📚📚 CONTEST: YOUR FAVOURITE BOOK CHARACTER 📚📚. হৈমন্তী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
Hello......!
Hi Everyone.
This is @emon42. From #Bangladesh.
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে written & Reviews কমিউনিটিতে স্বাগতম। আজ আমি আমার ভাষা বাংলায় উক্ত কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করব। আমি এই সপ্তাহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি ছোটগল্প "হৈমন্তী " সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এই হৈমন্তী গল্পটি আমি এই সপ্তাহে পড়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলা হয় ছোট গল্পের জনক। হৈমন্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোটগল্প।
হৈমন্তী গল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :
গল্পে হৈমন্তী হলো একটি মেয়ের নাম। হৈমন্তী দেখতে খুবই সুন্দর। হৈমন্তীর বাবার নাম গৌরিসংকর। হৈমন্তীর মা অনেক আগে মারা যায়। তাই তার পিতা গৌরিসংকর তাকে অনেক আদর যত্নে মানুষ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন শিক্ষক। তারা হিমালয়ের পাদদেশে বাস করতেন। হৈমন্তীর বয়স যখন সতের তখন তার বিয়ের সম্বন্ধ আসে। তৎকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত। কিন্তু হৈমন্তীর বয়স হয়েগেছিল বেশি। হৈমন্তীর বিয়ে হয় কলকাতাবাসী অপুর সাথে। অপু বিয়ে ক্লাসের ছাএ। অপুর বাবা মনে করেছিল হৈমন্তীর বাবা ধনী ব্যক্তি। বিয়ের পর সমস্ত সম্পত্তি পাবে অপু। কিন্তু বিয়ের পর দেখা গেল হৈমন্তীর বাবা একজন মধ্যবীও শিক্ষক। এর পর থেকেই হৈমন্তীর উপর শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির মানুষের নির্যাতন। শারিরিক না মানুসিক নির্যাতন। যদিও অপু হৈমন্তীকে অনেক ভালোবাসত।
এভাবে অনেকদিন চলতে থাকে। একসময় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অপমান বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে হৈমন্তী মারা যায়। হ্যা হৈমন্তী আত্নহত্যা করেনি। কিন্তু তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না।
হৈমন্তীর সেরা চরিত্র :
হৈমন্তী গল্পে আমার পছন্দের চরিত্রটি হলো হৈমন্তীর স্বামী অপু। অপু বিয়ে ক্লাসের ছাএ ছিল। হৈমন্তীর শ্বশুরবাড়ির সবাই হৈমন্তী এবং তারা বাবা গৌরিসংকর করে অপমান করলে অপু সবসময় তাদের সম্মান করত। এবং অপু হৈমন্তীকে অনেক ভালোবাসত। অপু হৈমন্তীর নাম দেয় শিশির। কেননা শিশিরে কান্না হাসি একবারে এক হইয়া আছে। আর শিশিরে ভোরবেলাটুকুর কথা সকালবেলায় এসে ফুরিয়ে যায়। এবং অপু তার স্ত্রী হৈমন্তীকে উদ্দেশ্য করে বলে " সে আমার সম্পত্তি নয় সে আমার সম্পদ"। এখানে অপু হৈমন্তীকে কতটা ভালোবাসত কতটা সম্মান করত তার বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায়। এছাড়া হৈমন্তীর এমন অসহায় অবস্থা অপু বুঝতে পারত। কিন্তু বাবা মায়ের ভয়ে কিছু বলতে পারত না। এসব কারণেই হৈমন্তী গল্পের অপু আমার কাছে প্রিয় ছাএ।
হৈমন্তী গল্পের লেখক পরিচিতি:
হৈমন্তী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোটগল্প।ছোটগল্পের জনক বলা তাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেনা পাওনা এবং পোস্টমাস্টার অন্যতম সেরা ছোটগল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। এবং তিনি ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান। তার লেখা হৈমন্তী গল্পটি "সবুজপএ " নামক মাসিক পএিকায় প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হৈমন্তী গল্পে তৎকালীন হিন্দু সমাজের যৌতুক প্রথাটির ভয়াবহ দিক তুলে ধরেছেন।
ছোটগল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন:
ছোট ছোট দুঃখ কথা
নিতান্তই সহজ সরল
সহস্র বিস্মৃতি রাশি
প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু'চারটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা
নাহি ঘনঘটা
নাহি তত্ব,নাহি উপদেশ
অন্তরে অতৃপ্তি রবে
সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়েও হইলনা শেষ।
CC:
@steemblog
@steemcurator01
@steemcurator02
@belenguerra
@fendit
https://twitter.com/Emon423/status/1386977947106430976?s=19