🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ৩০-জানুয়ারি-২০২৪
• মঙ্গলবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে দেখি যে।

বাইরে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা। আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। আর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করি।

ছাত্র ছাত্রীদেরকে সকাল আটটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত পড়াই। ওদের পড়া হয়ে গেলে আমি ওদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়। তারপর আমি বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিয়। কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর আমি খাবারের ঘরে যায়।

আর সকালে খাবার খায়। আজকে সকালের খাবারের মেনু ছিল ফুলকপি আলু কুমড়ো বড়ি দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল। সকালের খাবারটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।

সকালের খাবার খেয়ে আমি রোদের ওপর বসি একটা চেয়ার নিয়ে। এই কয় দিন রোদ বেশ সকাল সকাল উঠছে। আর শীত কালে রোদ না উঠলে সেই দিন আমার ভালো কাটে না। যাইহোক আমি বসে বসে রোদ উপভোগ করতে থাকি।

আর মোবাইল টিপতে থাকি। এইরকম কিছু সময় মোবাইল টিপতে টিপতে আব্দুল সামাদ আসে আমারে বাড়িতে। আমি আর ও বসে বসে গল্প করতে থাকি। এইরকম গল্প করি সকাল এগারোটা পর্যন্ত।

গল্প শেষ করে আমি গোসল করতে যায়। গোসল করে এসে আমি রেডি হয়ে নিয়। আর ঠিক সেই সময় আব্দুল সামাদ আমাকে বলে ভাই কোথায় যাবেন? আমি বলি খোকসাতে যাবো। ও বলে তাহলে আমার একটা ঔষধ এনে দিবেন।

আমি বললাম ঠিক আছে। তুই ঔষধের নাম কি বল? ও বলে আপনি একটু অপেক্ষা করেন আমি ঔষধের খোল নিয়ে আসতেছি। আমি একটু অপেক্ষা করলাম আর ও ঔষধের খোল নিয়ে আসল।

আমি ঔষধের খোলের একটা ছবি তুলে খোকসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আমি একটা ভ্যানে করে খোকসা খেয়াঘাটে পৌঁছায়।

তারপর আমি নদী পার হয়ে আশরাফুলের অফিসে চলে যায়। আশরাফুল অফিসে গিয়ে আমি ওকে সাথে নিয়ে একটা ডাচ বাংলা ব্যাংক যার একটা হিসাব খোলার জন্য।

হিসাব খোলা হয়ে গেলে আমি আর আশরাফুল চলে আসি। আর আসার সময় আমার নজর পড়ে ওই অফিসের জানালার দিকে। সেখান থেকে খোকসা বাস স্ট্যান্ড দেখা যাচ্ছে ভালো মত। আমি একটা ছবি তুলি।

ছবি তুলে আমি আর আশরাফুল সেখান থেকে ফেরত আসি। আশরাফুল ওর অফিসে চলে গেল। আর আমি আব্দুল সামাদের ঔষধ কিনে নিয়ে নদী পার হয়ে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি পোশাক পরিবর্তন করে রোদের ওপরে বসি। আর রোদের ওপরে বসে বসে আমার মা এবং বড় ভাবীর সাথে গল্প করতে থাকি।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

এভাবে কিছুক্ষণ গল্প করার পর যোহরের আজান হয়ে যায়। আমার মা আর বড় ভাবী নামাজ পড়ার জন্য উঠে গেল। আর আমি বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। এই রকম কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমার মায়ের নামাজ পড়া হয়ে যায়। আর আমার মা আমাকে দুপুরের খাবার দেয়।

আমি দুপুরের খাবার খেয়ে খেয়ে রোদের ওপরে চলে আসি। আর বসে বসে গল্প করতে থাকি আমার মায়ের সাথে। এভাবে কিছুক্ষণ গল্প করার পর আমি চলে যায় মোড়ের ওপরে। গিয়ে দেখি অনেকেই দোকানের ওপরে বসে আছে আর টিভি দেখছে।

আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসি সেই দোকানে। আর আমার বসা দেখে আব্দুল সামাদ সেখানে চলে আসে। তারপর আমি ওকে বলি বি. পি. এল. খেলা হচ্ছে একটু খেলার দে..... একটু বসে বসে ক্রিকেট খেলা দেখি। ও আমার কথা মত ক্রিকেট খেলাই দিল। আর আমার দুইজন এই রকম খেলা দেখি সন্ধ্যা পর্যন্ত।

"🌺 রাত্রি বেলা 🌺"

তারপর আমি আর আব্দুল সামাদ বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি রুমে চলে আসি। আর আমার মনে পড়ে গেল আমার বিদ্যুতের বিলটা দিতে হবে। তারপর আমি বিকাশ অ্যাপ থেকে বিদ্যুতের বিলটি দিয়। বিদ্যুতের বিল দিয়ে আমি বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি।

আর এইভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। আর আমার মা আমাকে রাতের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে। আমি খাওয়া ঘরে যায় এবং রাতের খাবার খাই। আজকে রাতের খাবারের মেনু ছিল সাদা ভাত, মটরের শাক ভর্তা আর সীম আর আলু ভাজি।

রাতের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি। আর বিছানায় ওপর শুয়ে পড়ি। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি ভাবতে থাকি আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করছি? আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়।

আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে ধরা পড়ল না, তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "