The Diary Game | | 03-11-2023 | | A Wonderful Day

সকালে ঘুমটা ভাঙলো ছোট বাচ্চাদের চেচামেচিতে। আসলে আমার রুমটা রাস্তার সাথে। আর সকাল বেলা পাড়ার ছেলেরা খেলা করার সময় চেচামেচি করছিলো আর তাতেই আমার ঘুমটা ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করলাম। তারপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাইরে বের হলাম। বাইরে গিয়ে একটু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর একটু হাটাহাটি করে বাড়িতে ফিরে এসে টিভি দেখলাম। টিভি দেখার পর ভাত খেয়ে নিলাম। তারপর একটু বিশ্রাম নিয়ে জমির হাটের বাজারে গেলাম ছাগলের জন্য চোপড় আনার জন্য। বাজার থেকে চোপড় নিয়ে আমার রুমে শুয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা ডিজিটাল আর্ট করলাম। কিছুক্ষন পর আমার আম্মু এসে ডাকলো। জমিতে মানুষ কাজ করছে তাদের জন্য খাবার নিয়ে যেতে বললো।

তারপর একটা ভার-বাঙ্কুয়াতে করে একপাশে ভাত তরকারি আরেকপাশে পানি নিয়ে গেলাম। জমিতে আলু লাগানো হয়েছে তিনজন মানুষ আলুর ক্ষেতের আগাছাগুলো তুলে ফেলছে। খাবার নিয়ে গিয়ে লোকগুলোর কাজ করার সময় ছবি তুলে নিলাম ও সেলফি তুললাম। তারপর সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে কিছুক্ষন ফ্রি ফায়ার গেম খেললাম। তারপর খানিকটা সময় ফেসবুক চালালাম ও মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করলাম। আজকে ফেসবুকে একটা ভিডিও আপলোড দিয়েছি সবাই সেটা নিয়ে মজা করছে। যাই হোক মোবাইলটা রেখে গিয়ে গোসল করে নিলাম। গোসল করার পর গায়ে সরিষার তেল মেখে কিছুক্ষন রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর শুয়ে পড়লাম।

বিকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমার বন্ধু মেসিবাবু কল দিয়েছিলো। তার কল ব্যাক করলাম এবং সে আমাকে রেডি হয়ে থাকতে বললো পার্বতীপুর যাওয়ার জন্য। আমি ফ্রেস হয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে গেলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই মেসিবাবু বাইক নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজার সামনে আসলো। ওর সাথে আমাদের আরেক বন্ধু কাওসারও ছিলো। তারপর তিন বন্ধু মিলে বাইকে করে চলে গেলাম পার্বতীপুর। সেখানে ক্যানেলে গিয়ে থামলাম। ক্যানেলে গিয়ে সবাই ছবি তুললাম। ছবি তোলার পর চলে গেলাম বাজারে। সেখানে X-Man শো রুমে ঢুকলাম প্যান্ট কেনার জন্য। কিন্তু প্যান্টের দাম দেখেই বের হয়ে আসলাম। কাওসার ওর মোবাইলে একটা গরিলা গ্লাস লাগালো। তারপর শাহ হোটেলে ঢুকে চিকেন চাপ ও নান খেলাম। সবশেষে চা খেয়ে বাড়ি ফিরলাম।

মেসিবাবুকে বললাম আমাকে জমির হাটে নামিয়ে দিতে। তাই সে আমাকে জমির হাটে নামিয়ে দিলো। আমাদের জমির হাটের মাঠে প্রতিদিন রাতে ভলিবল খেলা হয়। তাই মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভলিবল খেলা দেখলাম। আমার আব্বুও ভলিবল খেলে তবে আমি খেলি না। আসলে ভলিবল খেলতে আমার ভালো লাগে না কিন্তু দেখতে ভালো লাগে। প্রতিদিন রাত ১১-১২ টা পর্যন্ত খেলা হয়। ভলিবল খেলা দেখে রাত ৯:২১ মিনিটে বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে আমার রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। ভাত খাওয়ার পর দুধ খেয়ে আমার রুমে ফিরে আসলাম। রুমে এসে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপলাম। বঅন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করলাম এবং ফেসবুকে ভিডিও দেখলাম। এভাবে রাত ১১ টা বেজে গেলো। তারপর সবকিছু বাদ দিয়ে আমি আজকের এই পোস্টটি লেখা শুরু করলাম।