হিংসা করার ভয়াবহ পরিণাম এবং হিংসা হতে বাঁচার উপায়।
source
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ, আমি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনারা কেমন আছেন জানিনা তবে আশা করি আপনারা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আজকে আমি হিংসা করার পরিণাম এবং হিংসা নামক রোগ হতে বাঁচার উপায় নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই পোস্টটা আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।
মানুষের রোগ প্রধানত দুই প্রকার, এক- আত্মা রোগ এবং দুই - দেহের রোগ। আত্মার সৃষ্টি হয়েছে, আল্লাহর হুকুম থেকে তাই আত্মার খাদ্য হলো ঐশ্বরিক বাণী সমূহ তেমনি দেহের সৃষ্টি হয়েছে মাটি থেকে তাইতো দেহে খাদ্য হলো মাটি থেকে উৎপন্ন শস্য সমূহ। মানুষের অনেকগুলো আত্মার রোগ রয়েছে তার মধ্যে হিংসা একটি আত্মার রোগ। এই হিংসা রোগের ভয়াবহ পরিণাম নিনয়ে কিছু কথা বলা যাক।
হিংসা এমন একটি পাপ যা আমাদের নেকি সমূহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দেয়। আগুন যেমন কাঠ কে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দেয়।
হিংসা এতই ভয়ঙ্কর পাপ যে, ঈমান এবং হিংসা কখনোই একসাথে থাকতে পারে না। যদি কারো হিংসা থাকে তবে তার মধ্যে ঈমান নেই আর যদি ঈমান থাকে তবে তার মধ্যে হিংসা নেই।
ইসলাম ধর্মে, হিংসুককে নিকৃষ্ট চোখে দেখা হয়েছে। অর্থাৎ যে হিংসা পোষণ করে তাকে সবার চাইতে বেশি নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হয়।
*হিংসা এমন একটা জঘন্যতম পাপ যাহা মানুষের নৈতিক চরিত্র কে ধ্বংস করে, সেই সাথে ধর্মীয় চেতনা ও অনুভূতিকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়।
*হিংসুক মানুষদেরকে,ষ মহান আল্লাহতালা হাশরের ময়দানে ক্ষমা করবেন না।
*হিংসুক মানুষের মনে কখনো শান্তি বিরাজ করে না। সবসময় তার অস্থিরতা কাজ করে। সর্ব সময় তার অস্থির অস্থির লাগে। কোন কিছুতেই তার স্বস্তি নেই।
source
*হিংসুক মানুষ তার প্রতিদিনের প্রত্যেকটি সময়, ঘুমানোর সময়, ঘুম থেকে ওঠার সময়, দিনে কাজের সময়, যে কোন কাজে ভালো লাগে না। কোন কাজেই তার মন বসাতে পাড়ে না।
*হিংসুক এর আখিরাতের বিচার অনেক ভয়াবহ হবে। তার দিকে আল্লাহ তাকাবেন না, তাকে ক্ষমা করবেন না তার প্রতি লানত দিবেন।
হিংসা হইতে বাঁচার উপায়ঃ
- হিংসা হইতে বাঁচতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের ঈমানের পরিপক্কতা অর্জন করতে হবে। আর যখন ঈমানের পরিপেক্ষতা অর্জিত হবে তখন হিংসা আমার মধ্যে থাকবে না। কারণ ঈমান ও হিংসা একসাথে থাকতে পারে না।
*হিংসা হতে বাঁচার আরেকটি উপায় হলো, অন্য সাথে নিজেকে কখনোই তুলনা করবো না। সেই সাথে অন্যের কল্যাণ কিভাবে কামনা করা যায়, অন্যের উপকার কিভাবে করা যায়, অন্যের ভাল কিভাবে করা যায়, এই সমস্ত চিন্তা ভিতরে সব সময় রাখতে হবে।
*হিংসা হইতে বাঁচার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো, হিংসুক লোককে সবসময় এড়িয়ে চলা, তার সঙ্গ ত্যাগ করা, হিংসামুক্ত লোকদের তালাশ করে তাদের সাথে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করা।
source
*বাড়ির আশেপাশে এমনকি বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন যে কোনো ব্যক্তির ভালো, সুখবর, ভাল কাজ, উন্নতি ইত্যাদি দেখে খুশি হয়ে তাকে বাহবা দেওয়া এবং আনন্দ উল্লাস করা। এ সমস্ত কাজ যদি আমরা করি তবে হিংসা নামক রোগ হতে বাঁচার একটা পথ তৈরি হবে।
*হিংসা হতে বাঁচার আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো নিজেকে সংকীর্ণতার বেড়াজাল হতে মুক্ত করে উদার হতে হবে। তবে অবশ্যই আমরা হিংসা নামক রোগ হতে মুক্তি পেতে পারি।
হিংসা হতে বাঁচার আরো অনেক উপায় রয়েছে। নিজে যদি ভাল হই, ভালো হতে চাই তবে হিংসার নিয়ে শপথ গ্রহণ করতে হবে যে, আমি আজকে হতে আর হিংসা করবো না। তবে অবশ্যই দেখা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই আমার ভিতর থেকে এই জঘন্যতম আত্মার রোগ হিংসা একেবারে বিলীন হয়ে গিয়েছে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
হিংসা খুবই জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন এর মধ্যে উল্লেখ করেছেন। যে হিংসা করবে সে যতই নেক আমল অর্জন করুক না কেন তার প্রত্যেকটা নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই হিংসা থেকে অবশ্যই নিজেদেরকে বিরত রাখা উচিত। কোন মানুষের প্রতি হিংসা করার চাইতে কঠোর পরিশ্রম করা উত্তম।
হিংসা থেকে বাঁচার জন্য আপনি বেশ কয়েকটা উপায় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে হিংসা করা মোটেও ঠিক না। আমরা হয়তোবা কোন মানুষের ভালো দেখতে পারি না। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে এমন মানুষের অভাব নেই। কেউ একটু ভালো খাবার খেলেই ভালোভাবে চললেই। তাদের চোখে লেগে যায়। হিংসা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা সবসময় করে এসেছি। কখনোই কাউকে হিংসা করিনি। কিন্তু আমাকে অনেকে হিংসা করে এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, চমৎকার বিষয় উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি কাহারো সাথে হিংসা করেন না এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। দোয়া রইল আপনাকে আল্লাহ হেফাজত করুন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
হিংসা মানুষকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়।আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে হিংসা হতে বাঁচার উপায় গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা কোন মানুষের উন্নতি দেখতে পাই না দেখলে তার উপরে হিংসা হয়। এতে যে নিজের ক্ষতি হয় তাকেও বুঝতেই চায়না শুধু বুঝে যে ওর থেকে আমার দিকটা ভালো করতে হবে।আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য। এছাড়া আরো ধন্যবাদ আপনি আমার পোষ্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আল্লাহ আপনাকে হিংসা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক আমিন।
কথায় আছে দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা। যার অন্তরে হিংসা রোগ বাস করে তাকে চেনা বড়ই কঠিন। কারণ তার কথা অনেক মিষ্টি হয়।এজন্য আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে হিংসার ছোবল থেকে বাঁচতে। তবে হিংসা যে করে সেও কখনো ভালো থাকতে পারে না। অন্তরের এই রোগের কারণে সে সর্বদা মানসিক অশান্তির মধ্যে বাস করে। আর মানসিক অশান্তি থেকে শুরু হয় তার যাবতীয় অন্যান্য সমস্যা ।
আপনি বিভিন্ন পন্থা দেখিয়েছেন কিভাবে হিংসুকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।আমি আপনার সাথে একমত।
আপনার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এছাড়া আরো ধন্যবাদ আপনি আমার সাথে সহমত পোষণ করেছেন। আসলে হিংসুককে চেনা অতি জরুরী। আর চিনতে পারলে তার ছবল হতে নিজেকে রক্ষা করতে পারবো। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য।
সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে কার মনে কি আছে তা কখনও বলা যাবে না ৷ আর যে মানুষ হিংসা করে সে কখনও অন্যের ভালো চাইবে না এবং কি তারা তাদেরকে নিয়ে সব জায়গায় সমালোচনা করে বেড়াতে দেখা যায় ৷ এমনকি আরো অনেক মানুষ রয়েছে আপনাদের সাথে ভালো ভাবে মেশার চেষ্টা করবে কিন্তু মনের সাথে মিল থাকবে না ৷ তারপর আপনি হিংসা হতে বাঁচার কিছু টিপস শেয়ার করেছেন যেগুলো আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে অনেক গুরত্বপূর্ন হয়ে দাড়াবে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ। আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
প্রতিটা জীবই জীনগত ভাবে হিংসুক প্রকৃতির হয়ে থাকে।নিজের স্বার্থ সবার আগে।মানুষ যেহেতু জীবের মাঝেই পরে তাই তার মাঝেও এর অস্তিত্ব আছে।তবে মানুষ ইচ্ছে করল্রি তার এই প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসলে মানুষ ইচ্ছা করলে পারে না এমন কিছু নেই। আমরা যদি হিংসাকে পরিহার করতে পারি। তাহলে পরকালীন জীবন অনেক সুখময় হবে। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে বাজে ভাবে মিশে গিয়েছে এই খারাপ নামটি। হিংসা মানুষকে আস্তে আস্তে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়।আমাদের সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হিংসা ত্যাগ করতেই হবে।আপনি হিংসা ত্যাগ করার উপায়ও বলেছেন আপনার পোস্টে।ধন্যবাদ আপনাকে এত ভালো পোস্ট করার জন্য।
সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন কারন আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমার পোস্টটি ভাল লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
হিংসা করা হলো একটা রোগ। অপরের উন্নতি দেখে যদি কেউ সেই মানুষটিকে হিংসা করে, তাহলে তার নিজের উন্নতি কখনোই হওয়া সম্ভব নয়। তার সব সময় চেষ্টা করা উচিত নিজের উন্নতি কিভাবে হবে সেই ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া। হিংসুক মানুষের মধ্যে সব সময় নেগেটিভ চিন্তাভাবনা কাজ করে। তার জন্য তারা জীবনে ভালো কিছু করে উঠতে পারে না। তাই প্রত্যেক মানুষেরই হিংসা করা ত্যাগ করে জীবনে সদর্থক কিছু করা উচিত।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন এবং সেই সাথে মূল্যবান একটি মন্তব্য করেছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল এবং দোয়া রইল।
আপনাকে প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়, হিংসা আর অহংকার, মানুষের আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। আর কিভাবে হিংসা থেকে বেচে থাকতে পারবো তার ও উপায় উল্লেখ করে দিয়েছেন। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষাই থাকলাম, শুভকামনা রইল সুস্থ থাকবেন।
হিংসা একটি মারাত্মক পাপ। যা মানুষের ঈমান নষ্ট করে দেয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এর পরিণাম সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তার পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন কিভাবে হিংসা থেকে আমরা বাঁচতে পারি। কারো কিছু দেখে হিংসা না করে নিজে কিছু করার চেষ্টা করা উচিত।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয়ের উপর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।