Contest #2 : Your Favorite Bangladeshi Movie.💖 হাজার বছর ধরে....💖. ৯ জুলাই ২০২১.
Hello.....!!!
Hi Everyone.
This is @emon42. From #Bangladesh.
বর্তমানে বাংলাদেশের মুভি ধ্বংসের পথে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এই বাংলাদেশে বিশ্বমানের মুভি নির্মিত হয়েছে। হুমায়ুন আহমেদ, তানভীর মোকাম্মেল, জহির রায়হানের অনবদ্য সৃষ্টির সমস্ত বাঙ্গালী কে আনন্দ দিয়ে গেছেন। সেই সকল মুভির ধারে কাছে এখন কোন বাংলা মুভি যেতে পারবে না। আজ আমি আমার প্রিয় একটি বাংলা মুভি সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মুভির নাম হলো হাজার বছর ধরে. এটি জহির রায়হানের রচিত এবং কোহিনুর আক্তার সুচন্তার পরিচালিত। এটি একটি উপন্যাস। এখানে বাংলার মানুষের হাজার বছর ধরে অপরিবর্তনীয় জীবনধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আজ আমি এই মুভির বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
হাজার বছর ধরে মুভির কিছু তথ্য:
--------- | ------- |
---|---|
পরিচালক | কোহিনুর আক্তার সুচন্দা |
প্রযোজক | কোহিনুর আক্তার সুচন্দা |
গল্পের লেখক | জহির রায়হান |
গল্পের ধরণ | উপন্যাস |
সংগীত | আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল |
পরিবেশক | সুচন্দা চলচ্চিত্র |
মুভির দৈর্ঘ্য | ১৪০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
সাব টাইটেল | ইংরেজি |
মুক্তি | ৮ জুলাই ২০০৫ |
অভিনয়ে:
নাম | চরিএ |
---|---|
মন্তু | রিয়াজ |
মকবুল | এটিএম সামছুজ্জামান |
শাহনূর | আম্বিয়া |
শারমিন জোহা শশী | টুনি বিবি |
সিরাজ হায়দার | আবুল |
আমির সিরাজ | গনি মুল্লা |
নাজমা আনোয়ার | ফকিরের মা |
আনিসুর রহমান মিলন | করিম শেখ |
সুচন্দা | টুনিবিবির মা |
শহীদুল আলম সাচ্চু | মনোয়ার হাজী |
গল্প সংক্ষেপ:
বাংলার ইতিহাস হাজার বছর পুরোনো। হাজার ধরে বাংলার মানুষের জীবন ধারার কোন পরিবর্তন হয় নি। বাবা মারা গেলে সেই স্থান ছেলে দখল করে এবং ছেলে মারা গেলে তার ছেলে সেই জায়গা দখল করে। এভাবেই চলতে থাকে। হাজার বছর ধরে সেই জীবন ধারা বয়ে চলেছে। এর সাথে আশা ভালোবাসা দুঃখ গভীরভাবে মিশে আছে।
পরীর দীঘির পাশের একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই কাহিনী। এক বন্যায় কাশেম শিকদার এবং তার বোন ছমিরন বিবি ভাসতে ভাসতে এখানে আসে। এবং এই জায়গা তাদের খুব পছন্দ হয়। তারা এখানে খুব অল্প দামে জমি ক্রয় করে এবং শিকদার বাড়ির গোড়াপত্তন করে। কাশেম শিকদারের কোন অভাব ছিল না। তার সবকিছু ছিল। কিন্তু তার স্ত্রীর কোন সন্তান ছিল না। সেই জন্য তার স্থী কাশেম শিকদারকে আবার বিয়ে দেয়। এবং সে আত্মাকরে। এরপর অনেক বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। বর্তমানে এই শিকদার বাড়িতে মকবুল তার তিন স্ত্রী, আবুল,রশিদ,মন্তু, ফকিরের মা বসবাস করে। বৃদ্ধ মকবুলের কিশোর বউ টুনি বিবি মকবুলের শাসন মানতে চাই না। সে চাই হাসতে খেলতে ঘুরতে। তাই সে সুঠাম দেহের মন্তু কে বেঁছে নেয়। মন্তু মা বাবা হারা অনাথ ছেলে। সে নৌকার মাঝি। মন্তু এবং টুনি বিবি রাতের অন্ধকারে পুকুরে মাছ ধরে, পরীর দিঘি থেকে শাপলা তোলে। এভাবে ওরা দুজন দুজনের কাছে চলে আসে। ওদের মধ্যে এক ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কাউকেই বলতে পারে না সমাজের ভয়ে। হঠাৎ গ্রামে উলাবিবি বা কলেরা নামক রোগ ছড়ায়। গ্রামে ডাক্তার নেই। গ্রামের সাধারণ লোকেরা টুকটাক তাবিজ করে। এবং কলেরায় আক্রান্ত হয়ে আম্বিয়ার ভাই এবং বাবা মারা যায়। আম্বিয়া একা হয়ে যায়। আম্বিয়া মনে মনে মন্তু কে পছন্দ করত। এর কিছুদিন পর মকবুল এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আম্বিয়ার সাথে মন্তুর বিয়ের কথা বলে। এতে মন্তু মিয়া কোনো রকম রাজি হলেও টুনি বিবি সেটা মানতে পারেনি। তাই টুনি বিবি মকবুল কে বুঝয়ি বলে আম্বিয়াকে আপনি বিয়ে করেন। মকবুল সম্পত্তির লোভে রাজি হয়। এই কথা মকবুল বাড়ির সবাইকে বললে মকবুলের আগের দুই স্ত্রী অসম্মতি জানাই। এবং মকবুল তাদের ঝোকের বসে তালাক দিয়ে দেয়। এতে মকবুলের ছোট ভাই আবুল ক্ষিপ্ত হয়ে মকবুলের দিকে একটি পিঁড়ি ছুড়ে মারে। সেটা মকবুলের কপালে লাগে। এবং মকবুল আহত হয়। এভাবে কিছুদিন চলে। মকবুল আর সুস্থ্য হয় না। এখন টুনি বিবি তার ভূল বুঝতে পারে। এবং সে নিজেকে দোষী মনে করে। অসুস্থ্য অবস্থায় একদিন রাতে মকবুল মারা যায়। এর সাথে সাথে টুনি বিবি চিৎকার দিয়ে ওঠে। আবুল নিজেও কান্না করে ওঠে। সে নিজের কাছে খুব অনুতপ্ত হয়। এরপর মকবুলের স্ত্রী টুনি বিবি তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। মন্তু তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও সে রাজি হয় নি। এরপর মন্তু এবং আম্বিয়ার বিয়ে হয়। তারপর অনেক বছর কেটে যায়। সেই বাড়িতে এখন মন্তু বেঁচে আছে বড় হিসেবে। এভাবেই চলতে থাকে এক প্রজন্মের পর অন্য প্রজন্ম।
মুভির সম্মাননা সমূহ:
------ | ------- |
---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ২০০৫ |
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার | শ্রেষ্ঠ পরিচালক ২০০৫ |
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার | শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ২০০৫ |
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার | শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ২০০৫ |
মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ২০০৫ |
মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার | সেরা অভিনেতা ২০০৫ -রিয়াজ |
মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার | সেরা অভিনেত্রী ২০০৫- শশী |
ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি | প্রশংসা সূচক সনদ-২০১১ |
এই মুভির সেরা একটি গান যা আমার অনেক পছন্দের।
আইএমডিবি রেটিং : ৮.১/১০
ব্যাক্তিগত রেটিং : ১০/১০
মুভি লিংক: