🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ২০-জানুয়ারি-২০২৪
• শনিবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে দেখি যে, বাইরে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা। আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। আর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করি। ছাত্র ছাত্রীদেরকে সকাল আটটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত পড়াই। ওদের পড়া হয়ে গেলে আমি ওদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়। তারপর আমি বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিয়। আর ঠিক তখনি আমার মা আমাকে সকালের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে। আমি খাবার ঘরে যায় আর সকালে খাবার খায়। আজকে সকালের খাবার ভিজানো পিঠা।

গত রাতে মা ভিজানো পিঠা বানিয়েছিল। আমি সেই পিঠা খেয়ে বাড়ি বাইরে চলে আসি। বাড়ি বাইরে এসে দেখি যে, বাচ্চা পুলাপান দড়ি দিয়ে কি যেন একটা খেলা খেলছে। আমি দাঁড়িয়ে থেকে ওদের খেলা দেখতে থাকি। ওদের এই রকম খেলা দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। এমনিতে বাইরে প্রচুর পরিমাণে বাতাস হচ্ছে আর সেই সাথে শীত তো আছে। তার ওপরে আবার এখনো রোদ উঠে নি। আমি এই রকম কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। আর আমার মা আমাকে তখন ডাক দেয়। আমি মায়ের কাছে যায় আর বলি কি হয়েছে মা। মা বলে খেলা দেখা বাদ দিয়ে মাঠে গিয়ে একটু কাজ করো শীত চলে যাবে।

আমি মায়ের কথা মত মাঠে চলে যায়। মাঠে গিয়ে দেখি যে, আমার ছোট ভাই ভূট্টার জমি থেকে ঘাস বাছাই করছে। আর আমি ও ওর মতই ঘাস বাছাই করতে শুরু করে দিলাম। কিছুক্ষণ ঘাস বাছাই করার পর সেখানে মিজান আর শান্ত  আসে। আমি আর আমার ছোট ভাই মিজান আর শান্ত এর সাথে গল্প করতে থাকি আর কাজ করতে থাকি। এর ফাঁকে আমার এক ভাতিজা হৃদয় আছে এবং ও আমার কাজে একটু সাহায্য করে মানে জমি থেকে ঘাস বাছাই করতে থাকে আমার মতো। আর এর ফাঁকে ও আমার কাজ করার কিছু ছবি তুলে দেয়।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

আর আমি কাজ করতে থাকি। এর ফাঁকে দেখি রোদ বের হয়ে যায়। আর রোদ বের হওয়া দেখে আমার কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়ে যায়। রোদ বের হওয়া দেখে মিজান, শান্ত ও হৃদয় গোসল করার জন্য বাড়ি চলে যায়। আমি আর আমার ছোট ভাই জমিতে কাজ করতে থাকি। আমার দুইজন এভাবে দুপুর তিনটা পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে একটু বিশ্রাম নিয়ে আমি গোসল করে নিয়। গোসল করে আমি দুপুরের খাবার খাই। আর দুপুরে খাবার খেয়ে আমার প্রচুর পরিমাণে শীত লাগা শুরু হয়ে যায়। আমি আব্দুল সামাদকে ডেকে নিয়ে মাঠে চলে যায় রোদ উপভোগ করার জন্য। আর আব্দুল সামাদ বসে বসে ছাগলের জন্য ঘাস তুলা শুরু করে।

আর আমার মাঠের ভিতরে যাওয়া দেখে সেখানে আশরাফুল ও যায়। আমি আশরাফুল আব্দুল সামাদ রোদ উপভোগ করতে থাকি আর গল্প করেতে থাকি। শীতের সময় বিকেল বেলা আমার এই রকম মাঠে ভিতরে রোদ উপভোগ করতে ভালো লাগে। আমার এই রকম থাকি অনেক সময় ধরে। আর সূর্যটা ক্রমেই পশ্চিম আকাশের দিকে হেলে যাচ্ছিল। মানে আর কিছু সময়ের ভেতর সূর্য অস্ত যাবে। আর মাঠের ভিতরে বাতাস শুরু হয়ে যায়। তাই আমরা তিন সেখান থেকে চলে আসি মোড়ের ওপর। মোড়ের ওপরে এসে আমার চড়াটের ওপরে বসি আর গল্প করতে থাকি।

"🌺 রাত্রি বেলা 🌺"

এই ভাবে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর আমার প্রচুর পরিমাণে শীত লাগা শুরু করে আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি আমার ছোট বোনকে বলি আমাকে একটু ঝালমুড়ি মাখিয়ে দিতে। আর আমার ছোট বোন আমাকে ঝালমুড়ি মাখিয়ে দেয়। সেই ঝালমুড়ি আমি আর আমার ছোট বোন মিলে খায়। ঝালমুড়ি খাওয়া শেষ হলে আমি হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি। রুমে এসে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে থাকি। এভাবে কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমার মা আমাকে রাতের খাবার খাওয়া জন্য ডাকে। আমি খাওয়া ঘরে যায় এবং রাতের খাবার খাই। আজকে রাতের খাবারের মেনু ছিল সাদা ভাত আর শাক ভাজি।

রাতের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি। আর বিছানায় ওপর শুয়ে পড়ি। শুয়ে শুয়ে আমি ভাবতে থাকি আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করছি? আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়। আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে ধরা পড়ল না, তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "