🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ১০-ফেব্রুয়ারি-২০২৪
• শনিবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

গতকাল ব্যস্ত থাকায় কারণে আমি গতকালের ডাইরি গেম আজকে পোস্ট করছি। আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। আর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করি। ছাত্র ছাত্রীদেরকে সকাল আটটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত পড়াই।

ওদের পড়া হয়ে গেলে আমি ওদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়। তারপর আমি রুমের বাইরে যায় এবং দেখি যে, আমার মা রান্না করছে। আমি আমার মাকে বলি যে, তোমার রান্না কী হয়েছে মা? মা বলে হয়েছে, আমি আমার মাকে বলি সকালের খাবার দেওয়া জন্য। আমার মা আমাকে সকালের খাবার দেয়। আজকে সকালের খাবারের মেনু ছিল সাদা ভাত আলু ভর্তা ভিম ভাজি ডাল রান্না সাথে টমেটো শালাত সকালের খাবারটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাই সকালে একটু বেশিই খেয়ে নিয়।

সকালের খাবার খেয়ে আমি বাড়ির উঠানে গিয়ে বসি একটা চেয়ার নিয়ে। আর এদিকে আব্দুল সামাদের মা কুমড়ো বড়ি দেওয়ার জন্য চাল কুমড়ো নিয়ে আমারে বাড়িতে আসে। মামী এসে একটা বটির সাহায্যে কুমড়োটা পিচ পিচ করে ফেলে। তারপর পিচ পিচ করা কুমড়ো থেকে ওপরে খোসা বটির সাহায্য ছুলে ফেলে। আর আব্দুল সামাদ সেই পিচ পিচ করা কুমড়ো একটা খাঁচকাটা প্লেটের ওপর ডোলতে থাকে। ওর এই রকম ডোলা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।

আর কিছু সময় পর আমার মা সেখানে আসে আর আমাকে বলে যে, মুনি আমারে একটা প্লেট আছে ফুঁটা। সেটা একটা লোহার কাঁটা দিয়ে খাঁচকাঁটা করে দাও। আমি মায়ের কথায় রাজি হয়ে যায়। আর বলি প্লেট হাঁতুর আর লোহা নিয়ে আসো। মা তাড়াতাড়ি করে এনে দিল আর আমি কাজে লেগে পড়লাম। এভাবে আমি টুকটুক করে প্লেটটা খাঁচকাঁটা করতে শুরু করে দিয়। আর এভাবে কিছু সময় কাজ করার পর আমার কাজ হয়ে যায়।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

আমার কাজ শেষ হয়ে গেলে আমি বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। আর আব্দুল সামাদের কাজ করা দেখতে থাকি। এভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। আমি গোসল করে দুপুরে খাবার খায়। দুপুরের খাবার খেয়ে আমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে প্রাইভেট পড়াতে যায়। আমি আমার ছাত্রকে সুন্দরভাবে পড়াই। ওর পড়ানোর শেষ হয়ে গেলে আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রেডি হয়ে নিয় খোকসা কালীবাড়ি মেলা দেখার জন্য।

আমি রেডি হয়ে একটা ভ্যানে করে খোকসা খেয়াঘাটে চলে আসি। খোকসা খেয়ে ঘাটে এসে দেখি যে, নদীর আশে পাশে অনেক লোকজন। আর কয়েক জন লোক দঁড়ি দিয়ে কালীর মুক্তিটি নদীর পানির ভিতরে টেনে নিয়ে আসছে। সেই মুক্তিটিকে পানিতে ডুবানোর জন্য কিন্তু নদীতে এখন হাঁটু জল। তাই সবাই মিলে মুক্তিকে একদিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল এবং হাত দিয়ে মুক্তির ওপর পানি দিতে লাগল। আর আমি নদী পার হয়ে খোকসা বাজারে চলে যায়।

আমি খোকসা বাজারে গিয়ে একটা সেলুনের দোকানে যায় চুল কাটানোর জন্য। আমি একটু বসে থাকার পর সিরিয়াল পায়। আমি গিয়ে চেয়ারের ওপরে বসি। আর নাপিত আমার চুল কাটা শুরু করে দিল। এভাবে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে সে আমার চুল আর দাঁড়ি কেটে দেয়। আমার চুল আর দাঁড়ি কাটা হয়ে গেলে সেই নাপিত খুবই সুন্দর ভাবে আমার মাথা এবং মুখ পরিষ্কার করে দেয়। আর সব কাজ শেষ হয়ে গেলে আমি টাকা পরিশোধ দিয়।

"🌺 রাত্রি বেলা 🌺"

টাকা পরিশোধ করে আমি যখন দোকান থেকে বের হয়, তখন দেখি বাইরে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আর আমি টুকটুক করে হাঁটতে হাঁটতে মেলার মাঠের দিকে যেতে থাকি। প্রচুর পরিমাণে ভিড় ছিল রাস্তায়। এই ভিড় ঢেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জের মনে হচ্ছিল। তো যাইহোক এভাবে হাঁটতে হাঁটতে আমি মেলার মাঠের মেন গেটের সামনে চলে যায়। আর সেখানকার একটা ছবি তুলি।

ছবি তুলে আমি ভিতরে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণ ঘুড়ার পর আমার দেখা হয় আমার বন্ধু নীলচাঁদ এর সাথে। আমি ওকে দেখে অনেক খুশি হয়। ও আমাকে ডালের বড়া খাওয়াই। এভাবে কিছুক্ষণ মেলাই ঘুড়া ঘুড়ি করি।

তারপর আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাত মুখ ধুয়ে নিয়ে রুমে চলে আসি। রুমে এসে আমি আবার খাওয়ার ঘরে যায় এবং রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি। আর বিছানায় ওপর শুয়ে পড়ি।

বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি ভাবতে থাকি আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করছি? আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়। আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে ধরা পড়ল না, তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "