বর্তমানে দেশের প্রতি ভালোবাসার বাস্তব চিত্র।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ, আপনারা সবাই কেমন আছেন জানিনা তবে আশা রাখি, আল্লাহর অপার মেহেরবানীতে আপনার সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ করোনা ও মেহেরবানীতে আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি দেশাত্ববোধ অর্থাৎ দেশকে ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। এই পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।
ভালোবাসা কথাটি ছোট্ট হলেও এর গভীরতা অনেক বেশি এবং অসীম বিস্তৃতি। ভালোবাসার বর্ণনা দিতে গেলে অনেক কিছু চলে আসে কিন্তু সেগুলো বলা সম্ভব হবে না এই স্বল্প পরিসরে। তাই আজকে দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি মমতাবোধ, এই বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলব।
আমরা বাঙালি, বাংলাদেশ আমার এবং আমাদের জন্মভূমি। আমরা মায়ের প্রতি যেমন ভালোবাসা পোষণ করে থাকি ঠিক তেমনি জন্মভূমির প্রতি তেমনি ধারণা পোষণ করা উচিত। তাইতো জন্মভূমির স্বাধীনতা রক্ষা করা অর্থাৎ সীমান্ত রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
দেশে স্বাধীনতা যদি বিপন্ন হয় আর যদি দেশের মানুষ চুপ চাপ বসে থাকে তবে যারা যারা চুপচাপ বসে থাকবে তাদের ঈমান নেই বললেই চলে। এক কথায় দেশের সীমান্ত এবং স্বাধীনতা রক্ষায় রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে না পারলে দেশের জন্য শহীদ হতে হবে। দেশের প্রতি এই ভালোবাসা শুধু যে সীমান্তরক্ষা বা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা তা নয়।
দেশের প্রত্যেকটি সম্পদের প্রতি দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মমতা দরদ থাকা জরুরী। তেমনি থাকা জরুরী দেশের দেশীয় পণ্যের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, আমাদের এই বাংলাদেশের আমলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রত্যেকটি মানুষ দেশের প্রতি ভালোবাসা দরদ মমতাবোধ নেই বললেই চলে। আমাদের দেশের পণ্য বাদে বিদেশি পণ্য কিনে থাকে। দেশের একটা সম্পদ নষ্ট হচ্ছে অথচ কেউ বলার নাই দেখান নাই।
যেমনঃ আমাদের দেশে আমলারা যারা আছে, তারা এদেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, মিল, ফ্যাক্টরি, শপিংমল ইত্যাদি তারা কিনে থাকে। এদেশের টাকা নিয়ে তারা সুইজারল্যান্ড এর সুইস ব্যাংকে জমা রেখে।
দেশের টাকা আত্মসাৎ করে আর সেই টাকা বিদেশে পাচার করে। তেমনি এদেশের মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপিরা দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, মিল ফ্যাক্টরি এমনকি টাকা পয়সা সুইস ব্যাংকে তারা জমা রাখে। এরা আসলে দেশকে ভালোবাসে না দেশের প্রতি দরদ এদের ভিতর নেই।
উদাহরণ হিসেবে একটা দেশের নাম বলা যেতে পারে তা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক দেশের প্রতি এমন ভালোবাসা দরদ মমতাবোধ তা বলে শেষ করা যায় না। তারা কখনই বিদেশ পণ্য ব্যবহার করে না, দেশীয় পণ্য থাকা অবস্থায়।
তারা আমলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে প্রত্যেকটি নাগরিক দেশের সম্পদ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে। অথচ আমাদের এই বাংলাদেশ 30 লক্ষ শহীদের রক্তে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশ হলেও এ দেশকে ভালোবাসার মতো মানুষ গুটি কয়েকজনই রয়েছে, অধিকাংশ মানুষ দেশকে লুটেপুটে খাবার চিন্তাভাবনা লালন করে।
বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা দেখলে অনেক মন খারাপ হয় কারণ আমাদের এই দেশ শস্য শ্যামলা ভরা নদীমাতৃক এবং অপার সম্ভাবনাময় একটা দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশ এখনো দারিদ্রতার ছাপ মুছে ফেলতে পারেনি। আগামী কতদিন লাগবে না লাগবে তা বলতে পারিনা ।
তবে এদেশ উন্নয়নে যাওয়া সঠিক দেশপ্রেমী ছাড়া সম্ভব হবে না। এদের যদি সঠিক ঈমানদারদের হাতে শাসনাভার কখনো আসে তবে আশা করা যায় এদেশ একদিন উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছে যাবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সেই কামনা ও প্রত্যাশা রেখে আজকের মত এখানেই শেষ করছি , আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখনী। তবে আরো কিছু ছবি এড করলে পোস্ট টা আরো বেশি ভালো হতো।
দেশপ্রেম সবার মধ্যে জাগ্রত হোক এই কামনা সব সময় করি।
আপনাকেও ধন্যবাদ, আমার পোস্টটি পড়ার জন্য, আরো ধন্যবাদ দিতে চাই কিছু পরামর্শ দেওয়ার জন্য, আগামী পোস্টে আপনার পরামর্শ ইনশাল্লাহ প্রতিফলিত করব। আল্লাহাফেজ
খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য। good job ⭐
আপনি দেশের প্রতি ভালোবাসার কিছু বাস্তব লেখনী আমাদের মাঝে উপাস্থাপন করেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ আসলে বর্তমান সময়ে কার মনে কি আছে বলা যাবে না ৷ কিন্তু আমাদের এই দেশের যেন ক্ষতি না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাহলেই দেখবেন দেশের প্রতি ভালোবাসা আরোও বেড়ে যাবে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ সামনের দিকে এগিয়ে জান ৷ 🌺
আপনার পরামর্শটি অনেক সেনসিটিভ। আসলে বর্তমানে দেশের কথা বলা অনেক কঠিন ব্যাপার। তাই আপনার পরামর্শটা আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ
আপনি আজ দেশ প্রেম আী দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ এই বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আপনি আপনার লেখায় উল্লেখ করেছেন এখনকার উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তারা নিজের পকেট ভরতে ব্যস্ত। এরকম হলে দেশের উন্নয়ন হবে কিভাবে?! এসব ব্যাধি থেকে দেশের মুক্তি হোক সেই চেষ্টা করব আর প্রার্থনা ও করব।
আপনি আমার পোস্টটি পড়েছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ। দেশের জন্য আপনার প্রার্থনা এবং চেষ্টা সফল হোক এবং দেশের উন্নয়নে এবং অগ্রযাত্রায় আপনার অংশগ্রহণ একান্ত কামনা করছি। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার জন্য। আসলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।তবেই গড়া সম্ভব সোনার বাংলা।
আপনি আমাদের কমিউনিটিতে নতুন সদস্য হওয়ায় প্রথমেই আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
আপনার লেখনী অনেক সুন্দর। সহজ ও সাবলীল ভাষায় আপনার লেখার বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেশ আমাদের মায়ের মতো, মাকে যেমন ভালোবাসি এই দেশকেও তেমন ভালবাসতে হবে। দিনশেষে আমরা যদি সৎ থাকি তবেই আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে, নচেৎ নয়।
ভাই আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আমার পোস্টটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে এই মতামত আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করি আগামীতে আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাবেন এই আশা রাখি, আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের পরিবারের সাথে আপনাকে যুক্ত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়তে পেরে নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করছি। বর্তমান সময়ে দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। প্রত্যেকটা মানুষের অবস্থা দিন দিন একেবারেই তলানিতে চলে যাচ্ছে। মানুষ ভেবে নিচ্ছে কিভাবে তারা ভবিষ্যৎ জীবনটা পার করবে।
দিন দিন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা সরকারি দলে রয়েছে তারা হয়তো বা বেশ ভালোভাবেই তাদের দিন যাপন করে যাচ্ছে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ রয়েছে। তাদের জীবনটা একেবারেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা টপিক আলোচনা করার জন্য। তবে অবশ্যই কাউকে আঘাত করে কথা বলা। কাউকে ইঙ্গিত করে কোন কিছু করা। এই বিষয়গুলো শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন।