My favorite Book Contest by @haideremtiaz //09-06-2021
আসসালামুআলাইকুম সবাই
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। তো আমি আজকে আমার প্রিয় একটি বই সম্পর্কে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন শুরু করা যাক।
source
বইটির নাম হচ্ছে "সাম্যবাদী "।
লেখক :পরিচিতি
source
তাকে বলা হয় সাম্যের কবি,বিদ্রোহী কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম | ২৪মে ১৮৯৯ |
---|---|
মৃত্যু | ২৯আগস্ট ১৯৭৬ |
পেশা | কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার সম্পাদক। |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পুরস্কার | জগত্তারিণী স্বর্ণপদক(১৯৪৫), স্বাধীনতাপুরস্কার(১৯৭৭),একুশে পদক (১৯৭৬),পদ্মভূষণ |
অন্যান্য নাম | দুখু মিয়া |
বইটিতে যা যা থাকছে
সাম্যবাদী কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। বইটি ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে (পৌষ,১৩৩২)
প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোয় বেশিরভাগই মানবিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
লেখক | কাজী নজরুল ইসলাম |
---|---|
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | সাম্যবাদ |
ধরন | কবিতা |
মূল্য | ৯০ টাকা |
কবিতাসমূহঃ
বইটিতে মোট ১১ টি কবিতা রয়েছে । সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে । কবিতাসমূহ নিচে দেওয়া হলোঃ
সাম্যবাদী
ঈশ্বর
মানুষ
পাপ
চোর-ডাকাত
বারাঙ্গনা
মিথ্যাবাদী
নারী
রাজা-প্রজা
সাম্য
কুলিমজুরজু
সাম্যবাদী কবিতার কিছু অংশ
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রিশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
ব্যাক্তিগত মতামত
ব্যাক্তিগতভাবে বলতে গেলে সবগুলো কবিতায় আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।তবে বিশেষ করে নারী,মানুষ,সাম্যবাদী এগুলো অনেক ভালো লেগেছে। নারী কবিতায় সুন্দরভাবে নারীদের অধিকার সসম্পর্কে তুলে ধরেছেন।
সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণে কাজী নজরুল ইসলামের ভূমিকা
- শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির এই শীতল দেশে নজরুল নিয়ে এসেছে সাম্যের বানী। নজরুল ইসলাম সাম্যবাদী ছিলেন কিনা সে আলোচনা আজকের যুগে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে আমরা বাস করছি বৈষম্যমূলক একটা অনাচার, অবিচারের সমাজে। যেখানে রয়েছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বৈষম্য। সাম্যবাদের সাথে অসাম্য, বৈষম্য অনাচার, অবিচারর সম্পর্কটা মিলনাত্মক নয়, বরং রয়েছে বিরোধাত্মক সম্পর্ক। নজরুলকে কেন সামনে আনা হয় না ?এই প্রশ্নটা গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, নজরুল সামনে আসলে রাষ্ট্র বৈষম্যের অসংখ্য নোংরা ছিদ্র জনসম্মুখে চলে আসার বিপজ্জনক সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতন রাষ্ট্র তা কখনোই সচেতনভাবে চাইবে না। রাষ্ট্র যখন অত্যাচারের চাবুক হাতে নিয়েছে তখন সেই চাবুক কিভাবে কেড়ে নিতে হয় এবং শাসন-শোষণ, অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা প্রতিভাবান নজরুল ভালোভাবে জানতেন এবং মানুষকে জানাতেন। কারণ নজরুলের একহাতে ছিল বিষের বাঁশি আরেক হাতে ছিল রণতূর্য। সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে নজরুল শুধু পরিচিতই ছিলেন না, সমসাময়িক সমস্ত চিন্তাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাম্যবাদী চিন্তার আলোকে।তাইতো তাকে বলা হতো সাম্যের কবি।
আশা করি এই বইটি পড়লে আপনাদেরও ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
Sort: Trending
Loading...