Contest : My Favorite Book - (Shes Bikeler Meye - Zahir Rayhan)

in Steem Lifestyle3 years ago

আসসালামু-আলাইকুম!

  • আজ মঙ্গলবার,
  • ০১ জুন ২০২১.


আসলে সম্পূর্ণভাবেই পোস্টটি ইংরেজিতে করলে এই পুরোপুরি মর্ম বোঝা মুশকিল হবে তাই বাংলা ভাষায় সেটা তুলে ধরলাম। যে কেউ চাইলে এটি পড়ে দেখতে পারেন, আশা করছি ভাল লাগবে! আমি অনেক আগ থেকেই জহির রায়হানের লেখা ভালোবাসি। যাইহোক, শুরু করা যাক! বর্ষামুখর দিনে আকাশের কান্না দিয়ে শুরুটা হয়েছে এই উপন্যাসের। সকাল থেকে একটানা বর্ষণে রাস্তায় জমে থাকা হাঁটু পানি পেরিয়ে, ভেজা কাপড়ে, শীতে কাঁপতে কাঁপতে বাসায় পৌঁছে উপন্যাসের মূল চরিত্র কাসেদ। লেখক এই উপন্যাসে কাসেদকে কেন্দ্রে রেখে সাজিয়েছেন আবেগ, ভালোবাসা আর রোমান্টিকতায় পূর্ণ উপন্যাসের বাকী চরিত্রগুলোকে।

কাসেদ পেশায় একজন সাধারণ কেরানী। বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা আর নাহার নামের একটি মেয়ে থাকে। সে কাসেদের মায়ের দূর সম্পর্কের এক খালাতো বোনের মেয়ে। মাতৃহারা নাহার যখন ছোট ছিল ঠিক তখন তার বাবা মিলিটারীতে যোগদানের পূর্বে কাসেদের মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিল তাকে। সেই থেকে নাহারকে নিজের মেয়ের মতো আগলে রেখেছে কাসেদের মা। স্বল্পভাষী নাহার খুব যত্নের সঙ্গে কাসেদদের পুরো বাড়ি গুছিয়ে রাখে সে।

1573781029.jpg

ছবি উৎস

ভালোবাসলেই কি আর ঘর বাঁধা যায়? হ্যাঁ! এটাই হয়েছে এই উপন্যাসটিতে সালমা চরিত্রকে নিয়ে। সেই ছোটবেলা থেকেই মন-প্রাণ দিয়ে কাসেদকে ভালোবাসাতো সালমা। কাসেদের অবহেলায় সে পারেনি কাসেদকে নিজের করে পেতে। অন্যত্র দেখা যায়, বিয়ে হওয়ার পরেও কাসেদের প্রতি সালমার ভালোবাসায় কোন প্রকার কমতি ছিলো না। তাই হয়তো ফুটফুটে এক মেয়ের মা হয়েও সুখের আশায় আর ভালোবাসার টানে সে কাসেদকে নিয়ে পালাতে চায় সে।

এদিকে, পরিচয় হওয়ার পর থেকে জাহানারাকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে ফেলেন কাসেদ। তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্নে কল্পনায় জাল বুনে কাসেদ। জাহানারাও ভালোবাসে কাসেদকে। কিন্তু দুজনের কেউই তা প্রকাশ না করায় সে ভালোবাসা আর পূর্ণতা পায় নি কখনো।

Shesh-Bikeler-Meye.jpg

ছবি উৎস

অন্যদিকে, জাহানারার জন্মদিনে কাসেদের সঙ্গে শিউলির পরিচয় হয়েছিল। পরিচয়ের অল্পদিনেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাসেদের। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পুরো কৃতিত্বই শিউলির। দিনের পর দিন শিউলির কথাবার্তা আর আচরণের ধরন দেখে মনে হতে থাকে সে কাসেদের প্রেমে মরিয়া হয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু সম্পর্কের এই ভুল বোঝাবুঝির জেরে জাহানারা আর কাসেদের ভালোবাসায় ছেদ পড়ে। তাই পরস্পরের অভিমানের কাছে নতি স্বীকার করে ভালোবাসা।

এতো দিনের ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে শিউলিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে কাসেদ। শিউলি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানায় তাদের এই সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বের। বিদায় বেলায় শিউলি তার পক্ষ থেকে কোন ভুল হয়ে থাকলে সেজন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় কাসেদের কাছে এবং জানায় সে কাসেদকে অন্য পুরুষদের চেয়ে আলাদা ভেবেছিল কিন্তু কাসেদও অন্য পুরুষদের মতোই বন্ধুত্বটাকে প্রেম ভেবে বসে। তাই শিউলির ধারণা হয় - সব পুরুষই এক

সেদিন ঘরে ফিরে কাসেদ দেখে তার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে প্রায় মৃত্যু শয্যায়। নাহারের বিয়ে ঠিক করেও তা দেখে যেতে পারেনি কাসেদের মা৷ তার আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তার কিছুদিন পর নাহারকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় কাসেদের খালু। যাওয়ার আগে কাসেদের পা ছুঁয়ে সালাম করে, ছোট্ট করে যাই বলে বিদায় নিয়েছে নাহার৷ কাসেদ এখন পুরোপুরি এ বাড়িতে একা, চারিদিক শূন্য লাগছে তার এবং মন জুড়েও শূন্যতা। জানালায় দাঁড়িয়ে আকাশে মেঘের খেলা দেখছে সে। শেষ বিকেলের সোনালি আভার পরে পুরো শহরটা যখন থমথমে ভাব নিয়ে রাত্রির অপেক্ষা করছে, ঠিক সেই সময়ে দরজায় কড়া নেড়ে এলো সেই শেষ বিকেলের মেয়ে।

আশাকরি সবাই সুন্দর করে পড়ে তারপর মন্তব্য করবেন!

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 64513.75
ETH 3146.11
USDT 1.00
SBD 3.95