প্রতিবেদনঃ ⚠ ডেঙ্গু জ্বর থেকে সাবধান ⚠

in Steem Lifestyle3 years ago

⚠ডেঙ্গু জ্বর⚠

download.jpeg
source
বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর এর প্রোকোপ বেডেছে। করুনা কালীন সময়ে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে আর এর মধ্যেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্ক্রান্ত রোগীর সংখা বেড়ে চলেছে। ডেঙ্গু জ্বর এর সাথে পরিচিত না হলেও রোগের নামটা মোটামুটি সকালের কাছে বেশ পরিচিত। এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা সহ বিভিন্ন মহাদেশের ১১০টির অধিক দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ থেকে পঞ্চাশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়। তাদের মধ্যে দশ থেকে বিশ হাজারের মতো মারা যায়। ডেঙ্গুর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৯৭১ সালে ।ডেঙ্গু শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে ডেংগি। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এডিস মশা এই রোগের বাহক। হাসপাতালের বিষয়ে আলাপ চলাকালে বড় ভাইয়ের থেকে জানতে পারলাম ইদানিং অনেক বেশি পরিমানে ডেঙ্গু রোগে আক্ক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সাবধানতার জন্যই মূলত আমার এই পোস্ট।

রোগের কারণ

images (11).jpeg
source
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এডিস মশা। এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের জীবানু বহন করে। এডিস মশা যখন মানুষের শরীরের রক্ত পান করে ঠিক তখনই ডেঙ্গুর জীবানু মানুষের শরীরে পৌছায়। এডিস মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু জ্বর হবে বিষয়টি এমন নয় মূলত সাধারণত পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয়। মশা একাধিক ব্যাক্তিকে কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত ব্যাক্তি দ্বারা সংক্রমিত এডিস মশা অন্য ব্যক্তিকে কামড়ালে উক্ত ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।

লক্ষ্মণ সমূহ

images (8).jpeg
source
মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু। ডেঙ্গু প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা না হলে মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। এই করোনাকালীন সময়ে কোনো ব্যক্তির জ্বর হলেই ভেবে নেওয়া হয় করোনা আক্রান্ত হয়েছে অথচ শুধু করোনায় আক্রান্ত হলেই তো রোগী জ্বরে ভুগেন না বরং ডেঙ্গুর কারণেও জ্বরে ভুগতে পারেন। এই বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।

লক্ষনঃ

  • ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে।

  • জ্বর এর তাপমাত্রা ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  • জ্বরের কারনে তীব্র পেটে ব্যথাও হতে পারে।

  • আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমড়, পিঠসহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়।

  • আক্রান্ত ব্যক্তির মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা হয়। অনেক সময় ব্যথা এত তীব্র হয় যে এই জ্বরের আরেক নাম "ব্রেক বোন ফিভার"।

  • জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে ভাব দেখা যায়, যাকে স্কিন র‍্যাশবলা হয়ে থাকে। এগুলো দেখতে এলার্জি বা ঘামাচির মতো।

  • আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বরের পাশাপাশি বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে।

  • আক্রান্ত রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায়।

চিকিৎসা

images (12).jpeg
source
ডেঙ্গু জ্বরে একটি মারাত্তক ভাইরাস জনিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে। যাতে মারাত্মক জটিলতা দেখা না দেয়। সধারনত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয় কারন এর কোনো সঠিক চিকিৎসা নেই।ডেঙ্গু রোগের টিকা মাত্র কয়েকটি দেশে অনুমোদিত রয়েছে। তবে তা একজন ব্যক্তিকে একবার দেওয়ার জন্যই প্রযোজ্য।

  • আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।
  • আক্রান্ত রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমান পানি, শরবত, ডাবের পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়কতে হবে।
  • আক্রান্ত রোগী মুখে খেতে না পারলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
  • আক্রান্ত রোগীর জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট।কোনো জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • আক্রান্ত রোগীকে কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।
  • রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

প্রতিরোধ

images (9).jpeg
source
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। এডিস মশা থেকে বাচতে পারলে ডেঙ্গু থেকেও বাচা সম্ভব। এডিস মশা যেন কামড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এডিস মশা সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় তাই এই সময়টা বেশি সতর্ক থাকতে হবে। মশা পানিতে ডিম পাড়ে। এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোক্ত জায়গা গুলো পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে পানি যমে থাকতে না পারে। মশা নিধনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

  • বাসার ছাদে এবং বাগানের ফুলদানি, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিতে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। সবসময় এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

  • বাথরুমে বা রান্না ঘরে কোথাও পানি যেন চারদিনের বেশি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

  • মশারি অথবা ভালো মানের কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।

  • মশা থেকে বাচতে মশার কয়েল অথবা মশার ইলেকট্রনিক ব্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ২৪ ঘন্টা মশারির মধ্যে রাখা বাধ্যতামূলক। কেননা রোগীকে কামড়ানোর পর ঐ মশা পরিবারের অন্যকে কামড়ালে তার ও ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হোন,নিজে বাচুন দেশ বাচান

CC:
@sm-shagor
@msharif
@steemitblog
@bangladesh.com

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 65070.55
ETH 3147.10
USDT 1.00
SBD 2.55