমি ও মাঝে মাঝে এই রকম মোড়ের ওপর খেলি ওদের সাথে । আমি বাড়িতে চারাগুলো রেখে গিয়ে ওদের সাথে খেলা করা শুরু করে দিয়। আর কিছু সময় খেলা করার পর আমি সেখান থেকে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি দেখি যে, আমার মা রাতের জন্য রান্না করছে। আর আমি পাশে বসে সেই বেগুনের চারা গুলো থেকে অতিরিক্ত পাতা সেটে ফেলি।

"🌺 রাত্রি বেলা 🌺"

বেগুনের চারা ছেটে ফেলতে ফেলতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বেগুনের চারার পাতা গুলো ছেটে ফেলা হয়ে গেলে আমার মা আমাকে বলে নারকেল কেটে দিতে। আর আমি ঘড় থেকে দা বের করে নিয়ে এসে নারকেল কাটা শুরু করে দিয়। আর কিছু কাটার পর আমার সবগুলো নারকেল কাটা শেষ হয়ে যায়। কাটা শেষ করে আমি হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি। রুমে এসে মোবাইল টিপতে থাকি।

কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর বাড়ি বাইরে থেকে আমার বন্ধু উজ্জ্বল আমাকে ডাকতে থাকে। আমি দরজা খুলে ওকে রুমের ভিতরে আস্তে বলি আর ও রুমের ভিতরে প্রবেশ করে। আমি বলি কী হয়েছে রে, এত চিন্তিত দেখাচ্ছে তোকে। ও বলে দেখতো আমার মোবাইলে কি হয়েছে নেট চলছে না কেন? আমি ওর মোবাইল হাতে নিয়ে ঠিক করে দিয়। মোবাইল ঠিক হয়ে গেলে আমি আর ও বসে বসে গল্প করতে থাকি। এভাবে কিছুক্ষণ সময় গল্প করার পর ও বাড়ি চলে যায়।

আর আমি রুমে বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। আর এদিকে কিছুক্ষণ পর আমার মা আমাকে রাতের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে। আমি খাওয়ার ঘরে যায় এবং রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি। আর  ভাবতে থাকি আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করছি? আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়। আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে পড়ল না তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "