*বইয়ের নামঃ চেগুয়েভারার ডায়েরি
*অনুবাদঃ রাশেদীন ইসলাম
*মোট পৃষ্ঠাঃ ২২৪
*ক্যাটাগরিঃ জীবনসংক্রান্ত
*রেটিংঃ ১০/১০.
আর্নোস্তা চেগুয়েভারা এমন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যে ১৯২৮ সালের ১৪ই জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন।বুয়েনস আয়ারসের মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ও পরবর্তীতে একজন পরিপূর্ণ ডাক্তার হিসেবে তিনি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেন।১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালায় বসবাসকালে তৎকালীন নির্বাচিত সরকার জ্যাকোবো আরবেনহের শাসনামলে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং সিআই-এ সমর্থিত বাহিনী কতৃক নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত হতে দেখেন। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাকে গুয়েতেমালা ছাড়তে বাধ্য করা হলে তিনি চলে যান মেক্সিকো শহরে।১৯৫৫ সালের জুলাইয়ে গুয়েভারা পরিচিত হন ফিদেল কাস্ত্রো সঙ্গে।কাস্ত্রো তখন গেরিলা দল সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন,সেই গেরিলা দলে অচিরেই নিজের নাম নিবন্ধন করেন।কিউবান বিপ্লবীরাই তাকে "চে" নাম দেন।সম্মোধনের ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার একটি জনপ্রিয় শব্দ হচ্ছে "চে"। শুরুতে গেরিলা দলের চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করলেও ১৯৫৭ সালের জুলাইয়ে তিনি প্রথম রেবেল আর্মি কমান্ডার নির্বাচিত হন।১৯৫৮ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে সান্তা ক্লারার যুদ্ধে রেবেল আর্মির সফল যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন গুয়েভারা।১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি রেবেল আর্মির চুড়ান্ত বিজয়ের পর নবগঠিত বিপ্লবী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বনে যান গুয়েভারা।১৯৫৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইন্ড্রাষ্ট্রির প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন।১৯৫৯ সালের নভেম্বরে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।১৯৬৫ সালে তিনি কিউবা ছেড়ে চলে যান এবং ১৯৬৬ সালে তিনি বলিভিয়ায় পৌঁছান। সেখানে তিনি একটি গেরিলা দল সংগঠনের মাধ্যমে সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানে জড়িয়ে পরেন।দীর্ঘ সময়ে তার নেতৃত্বে গেরিলা দলটি সরকারি বাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যায়।দীর্ঘদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এক এই বীর ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র কতৃক প্রশিক্ষীণ বলিভিয়ান সেনাদের হাতে আহত হয়ে বন্দী হন।তার পরের দিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর তাকে হত্যা করা হয়।অবসান হয় এই বিপ্লবী নেতার জীবনের।


*মতামতঃ বইটি মূলত ইতিহাস পর্যালোচনা করে।পাঠকরা পড়তে পারেন,হতাশ হবেন না আশা করি।
Thanks for reading my post. 😊😇