হাঁসের গল্প। খুব সুন্দর একটি সকাল ছিল
হাঁসের গল্প। খুব সুন্দর একটি সকাল ছিল। নদীতে অনেকগুলো হাঁস তাদের বাচ্চাদের নিয়ে সাঁতার কাটছিল এবং খুব মজা করছিল। তারা খুব আনন্দ করেছিল পানিতে। অন্যদিকে একটি হাঁস তার বাচ্চাদের ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
সে খুব অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিল ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার জন্য। সে প্রতিদিন তার ডিম কে চাপ দিতে থাক তো। সে বলে কখন আমার বাচ্চা হবে আর কখন আমি ওদেরকে নিয়ে নদীতে সাঁতার কাটতে যাব।
তার পরেরদিন সকালবেলায় হাঁস টি দেখে তার ডিম থেকে ফুটে বাচ্চা বের হচ্ছে। সে খুব আনন্দের সঙ্গে তাদেরকে আস্তে আস্তে বের করে। সে একটি দুইটি তিনটে চারটে এরকম করে বাচ্চা গুনতে থাকে। সে দেখে ওখানে শুধু পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে আর একটি নেই। পিছন ফিরে দেখি আরেকটি ডিম থেকে এখনো বাচ্চা ফুটে বের হয়নি।
সে বলে এখনো এই ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়নি আমাকে এই ডিমটি তাপ দিতে হবে। তাব দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই দিনটি থেকে একটি বিচ্ছিরি এবং বড় দেখতে বাচ্চা বের হলো। হাসতে দেখে বলে আমার বাঁকে হাঁস গুলো কি সুন্দর ফুটফুটে কিন্তু এই হাসতি কেন এরকম হলো।
কিন্তু হাসতে কোন রাগ করেনি কারণ বাচ্চা তো বাচ্চাই। তা যেমন হোক নাই কেন। এরপর হাসতে তার বাচ্চাদের নিয়ে নদীতে সাঁতার কাটতে চলে যায়। ওখানে অন্যান্য হাঁসরা ওই হাঁসটির বাচ্চাটিকে দেখে হাসতে থাকে।
বাচ্চাটি অনেক কাঁদতে থাকে। কিন্তু ওর মা ওকে একটু সান্ত্বনা দেয়। এরকম করে যে ওই হাঁস টি কে দেখে সে হাসতে থাকে। রাগ করে এবং কান্না করে একদিন ওই বাচ্চাটি বাড়ি থেকে বের হয়ে অনেক দূরে চলে যায়।
একটি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেঁদে কেঁদে বলে সবাই কেন আমাকে এরকম করে আমার চেহারা কেন খারাপ। আমার ভাই বোনরা কত সুন্দর সুন্দর ফুটফুটে হয়েছে। কিন্তু আমি কেন এরকম বিচ্ছিরি এবং খারাপ দেখতে।
তখনই হাঁস টি নদীর দিকে তাকিয়ে দেখে সে অনেক সুন্দর এবং খুব বড় একটি হাঁস হয়ে গেছে। সে আনন্দে সঙ্গে তার বাড়িতে ফিরে আসে। সে তার মা এবং ভাই বোনদের দেখে বলে আমি ফিরে এসেছি। ওর মা এবং ভাই বন্ধুকে চিনতে পারেনা।
ও সবকটা না খুলে বলে ওর মা এবং ওর ভাই বোনদের। এরপর থেকে সবাই ওর প্রশংসা করতে থাকে কারণ কেউ এরকম হাস কখনোই দেখেনি। ওই হাসিতে তার পরিবারের সঙ্গে সুখে শান্তিতে থাকতে শুরু করে এরপর থেকে।