Some Prediction About Bangladeshi Politics
ইন্ডিয়াফোবিয়া বা ভারত বিরোধিতা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে একটি উর্বর ক্ষেত্রে। এটা আওয়ামী, বিএনপি, বাম, নূরুের পরিষদসহ হেফাজতে ইসলাম সবারই জানা।
জার্মানী ও ইতালিতে শরনার্থী বিরোধিতা, যুক্তরাজ্যে ইউরোস্কেপটিসিজম, ভারতে হিন্দুত্ববাদ, যুক্তরাষ্ট্রে বর্নবাদ, কানাডার পেনশন প্ল্যান, সিঙ্গাপুরে সমকামিতা এগুলো একদিকে যেমন 'পপুলিজমের' উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে ঠিক উল্টোদিকে একইভাবে 'পলিটিক্যাল সুইসাইড' ও হতে পারে।
ট্রাম্প-মোদি-বরিস জনসন-জায়ার বলসেনারোর উত্থানের কারনে পপুলিজম আজ আমাদের কাছে অনেক পরিচিত হলেও 'পলিটিক্যাল সুইসাইড' এই টার্মটি আমাদের কাছে নতুন। বিতর্কিত একটা ইস্যুর উপর ভিত্তি করে যে দল বা ব্যাক্তি ক্ষমতার চূড়ায় প্রবেশ করে সে দল বা ব্যাক্তির কাছে ঔ বিতর্কিত বিষয়টি হলো পপুলিজম আর যে দলের ভরাডুবি হয় সে দলের কাছে বিতর্কিত ঔ ইস্যুটি হলো পলিটিকাল সুইসাইড। ড্যাভিড কেমেরুন ও থেরেসা মে এর জন্য ব্রেক্সিট ছিলো পলিটিকাল সুইসাইড আর বরিস জনসনের জন্য ছিলো পপুলিজম।
রাস্তায় টিভিতে খবর দেখার সময় একদল বলতেসে নরেন্দ্র মোদি তো আমাদের জন্য সাহায্য নিয়ে আসছে, আমরা গরীব তাই দান খয়রাত করবে, কি দরকার আন্দোলন করার! সাথে সাথে আরেকদল রিপ্লাই দিলো এই লোক(মোদি) অনেক খারাপ, ওনি কোরআনের আয়াত বাদ দিতে চায় তাই মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেছে।
রাজনীতি না বুঝা এসব মানুষজনের কাছেও নরেন্দ্র মোদি নিয়ে আজ আলোচনা হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত এই ইন্ডিয়াফোবিয়া নিয়ে ভাবা, কেন জনগণ ভারত নিয়ে ক্ষুব্ধ সেটাও বুঝা উচিত। যারা তুরস্কে এরদোয়ানের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারাও দেখি এখন বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়! তেমনি তাদেরও উচিত ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি না করা।
ভারত বিরোধিতা বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনিতীতে পপুলিজম হোক কিংবা পলিটিকাল সুইসাইড হোক দুইটাই হবে ভয়ংকর!!
কলমে: মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া ভাই
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
https://twitter.com/JannateeHur/status/1379014724445032453