My Favourite Book Review 📚
আসসালামু আলাইকুম
লেখক | আরিফ আজাদ |
---|---|
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | ইসলাম ও আদর্শ মতবাদ |
ধরন | ছোট পল্প |
প্রকাশিত | একুশে বইমেলা ২০২১ |
প্রকাশক | সমকাল পাবলিকেশন |
পৃষ্টা সংখ্যা | ১৪৬ |
১|অশ্রু ঝরার দিনে
২|এই প্রেম , ভালােবাসা
৩| আসমানের আয়ােজন ।
৪|চাওয়া না - চাওয়া ।
৫|এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা
৬|জীবনের রকমফের
৭| হিজল বনের গান
৮| বিশ্বাস
৯| সুখ ।
১০| বােধ ।
১১|বাবাদের গল্প
১২| টু - লেট
১৩| মহীয়সী
১৪|সফলতা সমাচার
অশ্রু ঝরার দিনে গল্পটার সারমর্ম তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
এই গল্পটাতে তুলে ধরা হয়ছে কেউ মারা গেলে আমারা যেন উচ্চস্বরে কান্না না করি।যা চাওয়া বা কান্নার প্রয়োজন হলে নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে বলতে হবে।
এই গল্পের কিছু অংশ তুলে ধরলামঃ-
আপনাদের প্রশ্নোন্মুখ চেহারা , কৌতূহলােদ্দীপক অভিমূর্তি আমাকে কাঁদাতে পারেনি । কেন জানেন ? অনেকদিন আগে আমি একটি হাদিস জেনেছিলাম । সম্ভবত এমন দিনের জন্যই ওটা আমার চোখে পড়েছিলাে এবং আমি ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে সেটা পড়েছিলাম সেদিন । হাদিসটি শুনুন যখন আল্লাহর কোনাে বান্দার সন্তান মারা যায় , তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ফেরেশতাদের বলেন “ তােমরা কি আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করে ফেললে ? ফেরেশতারা বলে , ‘ জি ।
তখন আল্লাহ আবার বলেন , “ তােমরা আমার বান্দার প্রাণ - কণাটাকে ছিনিয়ে আনলে ? ' ফেরেশতারা আবার বলে , ‘ জি । আল্লাহ বলেন , তখন আমার বান্দা কেমন আচরণ করেছে ? ফেরেশতারা বলে , আপনার বান্দা ধৈর্য ধরেছে আর বলেছে , নিশ্চয় আমরা আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছি এবং তার কাছেই পুনরায় ফিরে যাবাে । ফেরেশতাদের কাছ থেকে বান্দার ধৈর্যের এমন চমৎকার বর্ণনা শুনে মহামহিম আল্লাহ তখন বলেন , ‘ আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করাে , এবং সেই বাড়ির নাম দাও — প্রশংসিত বাড়ি ’ আমি বিশ্বাস করি , আমার সন্তান আমাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি । তার সাথে আমার সাময়িক একটা বিচ্ছেদ ঘটেছে বটে , কিন্তু জান্নাতে , সেই প্রশংসিত বাড়ির উঠোনে , সবুজ দূর্বাঘাসের ওপর শিশির আচ্ছাদিত পথে আমি তার হাত ধরে হাঁটবাে , ইন শা আল্লাহ ।
আমার মানিকের সাথে এমন সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে হলে , জগৎ আমাকে যতই রাক্ষসী , অপয়া , অলুক্ষুণে বলুক , তাতে কি আমার বিচলিত হওয়া চলে ? ভালাে থাকুন আপনি । আপনার আগামীর দিনগুলাে সুন্দর হােক । আপনার জন্য আমার অফুরন্ত দুআ । রাত নেমে এসেছে । বাইরে ঝিঝিপােকার অবিশ্রান্ত চিৎকার । তারও দূরে , কোথাও থেকে যেন বুনাে শেয়ালের আর্তচিৎকার ভেসে আসছে বাতাসে । আর , প্রকৃতির কোথাও যেন এক গভীর গােঙানি । কোথা থেকে ধেয়ে আসছে এই গােঙানির সুর ? শহিদুলের বুকের গহিন
থেকে ?
ইনশাআল্লাহ আমাদের যা চাওয়ার দরকার সব আল্লাহর কাছে চাইবো।
বিশ্বাস গল্পের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
ভাের হলাে । এক আলাে ঝলমলে ভাের । সােনারচরের আকাশজুড়ে যেন আলাের । মাখামাখি । গতরাতে যে বিপদ বয়ে যাওয়ার কথা ছিলাে সােনারচরের ওপর দিয়ে , তা হয়তাে বা কেউ টের পায়নি । কী আশ্চর্য ! সবাই তাে জেগেই ছিলাে , তবুও ঝড়ের একটু রেশ কোথাও কেউ দেখতে পায়নি কেন ? তবে কি শেষ পর্যন্ত পর সাহেব কোনাে এক গুপ্ত কৌশলে আটকে দিয়েছেন আসন্ন বিপদকে ? তা - ই তাে হবে ’ , সবাই ভাবলাে । পীর সাহেবের প্রতি ভক্তি আর শ্রদ্ধায় সােনারচরের মানুষগুলাের মাথা যেন আরেকবার নুইয়ে আসে । বিপদ কেটে গেছে । সবাই দলবেঁধে , হই - হুল্লোড় করতে করতে পীর সাহেবের খানকার দিকে এগুতে লাগলাে । ওই ভিড়ের মাঝে , ধীরপায়ে হেঁটে আসছে একজন বয়ােবৃদ্ধ মহিলাও । রাসুর মা । পীর সাহেবের উসিলায় জীবনের শেষ এবং একমাত্র সম্বটুকু এই যাত্রায় ভীষণ বাঁচা বেঁচে গেলাে ’ – এই খুশিতে রাসুর মায়ের চোখ দিয়ে যেন কান্না চলে আসে । কিন্তু , পীর সাহেবের খানকার কাছে এসে সবাই পাথর - মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাে । থেমে গেলাে এতােক্ষণের সমস্ত হৈ - হুল্লোড় । এই দৃশ্য দেখার জন্যে সােনারচরবাসী কখনােই প্রস্তুত ছিলাে না , প্রস্তুত ছিলাে না রাসুর মাও । সবাই দেখছে — পীর সাহেবের খানকা শরিফের দুয়ারের একটা অংশ খােলা । ভেতরে পীর সাহেব নেই ।উনি ছুটেছেন অন্য কোথাও , অন্য কোনাে সােনারচর এবং অন্য আরেক রাসুর । মায়ের খোঁজে । নাজিমুদ্দিনের ছেলে মতির ঈমান কতােটুকু গেছে জানা যায়নি , তবে রাসুর মা জীবনের শেষ সম্বলটুকু যে খুইয়েছে , তা নিশ্চিত
যারা বই পড়তে পছন্দ করে এমন কোনো মানুষ নাই যে আরিফ আজাদ ভাইয়ের নাম জানেনা। তার লিখুনি সবার কাছে প্রিয়।তিনি আমারও একজন প্রিয় লেখক।
তিনি বইয়ের প্রথমে কিছু কথা বলেছে সেটা হলঃ-কোনাে উৎসর্গপত্র নয় , তবু এই পৃষ্ঠায় দুটো কথা লিখতে ইচ্ছে হলাে । ল্যাপটপে কিংবা ফোনে দেদারসে বাংলা লিখি , কিন্তু এই বাংলা লেখাটাকে যিনি আমার জন্য জলবৎ তরলং করে দিয়েছেন তার নিপুণ সৃষ্টিশৈলীর মাধ্যমে , অভ্রের প্রতিষ্ঠাতা সেই মেহেদি হাসান ভাইকে কখনাে কৃতজ্ঞতা জানানাে হয়নি । এখানে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং এক - আকাশ ভালােবাসা জানিয়ে রাখলাম ।
তার কৃতজ্ঞতা অনেক ভালো লেগেছে।
সমকালীন প্রকাশনের কিছু বই