Contest #2 : Your Favorite Bangladeshi Movie|| মনপুরা🎬
আসসামুআলাইকুম সবাইকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমি @haideremtiaz বাংলাদেশ থেকে। আজকের প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে প্রিয় মুভি।তো আমি আজকে আমার দেখা একটি প্রিয় মুভি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
চলুন শুরু করা যাক...
আজকে আমি যে মুভিটার কথা বলবো তার নাম হচ্ছেঃ
মনপুরা
source
মুভিটি গিয়াস উদ্দিন সেলিম রচিত এবং পরিচালিত ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কালজয়ী একটি ছবি।এই ছবিটি পরিচালনার মাধ্যমে গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সম্পূর্ণ গ্রামবাংলার পটভূমিতে নির্মিত, পারিবারিক ও প্রেমের গল্পের এই ছবিটিতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও ফারহানা মিলি।
মনপুরা ও তার কিছু তথ্য
পরিচালক | গিয়াস উদ্দিন সেলিম |
---|---|
প্রযোজক | অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, ফারহানামিলি, মামুনুররশীদ, ফজলুর রহমান বাবু,মনির খান শিমুল,শিরীন আলম |
সুরকার | ইকবাল এ কবির |
চিত্রগ্রাহক | কামরুল হাসান খসরু |
সম্পাদক | ইকবাল এ কবির |
পরিবেশক | মাছরাঙা প্রোডাকশন |
মুক্তি | ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ |
দৈর্ঘ্য | ১৩৮ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ🇧🇩 |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | পারিবারিক ও রোমান্টিক |
কাহিনী সংক্ষেপ
source
গাজী সম্পর্কে সোনাইয়ের কাকা হয়।ধনী লোকের বাড়িতে সোনাই দাসী চাকর। গাজীর ছেলে হালিম মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং সে ওই বাড়িতে কাজ করে এমন এক মহিলাকে হত্যা করেছিল। তবে গাজী সোনাইকে হত্যার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য জোর দিয়েছিলেন এবং "মনপুরা" নামক একটি দ্বীপে তাঁকে একা রেখে যান, যেখানে তিনি একজন জেলের মেয়ে পরীর প্রেমে পড়ে যান। গাজী একদিন পরীকে দেখে তার পুত্র হালিমকে তার সাথে বিবাহ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিল, যদিও তিনি সোনাইয়ের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তার বিয়ের জন্য পরীর বাবাকে প্রস্তাব দেবেন। প্রথমদিকে, তার বাবা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন নি, কারণ তিনি তার মেয়েকে একটি পাগলকে বিয়ে করতে দিতে চান না। কিন্তু গাজী তার সম্পত্তি পরীর কাছে দিতে চাইলে তিনি প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছিলেন।সোনাই গাজীর চক্রান্ত সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি পরীর কাছে যান এবং পরের দিন রাতে দু'জন পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সোনাইয়ের চলে যাওয়ার সময় আসতেই পুলিশ তাকে হত্যা মামলার জন্য গ্রেপ্তার করে। হালিমের সাথে পরীর বিয়ে হয়েছিল। পরী সোনাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং সে তার সাথে দেখা করার জন্য স্বাধীন হতে চেয়েছিল। তাই গাজীর স্ত্রী জানিয়েছিলেন যে সোনাইকে শুক্রবার ভোর বারোটায় ফাঁসিতে ঝুলানো হবে যাতে তিনি সোনাইকে ভুলে যেতে পারেন। সোনাই নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিল এবং শনিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যদিও শুক্রবার তাকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে বলে ভেবেছিলেন পরী। সেদিন মধ্যরাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন পরী। পরদিন সকালে সোনাই আসার পরে, তিনি আবিষ্কার করেন এবং পরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হন যে পরী মারা গিয়েছিলেন।
🎬চলচিত্রের চরিত্র ও অভিনয় করা শিল্পীদের নাম🎬
- চঞ্চল চৌধুরী - সোনাই
- ফারহানা মিলি- পরী
- মামুনুর রশীদ-গাজী
- শিরীন আলম-গাজীর স্ত্রী
- ফজলুর রহমান বাবু - হাকিম মাঝি
- মনির খান শিমুল - হালিম
🎵চলচিত্রের গানগুলো🎵
চলচিত্রে মোট আটটি গান রয়েছে।সব কয়টি গানই সেই সময় সুপারহিট হয়েছিল।যাও পাখি বলো তারে এই গানটি এখনও কালজয়ী হয়ে আছে।গানটি খুব প্রিয় আমার।যতই শুনি ততই ভালো লাগে।
💎পুরস্কার ও সম্মাননা💎
২০০৯ সালের সেরা ব্যবসা সফল ছবি ছিল এটি।চলচ্চিত্রটি ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে এবং ১২তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে দুটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।মেরিল প্রথম আলো শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী।
মনপুরা এর IMDbরেটিং
৮.৭/১০
পার্সোনাল রেটিং
১০/১০
👨💼ব্যক্তিগত মতামত 👨💼
নায়িকা বা নায়কের মৃত্যু, অর্থাৎ মৃত্যু ট্রাজেডি দিয়ে শেষ করা সিনেমাগুলো সবসময়-ই চ্যালেঞ্জের মতো হয়ে উঠে ব্যবসায়িক সাফল্যের ক্ষেত্রে, কেন না দর্শক দুই তিন ঘন্টা ধরে একটা কাহিনী দেখার পর হল থেকে করুণ বা অশ্রুসিক্ত হয়ে বের হয়ে আসবে,এটা বোধ করি কখনোই কাম্য নয়, ফলে সুখোকর সমাপ্তি সিনেমার জন্য এক ধরনের অলিখিত নিয়ম হিসেবেই উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে, সেখানে মনপুরার এমন সমাপ্তি, পরিচালকের সাহসিকতারই পরিচয় বহন করে।সবদিক মিলিয়ে আমার প্রিয় একটি ছবি এটি।আশা করি আপনারাও ছবিটা দেখেছেন।
তো এই ছিল আমার প্রিয় ছবি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আমার সাথে থাকার জন্য।আমাকে ভালোবাসার জন্য এবং আমার ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আমাকে সাহায্য করবেন যেনো আমি সামনে আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারি।
Cc:
@boss75