"গতকালকে আবারো ট্রেনে ভ্রমণ করলাম" 27 November 2023
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
হ্যালো স্টিম প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করব তা হচ্ছে, গতকালকে আমার ট্রেনে ভ্রমণ সম্পর্কে।
আমি ট্রেনে ভ্রমন করতে ভালোবাসি, তাইতো আমি যখনই ভ্রমণ করি বেশিরভাগ ভ্রমণ ট্রেনে করে থাকি। গতকালকে আমি ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ এসেছি ট্রেনে ভ্রমণ করে। গতকালকেও সারাদেশব্যাপী হরতাল ছিল, লোকাল গাড়ি সব জায়গাতেই চলে কিন্তু দূরপাল্লার বাসগুলো খুব বেশি বের হয় না। কিন্তু হাততালের মাঝেও রেল চলে। আর ট্রেনে ভ্রমণ আমার পছন্দ, তাই আমি ট্রেনেই ভ্রমন করেছি।
প্রথমে আমি যাত্রাবাড়ী থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে এসেছি, কমলাপুর রেল স্টেশনে এসে আমি প্রথমে প্ল্যাটফর্মের মনিটরের দিকে তাকালাম, এটা দেখার জন্য যে, এখন কোন ট্রেনগুলো লাইনে আছে। রাজশাহী অভিমুখী কোন ট্রেন ছাড়া হবে। লক্ষ্য করে দেখলাম দুইটার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে রাজশাহী কমিউটার একটি লোকাল ট্রেন। এবং ২ টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী অভিমুখী সেল্ক সিটি ট্রেন আছে। ২:৪৫ মিনিটে দেরি হবে এজন্য আমি লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটলাম। প্রথমে আমি টিকিট কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলাম রাজশাহী কমিউটার সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত টিকিট কত? উনি আমাকে বললেন যমুনা সেতু পর্যন্ত ষাট টাকা। আমি বললাম ঠিক আছে একটি দিন। আমাকে ৬০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট দেওয়া হল কিন্তু কোন সিট ছিল না।
তাই একটু পরে টিকিটটি ঘুরিয়ে দিয়ে বললাম ভাই সিট হবে এমন কোন টিকেট আছে? সেই ভাই বললেন টিকিট হবে তবে রাজশাহী পর্যন্ত কাটতে হবে। আমি বললাম রাজশাহী পর্যন্ত কত টাকা? উনি আমাকে বললেন রাজশাহী পর্যন্ত ১৬০ টাকা। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে আমার থেকে ১৬০ টাকা নিন এবং একটি সিটের টিকিট দিন। এরপরে ওনাকে টাকা দিলাম আর উনি ১৫০ টাকা রাখলেন। আর টিকিটের সাথে দেখলাম ১৪৫ টাকা লেখা আছে। এরপরে স্টেশনের ভিতরে গিয়ে দেখলাম ৭ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে ট্রেন অপেক্ষা করছে। তখন আমি ট্রেনের ভিতরে উঠে আমার সিটের কাছে চলে গেলাম। আমার সিটে বসে একটি বিষয় খেয়াল করলাম তা হলো, যখন যাত্রীগণ ওঠা নামা করছিলেন তখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিড় হয়।
ওঠার সময় ও নামার সময় প্রচুর পরিমাণ ভিড় হয়, লোকজনের অনেক চাপ থাকে, তাই তখন খুব সাবধানতা অবলম্বন করা। যেমন নিজের মালামাল হেফাজতে রাখা, বিশেষ করে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা সব কিছু হেফাজতে রাখা। কারণ ওঠার সময় কিছু অসাধু লোক তারা পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে নেয়। তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বিশেষ করে যখন উঠবেন এবং নামবেন।
এরপরে ট্রেন যথাসময়ে ছাড়া হলো না, বরং আরো ১৫ মিনিট দেরি করা হলো অর্থাৎ ২:১৫ মিনিটে ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়া হল। লোকাল ট্রেন হিসেবে গতকালকে বেশি ক্রসিং ছিল না।
আমরা যখন টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌছালাম তখন দেখলাম, আরেকটি ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ ট্রেনের রাস্তা হচ্ছে একটি, আর এক রাস্তা দিয়েই সব ট্রেন চলাচল করে। এক ট্রেন যখন রাস্তায় থাকে তখন অপর ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অন্যথায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনের এই ফটোগ্রাফি গুলো উঠিয়েছি।
এরপরে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া হল। ট্রেন অনেক গতিতে চলছিল, তাই চলন্ত অবস্থায় ফটো উঠানো সম্ভব হয়নি। তবে যখন যমুনা সেতুর পূর্বে ট্রেন ১০ মিনিটের জন্য দাঁড়ালো, ঠিক তখনই অনেক যাত্রীগণ নিচে নেমে পড়ল। তখন আমি জানালা দিয়ে মাথাটা বের করে দুটি ফটো উঠেছি।
ট্রেন যখন যমুনা সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিল তখন কেমন যেন অন্তরের মধ্যে ভয় চলে আসলো, কারণ যমুনা নদীতে এখন পানি নেই। যমুনা সেতুর উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে মনে হয় ৬০ থেকে ৭০ ফিট নিচে বালুচর ও পানি। এবং যমুনা সেতুর এক পাশ দিয়ে রেললাইন এটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আল্লাহ না করুক যদি কোন দুর্ঘটনা হয়ে যায় তাহলে সম্পূর্ণ ট্রেন চলে যাবে যমুনার মধ্যে, এক পাশ দিয়ে রেল লাইন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তাই হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট করে আরেকটি দ্বিতীয় যমুনা রেল সেতু করা হচ্ছে।
যমুনা রেল সেতুর কাজ অনেকটুকু সম্পূর্ণ হয়েছে, এবং খুব দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এবং দৈনিক হাজার হাজার শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি কাজটি সম্পন্ন হোক।
অতঃপর আমি শহীদ মনসুর আলী স্টেশনে নেমে পড়লাম, ট্রেনটি রাজশাহীর দিকে আবার চলতে লাগলো, এই ছিলো আমার গতকালকে ট্রেনে ভ্রমণের কিছু কথা।
তো বন্ধুরা, আমার লেখাটি পড়ে কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনি একটি কমেন্ট করে জানাবেন।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Samsung A12 |
Camera | 48MP 5MP 2MP 2MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
10% for beneficiary in community @meraindia account
ট্রেন ভ্রমন করা না ভালো লাগে ৷ আমারো ট্রেন করতে বেশ ভালোই লাগে কিন্তু শখ করে কখনো যাওয়া হয় না ৷ আপনার ট্রেনে ভ্রমন করা কিছু আনন্দময় মূহুর্ত জানতে পেরে নিজের মাঝেও অনেক আনন্দ লাগতেছে ৷ তারপর বলেছেন যমুনা সেতু রেল লাইন অনেক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৷ তার জন্য আরেক টি রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে ৷ শুনে ভালো লাগলো কারন আগের রেল লাইন অনেক ঝুকিপূর্ণ যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটলে হয়তো অনেক বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাবে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ ভালো থাকবেন , দিনটি আপনার শুভ হোক ৷ 🙏
লেখাটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ গিয়েছেন ট্রেন ভ্রমণ করে।ট্রেন ভ্রমণ সব সময় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।তবে লোকাল ট্রেন হলে তা বেশ ভোগায়।অবরোধের ভিতর ট্রেনই একমাত্র ভরসা আমাদের।অবরোধের ভিতর সাবধানে চলাচল করবেন।আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ট্রেনে জার্নি অনেক আনন্দের হয়ে থাকে আর একদম নিরাপত্তা বলা যেতে পারে।। আপনি ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে বেশিরভাগ সময় ট্রেনে জার্নি করেন।। আজকে আপনি ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনে আসেন সরাসরি ট্রেন পারছিলেন না।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কিছু আনন্দের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পোস্টটি পড়ে একটি মন্তব্য করার জন্য।
একদমই সত্য কথা যে এভাবে সেতুর এক পাশ দিয়ে রেল লাইন ঝুকিপূর্ণ অনেক। তাই হয়তো নতুন ব্রীজ হচ্ছে। এটা হলে একদিকে যেমন সময় বাচবে অন্যদিকে নিরাপদ হবে।
ধন্যবাদ ট্রেন ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর কথা শেয়ার করার জন্যে।
লেখাটি পড়ে মূল্যবান একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।