Better Life With Steem || The Diary Game || 19 November 2023
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি, যিনি আমাদেরকে আবারও একটি সুন্দর দিন উপহার দিয়েছেন। আমি সর্বপ্রথম জানতে চাই আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। তো বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল কথাই চলে যায়।
সত্যি কথা বলতে প্রতিদিন কারো এক ভাবে যায় না, প্রতিদিন নতুন সূর্য ওঠে আর প্রতিদিন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম গুলো পরিবর্তন হয়। আমি গতকালকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারিনি, বরং উঠতে উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে, তবুও ঘুম থেকে উঠে নামাজের মাকরুহ সময় দেখে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। মাদ্রাসায় থাকতে তো নিয়ম তান্ত্রিকভাবে থাকতাম, নামাজের সময় হলে কলিং বেল বেজে উঠতো, তখনই সবাই ঘুম থেকে উঠে মসজিদে চলে যেতাম। কেউ উঠতে বিলম্ব করলে বন্ধুরা ডেকে দিত। কিন্তু এখানে তো বাসার পরিবেশ তাই নিজে একা একাই গুরুত্বের সাথে উঠতে হবে। যাইহোক ফজরের নামাজ পড়ে আরো কিছুক্ষণ ঘুমানোর জন্য বিছানায় চলে গেলাম, ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে উঠলাম। উঠে সকালের নাস্তা শেষ করে নিলাম। সকালের নাস্তায় ছিলো, আমার পছন্দের খিচুরি, ডিম ভাজি ও মুরগির মাংস ভুনা।
সকালের নাস্তা শেষ করে কিছু সময় ফোন নিয়ে বসলাম, দেশে এখন আরতাল চলছে তাই দেশের পরিস্থিতি জানার জন্য কিছু খবর দেখলাম। এরপরে ১০ঃ৩০ মিনিটে আমার মামী আমাকে বলল তুমি আশফিকুর ইসলাম আদিয়াতকে স্কুলে নিয়ে যাও। আজকে নিয়ে যাওয়ার মত কেউ নেই বরং তুমি আজকে নিয়ে যাও। তাই আমি আমার ছোট ভাইকে স্কুলে নিয়ে গেলাম। স্কুলের নাম হচ্ছে "নিউ মর্নিং গ্লোরি স্কুল" স্কুলটিতে প্লে থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে। এটি হচ্ছে স্কুলের ফটোগ্রাফি।
আমাকে বলেছিল তুমি শুধু স্কুলে দিয়ে আসবে, কেননা স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় অপরিচিত কারো হাতে দেবে না। কারণ অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, তাই আমি শুধু স্কুলে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম, একটু পরে মামা ফোন দিয়ে বলল আমি অনেক দূরে আছি তুমি নিয়ে আসো, মামী বলল ঠিক আছে, তখন আমাকে বলল তাহলে তুমি নিয়ে আসো। যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করবে তখন আমার কাছে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেবে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। যখন আমি ছোট ভাইকে নিয়ে আসতে গেলাম। তখন ম্যাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন এবং আমার ছোট ভাইকেও জিজ্ঞাস করলেন যে তুমি কি উনারে চেন? আমার ছোট ভাই বলল হাঁ উনি আমার ভাই। তখন আমি বললাম ঠিক আছে আপনি প্রথমে কথা বলে কনফার্ম হয়ে নিন। তখন আমি ফোন দিয়ে দিলাম এবং কথা বলল। এরপরে আমার কাছে দিয়ে দিল। স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় বাসার গেটের সামনে দুটি ফটো উঠিয়েছি।
এরপরের দুপুর পর্যন্ত আরেকটু বিশ্রাম করে গোসল করতে যাই, গোসল করে যখন রুমে আসলাম তখন দেখি দুপুর ১ঃ৩০ মিনিট বেজে গেছে, নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া হলো না, তাই বাসায় জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। জোহরের নামাজ আদায় করে আমি দুটি ফটো উঠেছিলাম।
এরপরে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বললেন, তখন সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম। দুপুরের খাবার হিসেবে ছিলো, ভাত, টেংরা মাছের তরকারি এবং রুই মাছের ডিম ভাজি। রুই মাছের ডিম ভাজি এটা সবচেয়ে বেশি মজার হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ তৃপ্তি সহকারে দুপুরের খাবার গ্রহণ করলাম।
দুপুরে কিছু সময় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমার ছোট ভাইয়ের সাথে মেসেঞ্জারে কথা হল, আমার ছোট ভাই ধানমন্ডি ৩২ এ অর্থাৎ আমার মামার জেনারেটর কোম্পানিতে চাকরি করে। কিন্তু আমার ছোট ভাই ম্যাচে থাকে। তাই আমাকে টাকা দেওয়ার জন্য বিকেলবেলা আসতে চেয়েছে। এবং মাগরিবের কিছুক্ষণ পরে বাসায় আসলো। দুই ভাই বসে কথাবার্তা বলছিলাম। তখন মামি আমাদের জন্য নুডুলস রান্না করে নিয়ে আসলো। আমরা দুই ভাই নুডুলস খাইলাম। এবং দুটি ফটো উঠালাম।
এরপরে এশার নামাজ পড়ে রাত্রের খাবার গ্রহণ করে ঘুমাতে ঘুমাতে বারোটা পার হয়ে গেল। এভাবেই আমার গতকালকের দিনটি পার হয়ে গেল।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আমার গতকালকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে। অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানানোর চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Samsung A12 |
Camera | 48MP 5MP 2MP 2MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
10% for beneficiary in community @meraindia account
ছোট বাচ্চাদের কখনো একা ছাড়তে নেই সব সময় স্কুলে বা কোথাও গেলে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসা উচিত।। বর্তমান সময়ে অনেক বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে।
সেই সাথে আপনি আরো সারাদিন অনেক কিছু করেছেন সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি ভাবে উল্লেখ করেছেন।। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।।